হালাল উপার্জন ও আল্লাহর স্মরণ - হাফেজ মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

٩ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ(৯) ١ فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ(১০) সরল অনুবাদ: ৯) হে লোকসকল, যারা ঈমান এনেছো, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য তোমাদের ডাকা হয় তখন আল্লাহর জিকিরের দিকে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য বেশি ভালো যদি তোমরা অনুধাবন করতে। ১০) তারপর যখন নামাজ শেষ হয়ে যায় তখন ভূ-পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো এবং অধিক মাত্রায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো। আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে। (সূরা জুমআ : ৯-১০)

নৈতিক মূল্যবোধে তরুণ সমাজ

একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হলো তরুণ সমাজ। তরুণেরা যত বেশি আদর্শিক, কর্মঠ ও দেশপ্রেমিক হবে সেই সমাজ ও রাষ্ট্র তত বেশি উন্নত ও সুশৃঙ্খল হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় যুবসমাজ বোঝা নয় অমূল্য সম্পদ। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এই বিশ্বসভ্যতার ইমারত নির্মাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে যে শ্রেণি তার নাম তরুণ সমাজ।

এসো আলোর পথে

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদেরকে যোগ্য নাগরিক, চরিত্রবান মানুষ এবং উপযুক্ত মুসলমান হবার শিক্ষা দেয় না। তাই সমাজে ইসলাম কায়েমের জন্যে চাই ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের সৈনিক তৈরি হবে। যারা উপযুক্ত শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, চাকুরিজীবি, ডাক্তার প্রভৃতি হবার সাথে সাথে একজন যথার্থ মুসলিম এবং যোগ্য সৈনিক হবেন। তাই ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার জন্যে সংগ্রাম করা এ দফার কাজ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাই মানবতার সবচেয়ে বড় খিদমত। খিদমত যারা করবেন তারা মানবতার উপকারের সকল সুযোগই কাজে লাগাবেন। তাই ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবির এ দফায় ছাত্রদের প্রকৃত সমস্যার সমাধানে সার্বিক প্রচেষ্টা চালানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে।

আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পূরণে মুমিনের করণীয়

তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান আনবে ও সৎকাজ করবে তাদেরকে তিনি ঠিক তেমনিভাবে খিলাফত দান করবেন যেমন তাদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকদেরকে দান করেছিলেন, তাদের জন্য তাদের দ্বীনকে মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে দেবেন, যে দ্বীনটি আল্লাহ তাদের জন্য পছন্দ করেছেন, তাদের (বর্তমান) ভয়-ভীতির অবস্থাকে নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন। তারা যেন শুধু আমার ইবাদত করে এবং আমার সাথে কাউকে শরিক না করে।’ (সূরা আন নূর ৫৫)

নিরক্ষরতা মুক্ত সমাজ গঠনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

সাক্ষর শব্দের আভিধানিক অর্থ অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি। এখন সাধারণ অর্থে সাক্ষর বলতে পড়া,লেখা ও হিসাব করায় দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে মনে করা হয়। সাক্ষর ব্যক্তি যেন মাতৃভাষায় সহজে লেখা পড়তে ও বুঝতে পারে,মনের ভাব শুদ্ধ ভাষায় বলতে ও লিখতে পারে। দৈনন্দিন হিসাব-নিকাশ করতে ও লিখে রাখতে পারে। বিগত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশে সাক্ষর ও সাক্ষরতার সংজ্ঞায় নানা পরিবর্তন ও বিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে ‘সাক্ষরতা’ শব্দের প্রথম উল্লেখ দেখা যায় ১৯০১ সালে আদম শুমারির সরকারি প্রতিবেদনে

পথনির্দেশক হিসেবে আল কুরআনের তাৎপর্য

কুরআন শব্দের অর্থ: পাঠ করা, যা পাঠ করা হয়। আর পরিভাষায়-আল্লাহ তাআলা জিবরাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে মানবজাতির হেদায়েত হিসেবে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর ওপর যে কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তার নাম আল কুরআন।

একটি নীরব বিপ্লবের হাতছানি

এভাবে করে সময়ের সাথে সাথে ভাগ্নে একজন সত্যপ্রিয় মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। আর স্বাভাবিক ভাবেই তার বুঝের আলোকে নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছানোর পরে তাকে ইসলামী আন্দোলনের ব্যাপারে অভ্যস্ত করে তোলা হবে নাসির মামার কাজ। ইসলামী আন্দোলনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে লাখো ‘নাসির মামা’ তখন এ ভাগ্নের খোঁজ রাখবে।

বিখ্যাত মনীষীদের দৃষ্টিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. যেমন ছিলেন

Sir George Bernard Shaw in ‘The Genuine Islam,’ Vol. 1, No. 8, 1936. মুহাম্মদের ধর্মের প্রতি আমি সবসময় সুউচ্চ ধারণা পোষণ করি, কারণ এর চমৎকার প্রাণবন্ততা। আমার কাছে মনে হয় এটাই একমাত্র ধর্ম যেটা সদা পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রার সাথে অঙ্গীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে যা প্রত্যেক যুগেই মানুষের হৃদয়ে আবেদন রাখতে সক্ষম। আমি তাঁর (মুহাম্মদ) সম্বন্ধে পড়াশোনা করেছি- চমৎকার একজন মানুষ এবং আমার মতে খ্রিস্টবিরোধী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অবশ্যই মানবতার ত্রাণকর্তা বলতে হবে।

সুন্দর সমাজব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন কুরআনি সমাজ প্রতিষ্ঠা

কুরআনি সমাজ কায়েম করার জন্য যারা চেষ্টা প্রচেষ্টা করছেন তাদেরকে রাসূলে কারিম (সা)-এর প্রশিক্ষণ ও দাওয়াতি কাজের পদ্ধতি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আল্লাহর রাসূল খুব লম্বা বক্তব্য প্রদান করতেন না। তিনি সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থবোধক ভাষায় হেদায়েত দিতেন। একই সাথে অনেক বিষয় বলতেন না। এক সময় এক বিষয়ে গুরুত্ব দিতেন এবং তাতে অভ্যস্ত করে তুলতেন।

আল্লাহর সার্বভৌমত্বের কথা বলা কি অপরাধ?

এই বিশাল পৃথিবীর আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব কিছুর মালিক আল্লাহ্। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবাই আল্লাহর প্রশংসা করছে। তিনি সমস্ত রাজ্যের মালিক। তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। নিয়ন্ত্রণও করছেন তিনিই। তারই বিধান আসমান এবং জমিনের সর্বত্র বিদ্যমান। চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, আকাশ, বাতাস তারই নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। এ সবকিছুকে নিয়েই মহান আল্লাহর বিশাল রাজত্ব। এখানে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান। তার রাজত্বে তিনি নিরঙ্কুশ। তার কোন অংশীদার নেই, তিনি লা শরিক। তিনি কাউকে জন্ম দেন নাই, কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। কেউ তার সমকক্ষ নয়।