রবিবার, ২৯ জুন ২০১৪

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিপর্যস্ত- শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, চারিদিকে খুন ও গুমের ছড়াছড়ি। নিরাপত্তাহীনতায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। রাষ্ট্রীয় ও দলীয় বাহিনীর সন্ত্রাসে আজ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিপর্যস্ত।

তিনি আজ সংগঠনের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক শাহ মো. মাহফুজুল হকের পরিচালনায় মানবাধিকার বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজধানীর এক মিলনায়তনে আজ সকাল ১০টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শিবির সভাপতি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি আর কখনোই এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। এখন মানুষকে আদালত প্রাঙ্গন থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে খুন করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়। নির্যাতিত মানুষের বিচারের দাবি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যাবার কোন উপায়ই নেই। আওয়ামীলীগ ও তাদের মিত্র ভিন্ন অন্য যে কোন রাজনৈতিক দলের লোকই আজ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার। র‌্যাব কর্তৃক একের পর এক রাজনৈতিক নেতাদের গুম করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রলীগ সারাদেশে ছাত্র হত্যা, নির্যাতনকে ধারাবাহিক কর্মে পরিণত করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির নেতা রাসেলের পা কেটে ফেলে তারা যে নজির স্থাপন করেছে, তা সারাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে।
তিনি বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আওয়ামী অভিধানে মানবাধিকার বলে কোন শব্দ নেই। ৭৫ পূর্ববর্তী সময়ে এই দল রক্ষী বাহিনী দিয়ে গণহারে খুন করেছে, আজ আবার র‌্যাবকে দিয়ে একই কা- ঘটাচ্ছে। এরপরও যখন দেশের অবস্থা স্বাভাবিক আছে বলে জনগণ মন্ত্রীদের মিথ্যাচার করতে দেখে, তখন তারা স্পষ্ট বুঝতে পারে আওয়ামীলীগ পুরোই একটি ফ্যাসিষ্ট দল। নাৎসি বাহিনীর মিথ্যাচার ও বর্বরতাকেও আওয়ামীলীগ হার মানিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সামনে পবিত্র রমযান মাস। কিন্তু জনমনে শান্তি নেই। দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল নয়। সি-িকেটের মাধ্যমে সহজলভ্য পণ্যকে আমজনতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকার এসব দেখেও দেখছে না। মুখে মন্ত্রীরা ভালো কথা বলছে, কিন্তু বাজার বলছে উল্টো কথা। এই অবস্থায় আমরা প্রত্যেকের সচেতনতা কামনা করি।

শিবির সভাপতি রমযানে খোদার প্রিয় বান্দা হবার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে ছাত্রজনতার প্রতি আহ্বান জানান।