সোমবার, ১৭ আগস্ট ২০১৫

ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাসের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে

 বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতি আজ শঙ্কিত। কারণ ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাসের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থার উত্তরণে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আজ রাজধানীতে ছাত্রশিবির আয়োজিত শাখা দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, সাহিত্য সম্পাদক মোবারক হোসেন, প্লানিং এন্ড ডেভলপমেন্ট সম্পাদক শাহিন আহমেদ খান, কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল ইসলাম।

শিবির সভাপতি বলেন, সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের অব্যাহত অভ্যন্তরীন কোন্দল, হামলা, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মুখে। জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার স্থান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তারা মাদক ও অস্ত্রের গোডাউনে পরিণত করেছে। নিজেদের ও প্রতিপক্ষ ছাত্রদের রক্তে বার বার ক্যাম্পাস গুলোকে রক্তাক্ত করছে। সম্মানিত শিক্ষকরা পর্যন্ত তাদের হাতে নির্যাতনের হচ্ছে। এসব ঘটনা নতুন কিছু নয়। ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসকে বার বার লজ্জিত করেছে তারা। জবি’তে ধর্ষণের সেঞ্চুরী ও এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পুঁড়িয়ে উল্লাস করে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগই। একই ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরেও সমান ভাবে চলছে তাদের অব্যাহত তান্ডব। ছাত্র-শিক্ষকের রক্ত ঝড়ানো, খুন, ধর্ষণ, দখল, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, কোন্দল ও সন্ত্রাস দিয়ে ছাত্রলীগের ইতিহাস পরিপূর্ণ। যা জনগণ বছরের পর বছর দেখে আসছে। অথচ এসব সন্ত্রাসের জন্য কোন দৃষ্টান্তমূলক বিচার জাতি দেখেনি। ফলে বর্তমানে ছাত্রলীগের নৃশংসতার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।

তিনি বিবেকবান জনসাধারণের প্রতি আহবান রেখে বলেন, রাষ্ট্রীয় শক্তি কর্তৃক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সন্ত্রাসীদের অপব্যবহার ও লালন করার কারণে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। কিন্তু ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস মেনে নিতে জাতি বাধ্য নয়। তাদের তান্ডব নিরবে মেনে নেয়া মানে লক্ষ লক্ষ ছাত্রের জীবন হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে সহযোগিতা করা। এসব সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া ঠিক কিন্তু জনগণের শক্তির উর্ধে নয়। সুতরাং এই ভয়ঙ্কর দানবগুষ্টি থেকে আগামী প্রজন্ম ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হলে ছাত্রজনতাকে এক হয়ে প্রতিটি জনপদে প্রতিটি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ছাত্রশিবির ছাত্রদের উজ্জল ভবিষ্যৎকে নিশ্চিত করতে ও শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় নিয়মতান্ত্রিক ভূমিকা পালন করে যাবে ইনশাআল্লাহ।

সংশ্লিষ্ট