মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে নতুন মামলায় আটক, রিমান্ডে নেওয়া এবং অসম্মানজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে নতুন মিথ্যা মামলায় আটক, রিমান্ডে নেওয়া এবং তার সাথে অসম্মানজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, "ফ্যাসিবাদী অবৈধ আওয়ামী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে আবারো নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করল পুলিশ। মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উচ্চ আদালত থেকে সকল মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হয়ে ৯ মার্চ ২০২৩ তারিখে কারাগার থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে তাঁকে পুনরায় গ্রেফতার করে পল্টন থানার মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে ১ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে তিনি সব মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হলে পুনরায় দ্বিতীয়বারের মতো কলাবাগান থানার একটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। অথচ এই সময়ে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। সর্বশেষ গত ২১ জুন সব মামলায় তিনি জামিনপ্রাপ্ত হন। কিন্তু সরকার তাঁকে মুক্তি না দিয়ে ২৭ জুন শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করে। পরপর তৃতীয়বার দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের পর তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

সর্বশেষ আবারো একটি মিথ্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সকল মামলায় জামিনে থাকা অবস্থায় নতুন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়া সম্পূর্ণ অমানবিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। একই সাথে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। আমরা এ জঘন্য অপশাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন নিরপরাধ জাতীয় নেতার ওপর পুলিশের এই ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র ও নির্যাতন রাষ্ট্রের আইনের শাসনের চরম বিপর্যস্ত অবস্থারই পরিচয় বহন করে।

অন্যদিকে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন শীর্ষ নেতা। একই সাথে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। অথচ তাঁকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে, যা তাঁর সম্মান ও মর্যাদার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। অথচ তাঁকে ভয়ংকরভাবে উপস্থাপন করে অসম্মানজনকভাবে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন ও হয়রানি করার জন্যই মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের সাথে এ ধরনের অসম্মানজনক আচরণ করা হয়েছে, যা দেশের মানুষকে চরমভাবে ক্ষুব্ধ করেছে।

তাঁকে হয়রানি ও অসম্মান করে অবৈধ সরকার তাদের রাজনৈতিক দেওলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছে। শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ অবৈধ আওয়ামী সরকারের অন্যতম পরিচায়ক। কিন্তু জনগণ এসব অবিচার ও অসভ্যতা দেখতে প্রস্তুত নয়।

আমরা অবিলম্বে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ নিরপরাধ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে ভবিষ্যতে এমন আইনের শাসনের পরিপন্থি কাজ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।"