বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৩

আওয়ামী হত্যাকাণ্ডের শিকার হাফেজ রেজাউল করিমের পরিবারের পাশে শিবির সভাপতি

আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হওয়া শহীদ হাফেজ রেজাউল করিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ, আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও কবর জিয়ারত করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান।

আজ ২৪ আগস্ট শহীদ হাফেজ রেজাউল করিমের গ্রামের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় সভাপতি। এ সময় শহীদের পিতা-মাতা, পরিজন ও এলাকাবাসীর সাথে সাক্ষাৎ, পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও কবর জিয়ারত করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শহীদের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, "এ সরকারের আমলে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু বকরসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সরকারের লাশের রাজনীতির শিকার হয়ে শত শত নিরপরাধ ছাত্রকে জীবন দিতে হয়েছে। একইভাবে বিনা কারণে অসুস্থ অবস্থায় হাফেজ রেজাউলকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ফুটেজ রয়েছে এবং খুনিরা সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সামান্যতম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

আসলে আওয়ামীলীগ বিচারব্যবস্থাকেই পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছে। যেখানে বিচারকরা রাজনৈতিক নেতার মতো বক্তব্য দেন, সেখানে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে এমনটি জনগণ মনে করে না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে এ জুলুমের অবসান হবে এবং সময়ের ব্যবধানে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার হবে। হাফেজ রেজাউলকে দেশবাসী ভুলে যাবে না এবং তাঁর হত্যার বিচার এদেশেই হবে, ইনশাআল্লাহ।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা আজ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে কিছু সহায়তা নিয়ে এসেছি। আমরা পরবর্তী সময়েও শহীদ রেজাউল করিমের পরিবারের পাশে থাকব। আমরা শহীদের সম্মানিত পিতাকে অনুরোধ করব, তিনি যেন তাঁর সকল সুখ-দুঃখ ছাত্রশিবিরের সাথে শেয়ার করেন। ছাত্রশিবির তার সক্ষমতার আলোকে সব সময় পাশে থাকবে। রেজাউলের ভাইবোনদের লেখাপড়ায় ছাত্রশিবির পাশে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।"

পরে কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদ রেজাউল করিমের পিতার হাতে এককালীন অর্থ সহযোগিতা তুলে দেন ও ছাত্রশিবিরের জন্য দোয়া কামনা করেন।

এ সময় হাফেজ রেজাউলের বাবা বলেন, "রেজাউল হাফেজ হওয়ার পর খুব খুশি হয়েছিলাম। তাকে নিয়ে অনেক আশা ছিল। সে নিরীহ ছিল। ডেঙ্গু হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য ওষুধ আনতে যাওয়ার সময় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়লে তাকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। আমি এ হত্যার সঠিক বিচার চাই। রেজাউল আমার বড় ছেলে ছিল। আমি ভেবেছিলাম দ্রুতই সে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু তা আর হলো না। আমি ছেলে হত্যার বিচারের সাথে সাথে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চাই।" এ সময় এলাকাবাসীও হাফেজ রেজাউল হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।