রমাদানের পরে আরবি বর্ষপঞ্জির দশম মাস শাওয়াল। এটি হজের তিন মাস তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজের মধ্যে প্রথম মাস। এ মাসের প্রথম তারিখে রমাদানের বা ঈদুল ফিতর এবং সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। রমাদান-উত্তর ঈদুল ফিতর, সাদাকাতুল ফিতর, হজের সংশ্লিষ্টতাসহ এ মাসটি তার অবস্থান ও মর্যাদার কারণে ইসলামী জীবনব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। রমাদানে মাসব্যাপী যারা সিয়াম সাধনা করেছেন তাদের জন্য এ মাসে বাড়তি সুসংবাদ রয়েছে। তা হলো শাওয়াল মাসের ৬টি সিয়াম। সহীহ হাদিসে এসেছে, আবু আইয়ুব আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে নর-নারী রমাদান মাসে সিয়াম পালন করলো, তারপর শাওয়াল মাসে ছয় দিন সিয়াম পালন করলো, সে যেন সারা বছর সিয়াম পালন করলো। (মুসলিম-২৮১৫, তিরমিজি-৭৫৯)।
ভালো ও মন্দ কর্মের প্রতিদান প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যে ব্যক্তি একটি সৎকাজ করবে, তাকে দশগুণ প্রতিদান দেয়া হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি একটি পাপ করবে, তাকে শুধু এক পাপের সমান বদলা দেয়া হবে। বস্তুত তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।” (সূরা আনআম : ১৬০) উক্ত আয়াতে প্রত্যেক সৎকাজের প্রতিদান দশগুণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, যদিও তা সর্বনিম্ন পরিমাণ। আল্লাহ তায়ালা স্বীয় কৃপায় আরো বেশি দিতে পারেন।
বিস্তারিত