শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ঢাবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদবার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও সন্ত্রাসের ঘৃণ্য নজির স্থাপন করেছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ। ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে টিএসসিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। এই বর্বর হামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। এসময় সাংবাদিকদেরও নাজেহাল করে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। শুধু ছাত্র অধিকার পরিষদ নয়; বরং পুরো ছাত্রসমাজের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বার বার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৪ ছাত্রকে নিজস্ব টর্চার সেলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর ওপর নিকৃষ্ট শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগ নেত্রী। ছাত্রলীগ নামক নরপশুদের একের পর এক ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে দেশবাসী ক্ষুব্ধ ও শঙ্কিত। মূলত ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রসমাজের কোনো সম্পর্ক নেই; বরং এরা অবৈধ সরকারের লেজুরবৃত্তি ও সন্ত্রাসকে নিজেদের একমাত্র কর্মসূচি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অন্যদিকে বরাবরের মতো প্রশাসন ও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের প্রতি প্রশাসন ও পুলিশের নীরবতা এবং মদদ প্রমাণ করে, ছাত্রলীগ সরকারের ইশারায় পরিকল্পিতভাবে হামলা ও এহেন ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। আসলে ছাত্রলীগের ইতিহাস সন্ত্রাসের ইতিহাস।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগ বরাবরই সন্ত্রাসের প্রতিচ্ছবি। তাদের সাথে ছাত্রসমাজের কোনো সম্পর্ক নেই। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে ছাত্রসমাজ মাথা নত করবে না। শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাস অব্যাহত থাকলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রেখে বলতে চাই, অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।