কলেজ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবী উপেক্ষা করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে সরকার
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, একটি দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি সাধিত হয় শিক্ষার উপর ভিত্তি করেই। অথচ বর্তমানে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা হতাশাজনক। কলেজ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবী উপেক্ষা করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে সরকার।
তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির আয়োজিত কলেজ দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কলেজ সম্পাদক মারুফুল ইসলামের পরিচালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা: ফখরুদ্দীন মানিক, আব্দুল জব্বারসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
শিবির সভাপতি বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু জাতির দূর্ভাগ্য যে, অযোগ্য ও নীতিহীন লোকদের কবলে পড়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ হুমকির মুখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা ফলাফল ও পরীক্ষার দাবীতে দীর্ঘ সময় আন্দোলন করলেও সরকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছেনা। বরং সেখানে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে চিরতরে অন্ধ করে দিয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের মেধাবী ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানকে। এখনো পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দাবী পূরণ করা হয়নি। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী আদায়ে পড়ার টেবিল ছেড়ে রাজপথ বেছে নিয়েছে। অথচ তাদের দাবী গুলো সম্পূর্ণ যৌক্তিক ও শিক্ষা সহায়ক। ছাত্রসমাজ তাদের এই দাবীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। সরকার তাতে কর্ণপাত না করে পরিস্থিতি খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে প্রমাণ হয় সরকার ইচ্ছা করেই ন্যায্য দাবী উপেক্ষা করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে।
তিনি বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে তামাশা করছে। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার রেজাল্ট ও পরীক্ষার সময়সূচী না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ছাত্রদের অধিকার আদায়ে সরকার অবহেলা করলে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। যা কারো জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না। ছাত্রশিবির সবসময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে তাদের পাশে থেকেছে। আগামী দিনেও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবী আদায়ে ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়াবে। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, দ্রুত ফল প্রকাশ ও পরীক্ষার তারিখসহ যৌক্তিক দাবী মেনে নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি কলেজ দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী প্রজন্মকে যোগ্য ও নৈতিকতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কলেজ দায়িত্বশীলদেরকে প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রদের কাছে কুরআনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। হাজারো প্রতিকূলতার পরও আমাদের অব্যাহত অগ্রযাত্রার মূল নিয়ামক হলো ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের চারিত্রিক মাধুর্য্যতা। প্রতিটি দায়িত্বশীল ও নেতাকর্মীকে কুরআনের চর্চা এবং নিজের জীবনে তা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে হবে।
সংশ্লিষ্ট
- কারাগারে আল্লামা সাঈদীকে যেমন দেখেছি
- এ আকাশ মেঘে ঢাকা রবেনা
- মুমিনের কোনো দিন পরাজয় নেই
- চারিত্রিক দৃঢ়তা বয়ে আনে সফলতা
- পরিচ্ছন্ন থাকতে চাই শুধু সদিচ্ছা
- পরকালীন সফলতাই প্রকৃত সফলতা
- আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পূরণে মুমিনের করণীয়
- রাষ্ট্র বা সমাজ পরিচালনায় প্রয়োজন নৈতিকতাসম্পন্ন, দক্ষ ও পেশাগত নেতৃত্ব
- চেতনায় ২৮ শে অক্টোবর
- আধুনিক ব্যবস্থাপনায় দাওয়াতি কাজের কৌশল