সোমবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ

ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রশিবিরের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা-গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান বলেন, ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিভিন্ন কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা ও গ্রেপ্তার করে দায়িত্বহীনতার আরেকটি ঘৃন্য নজির স্থাপন করেছে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পোস্টার লাগানোর সময় বিনা উস্কানিতে কোন কারণ ছাড়াই ঢাকায় ২জন, খুলনায় ২জন, রাজশাহীতে ৩জন ও পটুয়াখালীতে ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইভাবে ৬ই ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ র‌্যালিতে হামলা চালিয়ে ঢাকায় ৭জন, পাবনায় ৫জন, বাগেরহাটে ২জন, যশোরে ২জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অতর্কিত হামলা ও গুলি চালিয়ে গাজীপুর মহানগরীর ২৫জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের মত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও পুলিশ তাদের দায়িত্বহীনতা ও সন্ত্রাসী আচরণ সংযত করতে পারেনি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রশিবির বিগত ৪৫ বছরে গঠনমূলক নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এদেশের আপামর জনতার হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছে। জনসম্পৃক্ত ও বৈধ সংগঠন হিসেবে স্বাধীনভাবে কর্মসূচি পালনের আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ছাত্রশিবিরের রয়েছে। কিন্তু পুলিশ বরাবরই শিবিরের সাথে বেআইনি ও বিমাতা সুলভ আচরণ করে আসছে। শত ঘৃণা, ধিক্কার ও সমালোচনার পরও পুলিশ তাদের বেআইনি ও দায়িত্বহীন আচরণ অব্যাহত রেখেছে। অবৈধ সরকারের বেআইনি নির্দেশনা পালন করতে করতে পুলিশ তাদের আত্ম পরিচয় ভুলে দলীয় সন্ত্রাসীদের ভূমিকা পালন করছে। রাষ্ট্রের সেবকের লেবাস ধারণ করে জনগণের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে পুলিশ। এমন ঘৃন্য আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ আরো ৩২জনকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়েছে। আমরা আশাকরি অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের নি:শর্ত মুক্তি দিয়ে পুলিশ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবে। একইসাথে ভবিষ্যতে এ ধরণের বেআইনি ও অমানবিক আচরণ বিরত থাকবে।