মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০১৫

ক্যাম্পাসে কোরআনের আহ্বানকে সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে নৈতিক জাতি গঠনে দায়িত্বশীলদের ভূমিকা রাখতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী আতিকুর রহমান বলেন, জাতির সকল সমস্যার মূলে রয়েছে সর্ব পর্যায়ে অনৈতিকতার প্রসার। আর কোরআন ছাড়া এই অনৈতিকতার প্রসার রুখা যাবে না। তাই নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে ক্যাম্পাসে দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।


তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কলেজ দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত।


সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, যে ক্যাম্পাস গুলো ছাত্রছাত্রীদের জন্য সব চেয়ে নিরাপদ জায়গা হওয়ার কথা ছিল সেই ক্যাম্পাস গুলোই আজ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে অনেক ক্যাম্পাসকে অবৈধ অস্ত্রের মিনি ক্যান্টমেন্টে পরিণত করা হয়েছে। সরকারের মদদ প্রাপ্ত ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক তান্ডবে ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক কারো জান মাল নিরাপদ নয়। ক্যাম্পাসে রক্তরক্তি নিত্য দিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমনকি সম্মানিত শিক্ষকরা পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের তান্ডব থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা। সম্প্রতি জবি ও জাবি’তে শিক্ষিকার উপর নিপিড়ণ চালিয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। একই ভাবে বিভিন্ন ক্যাম্পটাসে ছাত্রী ও শিক্ষকদের উপর যৌণ নিপিড়ণের কারণে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিঃস্কার হয়েছে সরকারের মদদ প্রাপ্ত ছাত্র নামধারী এসব লম্পটরা। যা পুরো ছাত্রসমাজকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। সন্তানদের শিক্ষার জন্য ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে হাজারো শঙ্কা ও ভয় নিয়ে দিন যাপন করছেন অভিভাবকরা। অন্যদিকে মাদক, অপসংস্কৃতি ও বেহায়াপনার ভয়ানক ছোবল ত আছেই। সব কিছুর মূলেই রয়েছে অনৈতিকতা। ফলে শিক্ষা অর্জন এখন চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। এই অনৈতিকতার ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই আমরা ধ্বংসের মুখে পতিত হব।


তিনি আরও বলেন, যখনই ক্যাম্পাসে রক্তারক্তি বা অপকর্ম হয় তখন ক্ষমতাশীন ও বুদ্ধিজীবিরা কথার ফুলঝুড়ি আওড়িয়ে দায়িত্ব শেষ করেন। সমস্যা সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ কেউই গ্রহণ করেন না। ফলে দিন দিন এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের মাত্রা বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই ঝড়ে যাচ্ছে হাজারো সম্ভাবনা। কিন্তু সবার মত আমরা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারিনা। যে যা’ই বলুক, কুরআনের আলোকে ছাত্রসমাজের জীবন গঠন ছাড়া শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা ও আগামী প্রজন্মকে প্রকৃত যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তোলা যাবেনা। সুতরাং সকল অপপ্রচার এবং বাধাকে ধৈর্য ও সাহসীকতার সাথে মোকাবেলা করে প্রতিটি ছাত্রের কাছে কুরআনের বাণী পৌছে দিতে হবে। কুরআনের আলোকে ছাত্রদের জীবন গঠনে সর্বোচ্চ সহায়তা করতে হবে। এক্ষেত্রে কলেজ দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ ধৈর্য, সাহস ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট