মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সিআইডি এবং কিছু গণমাধ্যমের মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সাথে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সিআইডি ও কিছু গণমাধ্যমের মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই যখন-তখন ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করা কিছু পুলিশ কর্মকর্তার কু-অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, যা জাতি দীর্ঘদিন যাবৎ দেখে আসছে।
সম্প্রতি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত ডা. ময়েজ উদ্দিন প্রধানকে ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছে সিআইডি ও কিছু গণমাধ্যম। অথচ তিনি কখন, কোন শাখায়, কোন পর্যায়ের ছাত্রশিবিরের নেতা ছিলেন তার সামান্যতম তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি সিআইডি বা গণমাধ্যমগুলো।
বস্তুত নেতা তো দূরে থাক, তার সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোনো সম্পর্কই ছিল না বা এখনো নেই। তবুও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
শুধু রাজনৈতিক ও বিদ্ধেষমূলক দায়িত্বহীন অবস্থান থেকেই পরিকল্পিতভাবে এখানে ছাত্রশিবিরের নাম জড়ানো হয়েছে। আসলে এ পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসের সাথে যাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণ হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী। যা আদালত ও দেশজুড়ে স্বীকৃত। এ অপকর্ম ঢাকতেই এ ঘৃণ্য ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়ানো হয়েছে।"
নেতৃবৃন্দ বলেন, এর আগেও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে এমন বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছে র্যাব, পুলিশ ও ডিবির কর্মকর্তারা, যা সময়ের ব্যবধানে মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে এবং মিথ্যাচারের জন্য তারা জনগণের ধিক্কার কুড়িয়েছে।
নিজ পেশা, জনগণের প্রতি ওয়াদা ও দেশের প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলেও তারা এমন দায়িত্বহীন কাজ করতে পারত না। সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এরা এমন মিথ্যাচারের অবতারণা করেছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সিআইডি‘র মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে এমন মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।