ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে প্রতিটি ছাত্রের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, ইসলামের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য বাতিল শক্তি জুলুম, নির্যাতন ও অপপ্রচারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঈমানী দৃঢ়তা ও চারিত্রিক মাধুর্যতা দিয়ে অপশক্তির সকল বাঁধা মোকাবেলা করতে হবে। আগামী দিনে ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে প্রতিটি ছাত্রের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে।
তিনি আজ চট্টগ্রামের স্থানীয় এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সালাউদ্দিন আইয়ুবীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, মিডিয়া সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, সমাজ সেবা সম্পাদক আব্দুল জলিল আকন্দসহ মহানগরী ও জেলার নেতৃবৃন্দ।
শিবির সভাপতি বলেন, রাসূল স: পৃথিবীতে এসে আইয়ামে জাহেলিয়াতের সমাজ ব্যবস্থাকে উৎখাত করে সেখানে আলোর বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। রাসূলের রেখে যাওয়া কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। কিন্তুু ৯০ ভাগ মুসলমান দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসলামকে ধ্বংস করতে হাজারো প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে দেশের যুব সমাজের বিশাল অংশ মাদক সেবন, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অশ্লীলতা, ইভটিজিং, নারী নির্যাতনের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তরুণদের সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে প্রয়োজন একটি সুন্দর পরিবেশ। আজকের সমাজ ব্যবস্থায় তরুণ প্রজন্মের উপযোগী সেই পরিবেশ অনুপস্থিত। উল্টো দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা, নির্যাতন, চাঁদাবাজী সহ নানা নৈরাজ্যের ফলে লাখো সম্ভাবনা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন থেকে দূরে থাকার কারণে তরুণদের নৈতিক অবক্ষয়ও ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। সমাজে একের পর এক যেসব লোমহর্ষক ঘটনা ঘটছে তার বেশির ভাগের সাথেই তরুণরা জড়িত। যা জাতিকে হতাশ করে তুলছে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের উপর জুলুম-নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। বাতিলের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রমাণ করতে হবে হত্যা ও নির্যাতন করে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে থামানো যাবেনা। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে তরুণ প্রজন্মের কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শ তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে চারিত্রিক মাধুর্যতা দিয়ে ইসলামের পথে আহবান করাকে দাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রধান নিয়ামক বানাতে হবে। আমাদের ব্যক্তিগত জীবন আরো সুন্দর করতে হবে। মেধা ও যোগ্যতাকে আরো শানিত করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে ঈমানী দৃঢ়তা নিয়ে দাওয়াতের ময়দানে টিকে থাকতে হবে। যে কোন মূল্যে দাওয়াতী কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।
সংশ্লিষ্ট
- কারাগারে আল্লামা সাঈদীকে যেমন দেখেছি
- এ আকাশ মেঘে ঢাকা রবেনা
- মুমিনের কোনো দিন পরাজয় নেই
- চারিত্রিক দৃঢ়তা বয়ে আনে সফলতা
- পরিচ্ছন্ন থাকতে চাই শুধু সদিচ্ছা
- পরকালীন সফলতাই প্রকৃত সফলতা
- আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পূরণে মুমিনের করণীয়
- রাষ্ট্র বা সমাজ পরিচালনায় প্রয়োজন নৈতিকতাসম্পন্ন, দক্ষ ও পেশাগত নেতৃত্ব
- চেতনায় ২৮ শে অক্টোবর
- আধুনিক ব্যবস্থাপনায় দাওয়াতি কাজের কৌশল