রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ইসলামী আন্দোলনকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই সরকার মীর কাসেম আলীকে হত্যা করেছে

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ছাত্রশিবিরের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি জননেতা মীর কাসেম আলীকে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। 

এক যৌথ বার্তায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, মীর কাসেম আলীকে হত্যার মধ্যদিয়ে অবৈধ ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করলো। ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৭ সালে জন্ম নেয়া সাক্ষী আর মিথ্যাচারকে পুঁজি করে এ মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। সরকার পক্ষ তার বিরুদ্ধে যে সব ডকুমেন্ট পেশ করেছে তাতে কোথাও তার নাম নেই। তার বিরুদ্ধে করা প্রতিটি অভিযোগের ঘটনার বিবরণে ভিন্নতা ও তথ্যে অসংলগ্নতা ছিল স্পষ্ট। যা তার আইনজীবিরা সুস্পষ্ট ভাবে আদালতে তথ্য প্রমাণসহ পেশ করেছে। তারপরও কিভাবে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা যায় তা বিবেকবোধ সম্পন্ন কোন মানুষের বোধগম্য নয়। এখানে কোন ন্যায় বিচার হয়নি বরং বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে একজন নিরপরাধ মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ড বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের প্রধানতম ইসলামী দলের নেতা ও একজন সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও সংক্ষুব্ধ। শুধুমাত্র ইসলামী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারণেই সরকার তাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। সরকার যে উদ্দেশ্যে মীর কাসেম আলীকে হত্যা করেছে সে উদ্দেশ্যে কোন দিনই পূরণ হবেনা। আইন-আদালত চিরদিন ফ্যাসিবাদীদের অবৈধ দখলে থাকবে না। যে মাটিতে নিরপরাধ শহীদ মীর কাসেম আলীর রক্ত ঝরানো হয়েছে সেই মাটিতেই সময়ের ব্যবধানে বিচারের নামে হত্যাকারীদের বিচার হবে, ইনশা’আল্লাহ। আমরা মনে করি, শহীদ মীর কাসেম আলী তার সর্বোচ্চ সফলতায় পৌছে গেছেন। কিন্তু অবৈধ সরকার নিজেদের অসভ্য ও নিকৃষ্টদের কাতারে স্থান করে নিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “আমরা দৃঢ়তার সাথে ঘোষনা করছি, সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও শহীদ মীর কাসেম আলীর রেখে যাওয়া দ্বীন বিজয়ের কাজকে সম্পূর্ণ করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শহীদ মীর কাসেম আলীকে হত্যা করে যারা ইসলামী আন্দোলনকে নেতৃত্বশূন্য করার স্বপ্ন দেখছে, তাদের সে স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না। শহীদ মীর কাসেম আলীর প্রতি ফোঁটা রক্ত এ দেশের ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী জনগণকে উজ্জীবিত করবে।

সংশ্লিষ্ট