বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০১৫

ইসলামী আন্দোলনের প্রসার ও অপ্রপচার মোকাবেলায় দ্বীন প্রচারের গতি তীব্র করতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, বাতিল শক্তি ইসলামী আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে দমন নিপিড়ণের পাশাপাশি অপপ্রচারকে হাতিয়ার বানিয়েছে। এই অপতৎপরতা রুখে দিতে দ্বীন প্রচারের মাত্রা আরও তীব্র করতে হবে।

তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির আয়োজিত শাখা প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদকদের নিয়ে আয়োজিত শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মনির আহমেদের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন সহকারী প্রচার সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সহকারী মিডিয়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, দ্বীনি আন্দোলনের কর্মীদের কাজ হলো ইসলামের প্রচার ও প্রসারে নিজেদের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, অন্যদিকে বাতিলের কাজ হলো অপপ্রচার চালিয়ে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করে দেয়া। বর্তমান বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতনের পাশাপাশি সমান তালে চলছে অপপ্রচার। দেশের পরীক্ষিত ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের চরিত্র হননের প্রচেষ্টা চলছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। একই ভাবে সরকারের ইচ্ছা পূরণ করতে চলছে কিছু গণমাধ্যমের পরিকল্পিত সিন্ডিকেট অপপ্রচার। এমনকি কয়েকদিন পর পর সরকার, পুলিশ ও দলকানা গণমাধ্যমের যৌথ প্রযোজনায় বানোয়াট নাটক তৈরী করে দেশবাসীকে ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়া সরকারের মন্ত্রী এমপিদের নিত্যদিনের কাজে পরিণত হয়েছে। বাতিলেরা অপপ্রচার চালিয়ে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রগতিকে স্তব্ধ করে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, সত্য মিথ্যার সংঘাত চিরন্তন। বাতিলের প্রধান অস্ত্রই হলো অপপ্রচার। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী ইসলামের সৈনিকরা এসব অপতৎপরতা বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়নি। সকল অপপ্রচার মোকাবেলা করেই ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করেছে। বাতিলেরা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাতে পেরেছে কিন্তু কুরআনের আলোকে নিভিয়ে দিতে পারেনি। সময়ের ব্যবধানে বাতিল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আজকেও যারা বিচারের নামে হত্যা, নির্যাতন, গুম, খুন চরিত্র হনন ও অপপ্রচার করে ইসলামী আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে চাইছে তারাও ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা সেই কুরআনের কর্মী যেই কুরআন এসেছে সত্যকে প্রতিষ্ঠা ও বাতিলকে প্রতিরোধ করার জন্য। সুতরাং যে কোন পরিস্থিতিতে কুরআনের প্রতি আহ্বান যেমন অব্যাহত রাখতে হবে তেমনি বাতিলের অপপ্রচারেরও শক্ত জবাব দিতে হবে। এ জন্য সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে ইসলামী আন্দোলনের আহবান পৌছানোর গতি আরও তীব্র করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট