মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০১৬

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাংলাদেশের এক ভয়াবহ সমস্যা। কিন্তু শুধুমাত্র গাছ লাগানোর মাধ্যমে এই বিপর্যয় রোধের পাশাপাশি আরো লাভবান হওয়া সম্ভব। পরিবেশের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা পেতে এবং সবুজ-শ্যামলিমায় ভরে তুলতে বেশী করে গাছ লাগাতে হবে। এতে করে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি দেশ আর্থিকভাবেও লাভবান হবে।

তিনি আজ রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ‘বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০১৬’ উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন। আজ সকাল ১০টায় গাছের চারা রোপণ ও বিতরণের মাধ্যমে সপ্তাহ ব্যাপি এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। এ সময় ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি জামিল মাহমুদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি সফল করার আহবান জানিয়ে শিবির সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের তথ্য মতে বর্তমানে দেশের বনাঞ্চলের পরিমান মাত্র ১৭%। যেখানে দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনাঞ্চল থাকা দরকার। অব্যাহতভাবে বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় সারা বিশ্বেই পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দেশ পরিবেশগত ভাবে হুমকির মুখে আছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। প্রতিনিয়ত যে হারে গাছ কাটা হচ্ছে সে হারে গাছ লাগানো হচ্ছে না। ফলে প্রতিবছর আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশকে প্রতিবছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করতে হয়। এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বেশী করে গাছ লাগাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রশিবির শত প্রতিকূলতা মধ্যেও জাতিয় দায়িত্ববোধ কখনোই ভূলে যায়নি। ছাত্রশিবির বিভিন্ন সময়ে গরীব ও অদম্য মেধাবীদের সহায়তা, মেধাবী ছাত্রদের সংবর্ধনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, শীতবস্ত্র বিতরণ, পথ শিশুদের পাশে থাকা এবং পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগনোসহ বিভিন্ন প্রকার সমাজ কল্যাণমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে সরকার শিবিরকে এ সকল কাজে সহযোগিতা না করে উল্টো জুলুম নির্যাতন করছে। সরকারের উচিৎ, ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ না করে সমাজ ও দেশের কল্যাণে ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক কাজে সহযোগিতা করা।

উল্লেখ্য, এ বছর ১০ লাখ গাছের চারা বিতরণ ও রোপনের লক্ষ্য নিয়ে ২৫জুলাই থেকে ৩১জুলাই পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘোষনা করেছে ছাত্রশিবির। কর্মসূচি সফল করতে নিম্নোক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

র‌্যালী
বৃক্ষরোপণ (প্রত্যেক জনশক্তি একটি করে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করবে)
গাছর চারা বিতরণ (প্রত্যেক জনশক্তি ২টি করে গাছের চারা বিতরণ করবে)
বৃক্ষ নিধন রোধে জনসচেতনতা তৈরি
ছাত্র ও জনসাধারণকে বৃক্ষ রোপনে উদ্বুদ্ধ করণ
স্কুল ছাত্রদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ
ব্যানার, ফেস্টুন ও স্টিকার লাগানো

সংশ্লিষ্ট