শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০২৩

শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লার স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ইসলাম প্রচার ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আল্লামা সাঈদী প্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবেন—মাওলানা আব্দুল হালিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, "শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একটি নাম, একটি ইতিহাস। মুসলিম উম্মাহর সামনে তিনি প্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবেন।"

গতকাল রাজধানীতে ছাত্রশিবির আয়োজিত কুরআনের পাখি শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহর "জীবন ও কর্ম" শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজনে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, "আল্লামা সাঈদীর কুরআনের দাওয়াতের পরিধি ছিল বিশ্বব্যাপী। প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য তিনি কুরআনের বাণী নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। তাঁর তাফসির শুনে লাখো তরুণ জীবনের সঠিক দিশা পেয়েছে। লাখো মানুষের জীবন পরিবর্তন হয়েছে। তাঁর লিখিত বইগুলো জ্ঞান পিপাসুদের তৃষ্ণা মিটিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে তিনি  দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। এ পথে চলতে গিয়ে তিনি বারবার জুলুমের শিকার হয়েছেন। তাঁর ত্যাগ-কুরবানি তাঁকে শুধু বাংলাদেশ নয়; সমগ্র বিশ্বের এক নন্দিত ব্যক্তি ও বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতায় পরিণত করেছে। গোটা পৃথিবীতে তিনি মহাগ্রন্থ আল কুরআনের বাণী পৌঁছে দিয়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।"

তিনি আরো বলেন, "বাংলাদেশের এমন কোনো জনপদ নেই, যেখানে আল্লামা সাঈদী কুরআনের তাফসির করেননি। তাফসির শুনে মুসলমানরা যেমন সঠিক দিশা পেয়েছে, তেমনি বহু অমুসলিম ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করেছে। যা ছিল ইসলামবিদ্বেষী আদর্শহীনদের গাত্রদাহের কারণ। তাই আদর্শিক মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তাঁকে প্রহসনের বিচারে কথিত মামলায় সাজা দিয়ে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় অন্ধকার কারাপ্রকোষ্ঠে বন্দি করে রাখা হয়। অসহনীয় জুলুম-নির্যাতনে তিলে তিলে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

তাঁর মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ দ্বীনের বড় এক সাধক ও ইসলামি স্কলারকে হারিয়েছে। তবে তিনি জুলুমকে কখনো পরোয়া না করে সত্যের পথে সর্বদা অটল-অবিচল ছিলেন। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত দ্বীন বিজয়ের স্বপ্ন দেখে গেছেন। এখন শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে দীপ্ত শপথ নিতে হবে।"

সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, "শহীদেরা কখনো হারিয়ে যায় না। তাঁরা বেঁচে থাকেন হৃদয় থেকে হৃদয়ে, প্রেরণা থেকে প্রেরণায়, যুগ থেকে যুগান্তরে। আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে বাতিলের ষড়যন্ত্র  বুমেরাং হয়েছে। শহীদ আল্লামা সাঈদী জীবন্ত সাঈদীর চেয়ে আরো বেশি প্রভাবশালী, জনপ্রিয় হয়েছেন। এ ভালোবাসার অবস্থান হৃদয়ে এবং তা স্থায়ী। বাতিলের চোখে চোখ রেখে আমরা আল্লামা সাঈদীকে ধারণ করব আমাদের পথচলায় এবং প্রেরণায়, ইনশাআল্লাহ।"