নৃশংসতা বন্ধ না করলে দূর্বার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিবে ছাত্রসমাজ
ছাত্রশিবির জয়পুরহাট জেলা সভাপতি আবু যর গিফারী ও সেক্রেটারী ওমর আলীকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ কর্তৃক রাতের আধাঁরে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন শাখা।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশের পোষাকে দলীয় ক্যাডারের ভূমিকা পালন করছে পুলিশ। এরা জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা না দিতে পারলেও সেবাদাসের মত একটি বিশেষ মহলের ইশারায় ছাত্রজনতার জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছে। এক দিকে ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে মদদ দিচ্ছে আর একের পর এক নিরাপরাধ ছাত্রদের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে। ছাত্রশিবিরের জয়পুরহাট জেলা সভাপতি আবু যর গিফারী ও ওমর আলীকে প্রথমে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে বেআইনি ভাবে আটক রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ৯ দিন পরে অস্ত্র উদ্ধার নাটক সাজিয়ে তাদের হাজির করে। সেই দিন রাতেই বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে দুই নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায় পুলিশ। তারা এখন মূমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই দায়িত্বহীন অসভ্য বর্বরতা কোন দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে হতে পারেনা। বরং তা ভাড়াটে গুপ্ত ঘাতকের কাজ। অবৈধ সরকারের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পবিত্র দায়িত্ব ভূলে ঘাতকের ভূমিকা পালন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ। ফলে যেই পুলিশ জনগনের বন্ধু হওয়ার কথা ছিল তারা আজ ভীতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের প্রতি আস্থার স্থানটিতে ঘৃণা আর ধিক্কার জায়গা করে নিয়েছে। জনগণের টাকায় লালিত পালিত হয়ে তাদের উপরই নিপীড়ণ চালানো চরম দায়িত্বহীনতা ও কাপুরুষচিত কাজ।
নেতৃবৃন্দ হুশিয়ার করে বলেন, ছাত্রদের জান-মাল কোন সন্ত্রাসী বা দলীয় সেবাদাসের কাছে লিজ দেয়া হয়নি। বিনা অপরাধে ছাত্রদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিলে ছাত্রসমাজ অনন্ত কাল সহ্য করবে না। ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে নামলে তা নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা কোন সেবাদাসের থাকবে না। অবিলম্বে পুলিশের পোষাকে এমন বেআইনী, অমানবিক, বর্বরতা বন্ধ করতে হবে। আহত নেতৃবৃন্দকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সাজানো অভিযোগ থেকে অব্যাহত দিয়ে তাদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় আমরা এই দানবীয় নৃশংসতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিযোগ দাখিল করতে বাধ্য হব।
কুমিল্লা মহানগরী
পুলিশি নৃশংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবির। বিকাল ৩টার দিকে নগরীর মোঘলটুলি মোড় থেকে মিছিল শুরু করে সার্কেট হাউজ এর সমানে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করে। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্বে দেন শাখা সভাপতি মু কামাল হোসাইন।
রাজশাহী মহানগরী
নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রশিবির রাজশাহী মহানগরী শাখা। সকাল ১১টায় সাগরপাড়া মোড়ে অনুষ্ঠিত এ মিছিলে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট মহানগরী
নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরী। বিকাল ৫টায় শাখা অর্থ সম্পাদক সুহেল আহমেদের নেতৃত্বে নগরীর আম্বরখান এলাকায় মিছিল সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা।
রংপুর মহানগরী
পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রশিবির রংপুর মহানগরী শাখা। বিকাল ৩টায় শাখা সভাপতির নেতৃত্বে নগরীর কেন্দ্র স্থলে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করে।
মৌলভীবাজার শহর
সকাল সাড়ে ১১ টায় মৌলভীবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার শহর শাখা। মিছিলটি শহরের পশ্চিম বাজার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেন্টাল রোডের সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার শহর সভাপতি মু.ফখরুল ইসলাম।
বগুড়া শহর
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রশিবির বগুড়া শহর শাখা। সকাল ১১টায় নগরীর খান্দার এলাকায় মিছিল সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন শাখা প্রচার সম্পাদক খলিলুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট
- কাছে কিংবা দূরে থাকি হৃদয়ের বন্ধন অটুট রাখি
- এসো আলোর পথে
- পরিকল্পিত সময় ব্যবস্থাপনা পৌঁছে দিবে সাফল্যের স্বর্ণদুয়ারে
- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে প্রত্যয়দীপ্ত পদচারণার ৪১ বছর
- ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সভাপতির শুভেচ্ছা বক্তব্য
- 'শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতা' জীবন-সৌন্দর্যের নান্দনিক প্রতিচ্ছবি
- ঈদুল ফিতর ও আমাদের সংস্কৃতি
- নিশ্চয়ই আল্লাহ ভালোবাসেন
- মে দিবসের রক্তাক্ত ইতিহাস শ্রমিক অধিকার ও আমাদের দায়িত্ব
- আমাদের পথচলা থামবে না কোনো দিন