আল্লাহর সৈনিকের পরাজয় নেই

জয়-পরাজয় যাই আসুক না কেন তারা আল্লাহর পথে কায়েম থাকার ব্যাপারে কোন সন্দেহ পোষণ করে না। এই কন্টকাকীর্ণ পথের সাথীরা কেউ যদি আসন্ন বিপদের ভয়াবহতা দেখে পিছু হটে তাতেও সত্যাশ্রয়ী মানুষদের কোন পরোয়া নেই। জীবনের বাঁকে বাঁকে সবখানে শুধু আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল থেকে তার সাহায্য প্রাপ্তির প্রত্যাশায় প্রতীক্ষায় থাকে।

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য

সব দিক দিয়েই এই ঈদ অনন্য। এর বিশিষ্ট দিক হলো মুসলমানদের প্রতিদিনের সালাত বা নামাজ, সাপ্তাহিক জমায়েত বা জুমার জামাত এবং বার্ষিক পুনর্মিলনী, এই তিনটিই ঈদের মধ্যে দেখা যায়।

বদরের ঐতিহাসিক শিক্ষা- সর্বাগ্রে আল্লাহর উপর নির্ভরতাই বিজয় অর্জনের শর্ত

বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য প্রথম সমন্বিত এবং সেসময়ের জন্য সম্ভবপর পরিকল্পিত যুদ্ধ। বদরের যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় ছিল সব কিছুর জন্য সবার উপরে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা বা তাওয়াক্কুল করা। এই যুদ্ধ প্রমান করে সংখ্যা ও যুদ্ধ সরঞ্জামের কমবেশী বিজয়ের মাপকাঠি নয়, বরং আল্লাহর উপরে দৃঢ় ঈমান ও তাওয়াক্কুল হল বিজয়ের মূল হাতিয়ার।

পলাশী প্রহসনের বিয়োগান্তক ইতিহাস প্রেক্ষিত আজকের বাংলাদেশ

পলাশী শুধু নদী তীরের এক খন্ড জমি নয়, যুদ্ধের ময়দানও নয়। এটি হচ্ছে স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষদের রক্ত ক্ষরনের স্থান, ষড়যন্ত্রকারীদের পাহাড়সম প্রহসনের স্থান। আবার এটা দেশদ্রোহী বেইমান চিনবার স্থানও বটে। বাংলাদেশী মানুষের জন্য এই স্থান প্রেরনার বাতিঘর।

আহলান সাহলান মাহে রমাদান

মাহে রামাদান প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ অর্জনের মাস

মাহে রমজান উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সভাপতির নসিহত।

মাহে রমজান ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অনবদ্য প্রশিক্ষণের মাস। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার আলোকে কুরআন শিক্ষার মাস হিসেবে মাহে রমজানকে গ্রহণ করা হয়েছে। জ্ঞানার্জন, আত্মগঠন ও আদর্শিক সমাজ বিনির্মাণের দীপ্ত শপথে উজ্জীবিত হয়ে এ মাসে নিম্নোক্ত নসিহতসমূহ পালন করার ব্যাপারে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:

ইসলামী আদর্শের কর্মীদের করণীয়

সঙ্ঘবদ্ধভাবে যারা ইসলামের সৌন্দর্য প্রচার-প্রসার ও আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় এর প্রতিষ্ঠার জন্য সাধ্যাতীত চেষ্টার কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে তারাই ইসলামী আদর্শের কর্মী। আদর্শিক আন্দোলনের কর্মী মানেই আন্দোলনের পক্ষ থেকে ব্যক্তির ওপর আন্দোলনের যে দায়িত্ব অর্পিত হবে তা যথাযথভাবে পালন করবে। কর্মীর সকল দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের উদ্দেশ্যের মূলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।

ঐতিহাসিক ১১ মে: কুরআনের মর্যাদা রক্ষায় মাইলস্টোন

মানুষকে মহান আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দিয়েছেন নির্ভুল গাইড আল কুরআন। যুগে যুগে বিভিন্ন গোত্র-সম্প্রদায়ের নিকট আল্লাহ তা’য়ালা নবী-রাসূল বা বার্তাবাহক পাঠিয়েছিলেন। আর সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর নিকট পাঠান আল কুরআন। আল কুরআন নাজিল হওয়ার পর আল্লাহ তা’য়ালা সকল মতাদর্শ বা ধর্মের পদ্ধতিকে রহিত করে মানব সম্প্রদায়কে মুহাম্মদ (সা) প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসলাম বিদ্বেষীদের ৫ মে গণহত্যার উল্লাস অতঃপর ইসলামপন্থীদের ভাবনা

১৯৮১ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের অধিকাংশ আলেমরা ইসলামে রাজনীতি আছে তা স্বীকার করতেন না। শুধু জামায়াতে ইসলামী ইসলামী রাজনীতির প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্টার কথা বলে আসছিল। পীর সাহেব বা খানকার খাদেমরা ইসলামে রাজনীতি আছে এবং সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন জন্য ইসলামী রাজনীতির বিকল্প নেই তা জানলেও অস্বীকার করার মূল কারণ হলো ওনারা পীর দরবার ও খানকায়ের আয়েশী জিন্দেগী থেকে বের হয়ে আসতে নারাজ ছিলেন।

ইসলামী রাষ্ট্রে শ্রমিকের অধিকার

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেছেন, কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিবাদী হব। যে ব্যক্তি আমার নামে শপথ করে, অতঃপর বিশ্বাসঘাতকতা করে, যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন মানুষকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করে এবং যে ব্যক্তি শ্রমিক নিয়োগ করে তার থেকে পুরো কাজ করিয়ে নেয়, কিন্তু তার মজুরী দেয় না। (বুখারী, কিতাবুল বুয়ু, অধ্যায় ১০৬, নং ২২২৭)।