প্রত্যাশা প্রাপ্তির মেলবন্ধনের চার দশক

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ, ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৬০-১৮০০), সৈয়দ আহমদের নেতৃত্বে উত্তর-পশ্চিম ভারতে দুর্নিবার ওয়াহাবি আন্দোলন (১৭৮৬-১৮১৩ খ্রি:), তিতুমীরের নেতৃত্বে মুসলিম সাধারণ সমাজের বিশেষ করে রায়তের অধিকার আদায়ের আন্দোলন (১৮৩০-৩২), প্রায় একই সময়ে হাজী শরীয়ত উল্লাহর ফরায়েজি আন্দোলন এবং ব্রিটিশ আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে সর্বাপেক্ষা রক্তক্ষয়ী সিপাহি বিদ্রোহসহ (১৮৫৭) সকল আন্দোলন ও সংগ্রামের লক্ষ্য ছিলো বাংলার সাধারণ মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতা।

শিবির : নতুন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মুক্তিকামী মানুষের কানে কানে পৌঁছে দিচ্ছে মুক্তির পয়গাম। শিবিরের আদর্শের প্রতি “লাখো তরুণ” আকৃষ্ট হচ্ছে- আর শ্লোগান দিচ্ছে মুক্তি চাই, শান্তি চাই- ইসলামের বিজয় চাই, “ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু মানি না মানবো না।” কার্ল মার্কস, লেনিন, মাও সেতুং প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্ব প্রত্যাখ্যান করে ঘোষণা করছে- আমার নেতা তোমার নেতা: বিশ্বনবী মোস্তফা। মানবরচিত মন্ত্র নয় আল কুরআনের রাজ প্রতিষ্ঠায় দৃপ্ত অঙ্গীকার ব্যক্ত করে রাজপথ প্রকম্পিত করছে “আল কুরআনের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো”।

গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস

বাংলাদেশের কতিপয় চিন্তাশীল ও সাহসী তরুণ মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে সিদ্ধান্ত নিলো, তরুণ ছাত্রসমাজকে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ে একটি আদর্শবাদী ছাত্রসংগঠনের জন্ম দেয়ার জন্য। ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে তাদের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু হলো শান্তিকামী ছাত্র-তরুণদের প্রিয় কাফেলা “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির” এর।

ইসলামী ছাত্রশিবির ঘোষিত বিভিন্ন দিবস

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির স্বাধীন বাংলাদেশে গড়ে ওঠা, দলীয় লেজুড়বৃত্তিমুক্ত এক আলোকিত ছাত্রসংগঠনের নাম। এটি একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে পথচলা শুরু করে একে একে ৪২ টি বছর পেছনে ফেলে এ সংগঠন রচনা করেছে এক গৌরবময় ইতিহাস। একটি গঠনমূলক গতিশীল গণতান্ত্রিক সংগঠন হিসেবে, একটি একক ও অনন্য অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে, মানুষ তৈরির কারখানা হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জনতার মনে, লক্ষ তরুণের হৃদয়ে করে নিয়েছে তার স্থায়ী আসন।