শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০২৩

জাতীয় সংকট মোকাবিলায় সকল ছাত্র সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনে ছাত্রশিবিরের আহ্বান

আওয়ামী জালিম সরকারের পতন নিশ্চিতকরণ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সকল ছাত্রসংগঠনের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

আজ শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে ছাত্রশিবিরের সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, "বাংলাদেশের ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রসংগঠনসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রসমাজ হাতে হাত রেখে আন্দোলন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও দেশের জনগণ জুলুমবাজ আওয়ামী সরকারের পতন নিশ্চিত করতে ছাত্রসংগঠনসমূহের ভূমিকার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।

গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী জালেম সরকার এদেশের বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশের অধিকার কেড়ে নিয়ে মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। অসংখ্য বিরোধী দলীয় নেতা, আলেম-ওলামা, সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠিয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সরকার বিরোধী সকল ছাত্রসংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম, খুন, নির্যাতন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের এই জুলুম-নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ এ সরকারের বিদায়ের অপেক্ষার প্রহর গুনছে। অপরদিকে এই অবৈধ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারও তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে সর্বগ্রাসী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ চরম মুহূর্তে জনতার পাশাপাশি সকল ছাত্রসংগঠনকে একতাবদ্ধ হয়ে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা গঠনের আন্দোলনে শামিল হওয়া জরুরি।"

ছাত্রসংগঠনসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, "আজ জাতির কাছে স্পষ্ট—ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এ সন্ত্রাসী সংগঠন সারাদেশে নৈরাজ্য চালিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হয়ে কাজ করছে। এ মুহূর্তে সকল ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে জাতীয় স্বার্থ ও সংকটের প্রতি খেয়াল রেখে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। আমাদের মাঝে বিভেদ থাকলে অবৈধ সরকার তার সুযোগ নেবে এবং আবার ক্ষমতার মসনদে বসে এদেশের মানুষের ওপর জুলুমের স্টিমরোলার চালাবে!

এ অবস্থা পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ দুর্বার গণআন্দোলনের বিকল্প নেই। আর বাস্তবতা হলো—ছাত্রসমাজের অগ্রণী ভূমিকা পালন ছাড়া স্বৈরাচারকে কখনো হটানো যায়নি। আগেও ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ দেশের শীর্ষ ছাত্রসংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারের অপশাসনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে।

আমরা মনে করি, দেশের ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ সকল দলের সমন্বয়ে ছাত্র ঐক্য গঠনের প্রয়োজনীয়তা ইতোমধ্যেই উপলব্ধি করেছেন। এখন দ্রুততার সাথে এটি বাস্তবায়ন জরুরি। অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করে জনগণের মুক্তি নিশ্চিত করতে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে ছাত্রশিবির প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি এই জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে যারাই ভূমিকা রাখবেন সকলের প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে। সকল ছাত্রসংগঠনের সাথে ছাত্রশিবির অতীতের মতো এবারও স্বৈরাচার বিদায় করতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে, ইনশাআল্লাহ।"