সোমবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৮

দ্বীন প্রতিষ্ঠায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেছেন, যুব ও তরুণরাই একটি দেশ এবং সমাজের মূল শক্তি। এই যুব ও তরুণ সমাজের এগিয়ে চলার পথ যদি হয় কুরআন তাহলে শুধু দেশ বা সমাজ নয় বরং সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তাই দ্বীন প্রতিষ্ঠায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে

তিনি আজ টাঙ্গাইলের এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির টাঙ্গাইল শহর শাখার সাথী শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি আশিক আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি তানজির হোসেন লিটনের পরিচালনায় শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বায়তুল মাল সম্পাদক হাসানুল বান্না, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী টাঙ্গাইল জেলার আমীর আহসান হাবীব মাসুদ, সাবেক শহর শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

শিবির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, দেশের মানুষ এখনো প্রত্যাশা করে দীর্ঘদিন ধরে চলমান শোষণ ও বৈষম্যের অবসান হবে, সামাজিক ন্যায় বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটবে। আর তাদের এ প্রত্যাশা পূরণের মূল নেয়ামক দেশের তরুণ সমাজ। কিন্তু বর্তমানে যুব সমাজের বিশাল অংশ মাদক সেবন, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অশ্লীলতা, নারী নির্যাতনের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধের সাথে জড়িত। যে বয়সে যুবকদের হাতে কুরআন থাকার কথা, কুরআনের আলোকে নিজ ও সমাজকে গঠনে এগিয়ে যাওয়ার কথা সেই সময়ে তাদের নৈতিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে দেশ ও সমাজ ক্রমেই অশান্তিপূর্ণ এবং অস্থিতিশীল হয়ে যাচ্ছে। এতে করে তারা শুধু নিজেদের ক্ষতিই করছে না বরং দেশের গোটা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। এসব অপকর্মে রাষ্ট্রীয় মদদের ফলে দিন দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অর্জনের স্থানে সন্ত্রাস রাহাজানি জায়গা করে নিচ্ছে। ফলে গোটা ছাত্র রাজনীতি আজ কলুষিত হয়ে পড়েছে। যেখানে ছাত্রদের নিয়ে অভিভাবক ও জাতি স্বপ্ন দেখার কথা সেখানে তারা আজ শঙ্কিত। এ অবস্থার অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতি একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র পরিবর্তনের জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। আর তাই আমাদেরকে নীতি-নৈতিকতা এবং তাকওয়ার মানদন্ডকে ঠিক রেখে জ্ঞান ও যোগ্যতার বলে বলিয়ান হয়ে এই পরিবর্তনের মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদেরকে রাসূলের আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে। রাসূল ছিলেন আমাদের জন্য একজন আদর্শ মানুষ, একজন আদর্শ সেনাপতি, আদর্শ সংগঠক, আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক। সকল জুলুম নির্যাতন স্বত্বেও রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্য পূরণে জাগতিক ও পরকালীন উভয় ক্ষেত্রে নিজেদের সর্বোচ্চ যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। সমাজ পরিবর্তনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সকল প্রতিকূলতার মাঝেও রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। ইসলাম বিদ্ধেষীদের অপপ্রচারের জবাব যোগ্যতা, সহমর্মিতা, ভালবাসা ও চারিত্রিক মাধুর্যতার মাধ্যমে দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট