বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৩

GROW FOOD, NOT TOBACCO "খাদ্য ফলান, তামাক নয়" প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে এবারের বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। আসুন নিজেরা সচেতন হই, প্রিয় মানুষদের সচেতন করি।

"আহলান সাহলান মাহে রমাদান"

"আহলান সাহলান মাহে রমাদান" কবি ও গীতিকার শ্রদ্ধেয় নুরুজ্জামান শাহের লেখা গানের কথা অনুযায়ী আমরাও বলে উঠি- কান পেতে শোনো গায় সাত আসমান খোশ আমদেদ এলো রমাদান! সকলকে জানাই মাহে রমাদানের শুভেচ্ছা।

রাসূল সা. এর দ্বীন প্রসারের পদ্ধতি - রাশেদুল ইসলাম

কুরআনে নির্ধারিত নির্দেশের অতিরিক্ত কথা না বলা : সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন এবং আর্থসামাজিক উন্নতির সাথে সাথে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন হয়েছে। যার কারণে দাওয়াত দানকারীর মধ্যে নিত্যনতুন কলাকৌশলের জ্ঞান-সমৃদ্ধি ঘটেছে। একই সাথে টার্গেটেড ব্যক্তির ধারণ যোগ্যতা এবং গ্রহণ মানসিকতারও ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তাই বলে অতিমাত্রায় কৌশলী হতে গিয়ে মৌলিকত্ব থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। সারকথা হচ্ছে, কুরআনের নির্ধারিত নির্দেশিত কথাকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে নান্দনিকতা মাধুর্যতা অবশ্যই টার্গেটের মনে আগ্রহের দোলা তৈরি করাতে পারে। তবে কুরআনের বাইরে এবং রাসূল -এর দাওয়াতি কথার বাইরে অতিরিক্ত কথা এবং ভিন্ন কথার দ্বারা দাওয়াত দেওয়া থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরি কাজ। কারণ শ্রোতাকে বিরক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলতে আল্লাহ নির্দেশ করেননি। বরং তাকে মহান আল্লাহ এবং তাঁর দ্বীনের প্রতি অনুরক্ত করা আমার কর্তব্য।

মেধাবীদের মেধা অপচয় ঝুঁকিপূর্ণ প্রজন্মের অশনিসঙ্কেত - রাশেদুল ইসলাম

ইদানীং শর্টটাইম মেমোরিলস নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও যুবসমাজকে নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা বেশি। আলোচনাটা এরকম যে, বর্তমান সময়ের তরুণ-যুবকরা বিস্তৃত জ্ঞানের নানা দিক-বিভাগে বিচরণ করতে পারছে না। একজন ছাত্র একই সাথে সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত একাডেমিক বিষয়াদির বাইরে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি নিয়ে ভাবতে চাইছে না বা পারছে না। এককেন্দ্রিকতা যেন পেয়ে বসেছে তাকে।

সালাত মানবিক সংস্কৃতির আলোকিত অধ্যায় - ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ

সালাত মুমিন জীবনে একটি অপরিহার্য ইবাদত। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে মুক্তির অন্যতম প্রধান সোপান এটি। সালাত আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে বান্দার গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বিচ্ছুরিত হয় মানবিক সংস্কৃতির বিশুদ্ধ আলো। নামাজের আরবি শব্দ সালাত। সালাত শব্দের শাব্দিক অর্থ দরূদ বা শুভকামনা করা, তাসবিহ বা পবিত্রতা বর্ণনা, রহমত বা দয়া, করুণা কামনা করা, ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। তা ছাড়া কথা এবং স্থান, কাল পাত্র ভেদে সালাত বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। সালাতের পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে- ‘নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ইবাদত আদায় করার নাম সালাত’। সুস্থ, বিবেকবান, বুদ্ধিসম্পন্ন, শারীরিক দিক দিয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণের ওপর সালাত আদায় করা অপরিহার্য। যারা পবিত্র আমেজ ও আবেগ-অনুভূতিতে জগতের সীমানা ভেদ করে আরশে আজিমে সিজদাহ পৌঁছাতে পারে, তারাই সালাতকে প্রাণবন্ত বা জীবন্ত করে তুলতে পারে। এমন নামাজই মানুষের চিন্তা-চেতনা ও ঈমানি জীবনকে পূর্ণতা দান করেন। যখন কোনো নামাজি ব্যক্তির জীবন থেকে এক ওয়াক্ত সালাত ক্বাজা হয়, তখন তার জীবনে শূন্যতা বোধ হয়। এই শূন্যতা তার মাঝে সৃষ্টি করে চরম মানসিক দুশ্চিন্তা। জামায়াতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে পারলে মানসিক পরিতৃপ্তি আসে। এটাই ঈমান, এটাই বিশ্বাস, আত্মজিজ্ঞাসার জবাব। প্রকৃত আত্মজিজ্ঞাসার জবাব হলো আল্লাহর অস্তিত্বকে বিশ্বাস করা। এই বিশ্বাস একমাত্র সালাতের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। আর সালাতই হলো মানবিক সংস্কৃতি বিকাশের প্রধানতম সিঁড়ি।

হালাল উপার্জন ও আল্লাহর স্মরণ - হাফেজ মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

