শুক্রবার, ২৫ আগস্ট ২০২৩

শিবির কর্মী শাহজাহানের ৭ খুনির নাম মামলা থেকে প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

চলমান মামলা থেকে ছাত্রশিবিরের কর্মী মুহাম্মদ শাহজাহানের চিহ্নিত ৭ খুনির নাম প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন,  "১৯৯৬ সালের ২৯ জুলাই প্রকাশ্যে দিবালোকে সীতাকুন্ড ডিগ্রি কলেজ পূর্ব গেটের পাশে শত শত মানুষের সামনে কলেজ ছাত্র ও ছাত্রশিবিরের কর্মী মুহাম্মদ শাহজাহানকে পিটিয়ে হত্যা করে তৎকালীন ছাত্রলীগ ও বর্তমান আওয়ামীলীগ-যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ বর্বর খুনের মামলা চলমান ছিল এবং শহীদ শাহজাহানের পিতা-মাতা এত দিন আইন-আদালতের প্রতি সম্মান ও আস্থা রেখে ন্যায়বিচারের আশায় ধৈর্য ধরে ছিলেন। কিন্তু সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় অপকৌশলে ২৭ বছর পর এ মামলা থেকে ৭ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীর নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তারা হলো—চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক নুরুচ্ছাফা, সদস্য বিজয় চক্রবর্তী, সীতাকুণ্ড আওয়ামী লীগের সদস্য রুহুল আমিন, যুবলীগের কর্মী দুলাল চন্দ্র দে, আমিনুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন। অথচ এ মামলার সাক্ষীরা আদালতে বলেছে, ৭ জনের সবাই শাহজাহান খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ফ্যাসিবাদী সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে চিহ্নিত খুনিদের নাম প্রত্যাহার করেছে।

যা এদেশের আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের ওপর অবৈধ সরকারের নিকৃষ্ট হস্তক্ষেপের বিকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে। এই ঘৃণ্য ঘটনায় সীতাকুন্ডসহ পুরো দেশবাসী হতাশ ও চরমভাবে বিক্ষুব্ধ। এ নিকৃষ্ট ঘটনার ন্যায়বিচারের আশায় থাকা শহীদ শাহজাহানের পিতা-মাতা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী রাজনীতির এমন দেওলিয়াত্বের প্রতি আমরা ধিক্কার জানানই।"

নেতৃবৃন্দ বলেন, "এর আগেও দেশ-বিদেশে আলোচিত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বর্বর পল্টন হত্যাকাণ্ডের মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করেছে লাশের রাজনীতি করা এই অবৈধ সরকার। গণবিচ্ছিন্ন সরকার রাষ্ট্রের অন্যান্য ভিত্তিগুলোর মতো আইন-আদালতকেও দলীয় প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছে। আইন-আদালতকে ব্যবহার করে নিজেদের ইচ্ছামতো অবিচার করছে। যার শিকার হয়ে চলেছে দেশ ও ইসলামপ্রিয় সর্বস্তরের জনতা।

আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই—আওয়ামী খুনিরা জনগণ দ্বারা চিহ্নিত। সুতরাং দলীয়ভাবে মামলা বা মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করলেই সব শেষ হয়ে যাবে না। সময়ের ব্যবধানে অবশ্যই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। খুনি ও জালিমরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। এমনকি আজ যারা অবৈধ সরকারের সেবাদাসের ভূমিকায় থেকে এমন অবিচারে সহায়তা করছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে, ইনশাআল্লাহ।"