বিজয়ের স্বপ্ন পূরণে সমৃদ্ধ আগামীর পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে-শিবির সভাপতি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন বলেন, ১৯৭১ সালে কোটি মানুষের স্বপ্নের বিজয় অর্জিত হয়েছিল জাতির লাখো বীর সন্তানদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের মধ্যে দিয়ে। শুরু হয়েছিল গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার সমৃদ্ধ স্বাধীন-সার্বভৌম আত্মমর্যাদা সম্পন্ন স্বপ্নযাত্রার। কিন্তু সে স্বপ্ন আজও বাস্তবায়ন হয়নি।সে স্বপ্ন পূরণ করতে সৎ দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির মাধ্যমে রক্তে অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে ছাত্রশিবিরের পথ চলা যে কোন মূল্যে অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, পৃথিবীর বহু দেশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তিলাভ করেছে আলোচনার মাধ্যমে, বিনা রক্তপাতে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে জাতির বীর সন্তানদের রক্ত সাগর পাড়ি দিতে হয়েছে।ঐক্যবদ্ধ ও মর্যাদা পূর্ণ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দূর্বার প্রত্যাশা নিয়ে মহান বিজয় অর্জিত হয়েছে।অথচ আজ বাস্তবতা হলো আমাদের সমসাময়িক যেসব দেশ স্বাধীন হয়েছিল তাদের অনেকই আজ উন্নতির শিখরে আরোহন করেছে কিন্তু সীমাহীন ত্যাগে অর্জিত বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে।মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দ্যেশ্যে ছিল গণতন্ত্র, যে গণতন্ত্রে ন্যায়পরায়নতা, নাগরিকদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, অধিকারের সমতা, পরমতসহিষ্ণুতা থাকবে।আজ আমাদের রাজনীতি এসব নীতি থেকে অনেক দূরে।আমাদের গণতন্ত্র অনিশ্চিত ও ভঙ্গুর।গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও আজ সীমাবদ্ধ। এমনকি জনগণের ভোটাধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়েছে। ফলে বিজয়ের ৪৮ বছর পরও জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার আজও প্রতিষ্ঠা পায়নি।
শিবির সভাপতি বলেন, কোন হানাদার নয় বরং স্বার্থ হাসিল করতে বর্তমানে মহান বিজয়কে পুঁজি করছে এদেশেরই আত্মমর্যাদাহীন গোষ্ঠি। জাতি দেখছে একটি মহল স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষের ধোয়া তুলে প্রকৃত পক্ষে দেশকে এক গভীর অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ক্ষমতার মসনদকে পাকাপোক্ত করতে বার বার জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা আজও স্বপ্নই রয়ে গেছে। কিন্তু তবুও আমরা হতাশ নই বরং বিজয়কে অর্থহব করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।এহেন অবস্থায়ও আগামী প্রজন্মকে গড়ে তোলে আমরা একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি নিরন্তর।
এদিকে ঢাকা ও কুমিল্লায় ছাত্রশিবিরের বিজয় দিবসের র্যালিতে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের হামলা ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তরের শান্তিপূর্ণ র্যালিতে বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে ১০ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে কুমিল্লা জেলা উত্তর শাখার বিজয় র্যালিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। মহান বিজয় দিবসের শান্তিপূর্ণ র্যালিতে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগ দেশ, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিজয় র্যালিতে হামলা চেতনা ব্যবসায়ীদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত করে দিয়েছে। জাতির এই মহান দিনটিতেও পুলিশ ও ছাত্রলীগ তাদের দায়িত্বহীনতা ও সন্ত্রাসী আচরণ সংযত করতে পারেনি। তারা প্রমাণ করেছে মুখে চেতনার কথা বললেও অন্তরে তাদের দেশপ্রেম নেই। এদেশের ছাত্রসমাজ বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে দেশ প্রেমে উজ্জিবিত হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাক এটি তারা চায় না।আমরা এই ঘৃন্য কান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
সংশ্লিষ্ট
- সাংবাদিকদের সম্মানে ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিল
- ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য || কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম
- বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দের সম্মানে ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিল
- ১১ মার্চ শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল | মঞ্জুরুল ইসলাম | কেন্দ্রীয় সভাপতি
- রমাদানের ফুড প্যাক উপহার প্রদান ২০২৪ | কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম | বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
- ২০২৪ সেশনের জন্য ছাত্রশিবিরের সেটআপ সম্পন্ন
- বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব আব্দুস শহীদের ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের শোকবার্তা
- দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদকের স্ত্রীর ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের শোকবার্তা
- অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের শোকবার্তা
- পুলিশের গুলি ও নির্যাতনে পঙ্গুত্ববরণকারী সাবেক শিবির কর্মী মুহাম্মদ নাঈম উদ্দিন মুরাদের ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের শোক