٩ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ(৯) ١ فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ(১০) সরল অনুবাদ: ৯) হে লোকসকল, যারা ঈমান এনেছো, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য তোমাদের ডাকা হয় তখন আল্লাহর জিকিরের দিকে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য বেশি ভালো যদি তোমরা অনুধাবন করতে। ১০) তারপর যখন নামাজ শেষ হয়ে যায় তখন ভূ-পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো এবং অধিক মাত্রায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো। আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে। (সূরা জুমআ : ৯-১০)

ইসলামী আন্দোলন ও রাজনীতি- রেদওয়ান রাওয়াহা

ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত এক নির্ভেজাল জীবন বিধান। ইসলামের পরিচয়ে আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাঁর কালামে পাকে ইরশাদ করেন- اِنَّ الدِّیۡنَ عِنۡدَ اللّٰہِ الۡاِسۡلَامُ- অর্থাৎ ‘ নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে ইসলামই একমাত্র দ্বীন। (সূরা আল ইমরান : ১৯) আমরা জানি, আল্লাহর দেয়া এই ইসলাম, এই জীবন বিধানে কোনো খুঁত নেই। ঘাটতি নেই। এটা পরিপূর্ণ। পবিত্র কালামে হাকিমে আল্লাহ সুবহানাহু ওতা’আলা বলেন, اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ وَ اَتۡمَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ نِعۡمَتِیۡ وَ رَضِیۡتُ لَکُمُ الۡاِسۡلَامَ دِیۡنًا ؕ فَمَنِ اضۡطُرَّ فِیۡ مَخۡمَصَۃٍ غَیۡرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثۡمٍ ۙ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳﴾ ‘ আজ আমি তোমাদের জন্য দ্বীনকে পূর্ণ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য একমাত্র দীন রূপে মনোনীত করলাম।’ (সূরা মায়িদা : ০৩)

গতিশীল রাখুন আপনার ময়দান - রাজিবুর রহমান

ইকামাতে দ্বীনের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন করতে হয় সংঘবদ্ধভাবে। অর্থাৎ দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য সংঘবদ্ধ হওয়া অপরিহার্য। আর দ্বীন প্রতিষ্ঠার এ সংগ্রাম পরিচালনার জন্য যারা এগিয়ে আসে, তাদেরকে সংঘবদ্ধ করে গঠিত হয় ইসলামী সংগঠন। এ সংগঠনের প্রতিটি কর্মী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতার সাথে পালন করে এবং সংগঠনের কাজ গতিশীল রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালায়। কর্মীদের সুসংগঠিত প্রচেষ্টা সংগঠনকে একটি শক্তিতে পরিণত করে।

যেখানেই ছাত্র, ইসলামের আহ্বান পৌঁছানোর লক্ষ্যে সেখানেই আমরা -রাজিবুর রহমান

মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বানের কাজ বা দায়িত্ব সরাসরি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নির্দেশিত। বিশ্বাসীদের জন্য দাওয়াতি কাজের গুরুত্ব বোঝা ও তদনুযায়ী কাজ করার জন্য একটি আয়াতই যথেষ্ট হতে পারে। “তোমরা আল্লাহর দিকে মানুষকে হিকমাহ ও সুন্দরতম উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করবে, আর বিতর্ক করবে উত্তম পন্থায়”। (সূরা নাহল : ১২৫)

সময় এখন ‘ইসলামফোবিয়া’ প্রতিহত করার -রাশেদুল ইসলাম

প্রতিবাদের ভাষা সবসময় একরকম হয় না। মুখের ভাষায় কিংবা রাস্তায় বিভিন্নভাবে অবস্থান করার মাধ্যমে স্বাধীন দেশে মানুষ তার স্বাধীন মত প্রকাশ করবে, এটা আবহমানকাল থেকে বাংলার রীতি ছিলো। বিশেষ করে বাকশাল পরবর্তী বাংলাদেশে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করেছিলো। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় হলে স্বাধীনতার সূর্য নতুন ধারায় অস্তমিত হতে শুরু করে। ইংরেজদের কাছে রাজসিংহাসনের কতিপয় আত্মবিস্মৃত গুরুত্বপূর্ণ নেতার পদস্খলনের মাধ্যমে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় পরবর্তী পরাধীন জীবনের সাথে আজকের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনা করা একটু কঠিন। জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সিনিয়র সিটিজেনদের মধ্যে যারা উচ্চশিক্ষিত। এই শ্রেণির মানুষদের চিন্তাধারার ওপর সবসময় সাধারণ মানুষ আস্থাশীল থাকে। দুঃখজনকভাবে সত্য ঘটনা হচ্ছে, এই বুদ্ধিজীবী শ্রেণির সুশীলসমাজের অধিকাংশই আজকে ইচ্ছে করে হোক অথবা বাধ্য হয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কথা বলেন, মত প্রকাশ করেন এবং থিওরি ছাড়েন। ফলশ্রুতিতে সত্য চর্চাকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই সিনিয়র সিটিজেনদের সার্বিক সাপোর্ট পাওয়া সরকার পাকাপোক্ত হয়ে যা ইচ্ছে তা-ই করতে থাকে। হয়েছেও তাই। বিপরীতে সত্যপন্থী সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে মুখর হতে যেহেতু বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন, তাই তারা মৌন থেকেই আজ প্রতিবাদ করছেন।