বিখ্যাত মনীষীদের দৃষ্টিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. যেমন ছিলেন

Sir George Bernard Shaw in ‘The Genuine Islam,’ Vol. 1, No. 8, 1936. মুহাম্মদের ধর্মের প্রতি আমি সবসময় সুউচ্চ ধারণা পোষণ করি, কারণ এর চমৎকার প্রাণবন্ততা। আমার কাছে মনে হয় এটাই একমাত্র ধর্ম যেটা সদা পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রার সাথে অঙ্গীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে যা প্রত্যেক যুগেই মানুষের হৃদয়ে আবেদন রাখতে সক্ষম। আমি তাঁর (মুহাম্মদ) সম্বন্ধে পড়াশোনা করেছি- চমৎকার একজন মানুষ এবং আমার মতে খ্রিস্টবিরোধী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অবশ্যই মানবতার ত্রাণকর্তা বলতে হবে।

বালাকোট থেকে বাংলাদেশ একটি ঐতিহাসিক পর্যালোচনা

চরম মুসলিমবিদ্বেষী শিখ ও ইংরেজ সরকার মুসলমানদের এ প্রচেষ্টায় ভীত হয়। তারা ছলেবলে কলা-কৌশলে উদীয়মান নবগঠিত এ মুসলিম প্রজাতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। আর এ জন্য মোটা অঙ্কের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্তবর্তী কিছু বিশ্বাসঘাতকের সহায়তায় ১৮৩১ সালের ৬ মে ঐতিহাসিক বালাকোটের ময়দানে ইংরেজ সমর্থনপুষ্ট শিখদের বিশাল বাহিনী তাদের ষড়যন্ত্র সফল করে। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এপ্রচেষ্টা সাময়িকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলেও এ ঘটনাটি ইতিহাসে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রেখে যেতে সমর্থ হয়েছে।

ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা

এ দেশে নারায়ণগঞ্জে প্রথম মে দিবস পালিত হয় ১৯৩৮ সালে। তখন ব্রিটিশ শাসনামল। তারপর পাকিস্তান আমলেও মে দিবস যথাযথ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের শাসন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে মে দিবস পালিত হয়। ঐ বছর সদ্য স্বাধীন দেশে পয়লা মে সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়। তারপর থেকে আজও পয়লা মে সরকারি ছুটির দিন বহাল আছে।

শপথের আলোকে আমাদের জীবন

বাইয়াত বা শপথ ইসলামী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য বাইয়াতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বাইয়াতবিহীন মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যু। বাইয়াত মানুষের জীবনকে সুন্দর, জ্ঞানগত পরিপূর্ণতা, মানুষের কল্যাণকামী ও উন্নত আমলের ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। রাসূল (সা)-এর কাছ থেকে সাহাবীগণ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বাইয়াত নিয়েছেন। ১) বাইয়াতে রিদওয়ান ২) আকাবার শপথ ৩) হুদায়বিয়ার শপথ ও ৪) মক্কা বিজয়।

কালজয়ী নেতৃত্বের মডেল! রাষ্ট পরিচালনায় মুহাম্মদ (সা.) 

মুসলমানদের পারস্পরিক অধিকার সম্পর্কে মহানবী (সা)-এর নির্দেশ : হজরত আবু মুসা আশয়ারি (রা) বর্ণনা করেন, ‘একজন মুসলমান অন্য মুসলমানের জন্য ইমারতের মতো, যার একটি অংশ অপর অংশটিকে শক্তিশালী করে।’ (সহি বুখারি ও মুসলিম; মেশকাত ৪২২ পৃষ্ঠা)

বাংলাদেশের স্বাধীনতা বনাম চলমান রাজনীতি

আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বর্তমানে এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে দেশেন রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে রাজনৈতিকপ্রতিহিংসার মাধ্যমে। আর সেই প্রতিহিংসার বলীর পাঠাঁ হচ্ছে দেশ ও দেশের অসহায় জনগন। কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা অনেকেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছানোকেই রাজনীতির রাজপথে বিচরণের প্রধান লক্ষ্য মনে করে। তাই আমাদের দেশে রাজনীতি হয়ে ওঠে তোষণ, শোষণ আর ক্ষমতার অপব্যবহারের হাতিয়ার।

সুন্দর সমাজব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন কুরআনি সমাজ প্রতিষ্ঠা

কুরআনি সমাজ কায়েম করার জন্য যারা চেষ্টা প্রচেষ্টা করছেন তাদেরকে রাসূলে কারিম (সা)-এর প্রশিক্ষণ ও দাওয়াতি কাজের পদ্ধতি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আল্লাহর রাসূল খুব লম্বা বক্তব্য প্রদান করতেন না। তিনি সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থবোধক ভাষায় হেদায়েত দিতেন। একই সাথে অনেক বিষয় বলতেন না। এক সময় এক বিষয়ে গুরুত্ব দিতেন এবং তাতে অভ্যস্ত করে তুলতেন।

অবরুদ্ধ বাংলাদেশ : মুক্তির জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস

১৯৭১ সালে এ দেশ পাকিস্তানের কাছে অবরুদ্ধ ছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের পর বাকশালের যাঁতাকলে, ১৯৯১ সাল পর্যন্ত স্বৈরশাসনের কবলে আর ১/১১তে তত্ত্বাবধায়কের নামে পুনরায় স্বৈরশাসনের আবির্ভাব। দেশের সচেতন জনগণ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে এ সকল অপশক্তির হাত থেকে নিজেদের মুক্তি নিশ্চিত করে। ২০০৮ সালে ৯০ দিনের মধ্যে জন প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা থাকলেও এক অশুভ শক্তির ইশারায় দেশ হাঁটা শুরু করেছিল অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে।

যে কারণে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিতর্কিত

‘আমরা বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী জনগণ কর্তৃক আমাদিগকে প্রদত্ত কর্তৃত্বের মর্যাদা রক্ষার্থে, নিজেদের সমন্বয়ে যথাযথভাবে একটি গণপরিষদরূপে গঠন করিলাম, এবং পারস্পরিক আলোচনা করিয়া, এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করণার্থে (সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রীরূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করিলাম)।’

ইসলামী রাজনীতি বন্ধের ব্যর্থ প্রচেষ্টা!

কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা হলো, দোষারোপ করা হলো ইসলামপন্থীদের। অথচ ভিকটিম বৌদ্ধরা বলেছেন আমরা জানি কারা এ ঘটনা করেছে, আমাদের সামনে অপরাধীরা ঘুরাফেরা করছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। মূলত মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এদেশের এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার মাধ্যমে বিশ্বসম্প্রদায়ের নিকট মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিহ্নত করে ইসলামের সুমহান আদর্শের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এটি একটি পরিকল্পনার অংশ মাত্র।