শনিবার, ০৬ জুন ২০১৫

প্রতিটি অঞ্চলকে ইসলামী আন্দোলনের দূর্বার ঘাঁটিতে পরিণত করতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, বাতিল শক্তি প্রতিটি জনপদে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর নিপিড়ন চালিয়েছে। এই নিপিড়ণের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রতিটি অঞ্চলকে ইসলামী আন্দোলনে দূর্বার ঘাঁটিতে পরিণত করতে হবে।


তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের সদস্য প্রার্থী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মাইনউদ্দিন মৃধার পরিচালনায় শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মু. সেলিম উদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মোবারক হোসেন, নারায়নগঞ্জ মহানগরী সভাপতি খালেদ মাহমুদ।


শিবির সভাপতি বলেন, দেশ-বিদেশী অপশক্তি ইসলামী আন্দোলনকে দমন করতে পরিকল্পিত ভাবে প্রতিটি জনপদে তান্ডব চালিয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ততা বা সমর্থনের কারণে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে নারী, কিশোর, বৃদ্ধ, আলেম ও মেধাবী ছাত্রদের। বাবা মায়ের সামনে সন্তানের বুকে গুলি চালানো হয়েছে। খাওয়ারত অবস্থায় বাবা মায়ের সামনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে রাতের আধাঁরে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে মেধাবী ছাত্রদের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে নেয়ার পর এখনো অনেকের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অনেক নেতাকর্মীর বাড়ী ঘর। এখনো হাজার হাজার নেতাকর্মী বিনা অপরাধে কারাগারে আছে। এসব অত্যাচারের চিত্র কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের নয় বরং সারাদেশের। পরিকল্পিত ভাবে এই নারকীয় তান্ডব চালানো হয়েছে ইসলামী আন্দোলনকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য। ইসলাম প্রিয় ছাত্রজনতা নির্যাতন সহ্য করেছে কিন্তু ইসলাম প্রতিষ্ঠার দৃঢ় সিদ্ধান্ত থেকে বিচ্যুত হয়নি। আমরা ইসলাম প্রিয় নারী, কিশোর বৃদ্ধ ও মেধাবীদের রক্তকে পাশকাটাতে পারিনা। এড়িয়ে যেতে পারিনা শত মায়ের আহাজারিকে। ভেঙ্গে দিতে পারিনা আমাদের প্রতি জাতির প্রত্যাশাকে। তাই প্রতিটি অঞ্চলকে ইসলামী আন্দোলনের দূর্বার ঘাঁটিতে পরিণত করে প্রমাণ করতে হবে রক্ত ঝড়িয়ে, নিপিড়ণ করে ইসলামী আন্দোলনকে দমন করা যায়না বরং তার ভিত্তি আরও মজবুত হয়।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মু. সেলিম উদ্দিন বলেন, কে কি বলল সে দিকে নজর দেয়ার সময় নেই। ছাত্রশিবির তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। আমাদের হারানোর কিছু নেই। গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। সর্ব অবস্থায় মানুষের পাশে থাকতে হবে। ছাত্রজনতার সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে হবে। সর্বোপরি মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যেতে হবে।

সংশ্লিষ্ট