শনিবার, ২৭ জুন ২০১৫

কুরআনের প্রতি ছাত্রজনতার ভালবাসাকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজে লাগাতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, দুঃখ জনক ভাবে আমাদের মধ্যে জাতি বিভেদ প্রকট আকার ধারণ করছে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সবারই কুরআনের প্রতি ভালবাসা আছে। তাই মাহে রমজানকে কাজে লাগিয়ে কুরআনের প্রতি ছাত্রজনতার এই ভালবাসাকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজে লাগাতে হবে।

তিনি কুমিল্লার এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির কুমিল্লা অঞ্চলের সদস্য শিক্ষাশিবিরের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কুমিল্লা অঞ্চল পরিচালক ও কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক মু.নূরুল হক এর পরিচালনায় শিক্ষা শিবিরের আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মু. ইয়াছিন আরাফাত, মহানগরী জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, মহানগরী শিবিরের সভাপতি মু শাহ আলম, চাঁদপুর শহর সভাপতি মু.ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

শিবির সভাপতি বলেন, আদর্শহীন বাতিল শক্তি ইসলাম প্রিয় ছাত্রজনতার উপর গণহত্যা, গুম, নির্যাতন, হামলা, মামলা ও বিচারিক হত্যা যজ্ঞ চালাতে পেরেছে কিন্তু তাদের অন্তর থেকে কুরআনের প্রতি ভালবাস নষ্ট করতে পারেনি। বরং প্রতিটি হত্যা নির্যাতন কুরআনের প্রতি ভালবাসাকে আরও দৃঢ় করেছে। কুরআন প্রেমিক ছাত্রজনতার আহাজারি মানুষের সহানুভূতিকে নাড়া দিয়েছে। সত্যর আলোকে নিভিয়ে দিতে বাতিলের ষড়যন্ত্র বুমেরাং হয়েছে। প্রতিটি জনপদে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ কুরআন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ করছে। জুলুম নির্যাতন ইসলাম প্রতিষ্ঠার ভিত্তিকে মজবুত করে এটাই ঐতিহাসিক বাস্তবতা। সময়ের ব্যবধানে বাংলার জমিনেও সেই বাস্তবতার প্রতিফলন হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

তিনি আরও বলেন, মাহে রমজানে কুরআনের প্রতি মানুষের ভালবাসা আরও প্রকট হয়। কিন্তু কুরআন সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত না থাকার কারণে তার সুফল থেকে আমরা বঞ্চিত তা জাতিকে বুঝাতে হবে। পবিত্র মাহে রমজানের দাবীও তা’ই। সুষ্ঠ পরিকল্পনা, অসিম ধৈর্য্য, সাহসীকতা ও যে কোন ত্যাগ স্বীকারের মানষিকতা নিয়ে মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে ময়দানের কাজের গতি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু ছাত্রসমাজ নয় বরং প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে কুরআনের দাওয়াত পৌছে দিতে হবে। কুরআন বাস্তবায়নের কর্মসূচিতে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। আর সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই কুরআন প্রতিষ্ঠার এই কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।

সংশ্লিষ্ট