রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

ছাত্রশিবিরের জীবন্ত শহীদ আশফাকুর রহমান বিপুকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবির নেতা ও জীবন্ত শহীদ আশফাকুর রহমান বিপুকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।


এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, "আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে ফ্যাসিবাদী সরকার দানবীয় রূপ ধারণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

২৯ জুলাই রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে সাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিত নেতা, জীবন্ত শহীদ আশফাকুর রহমান বিপুকে সাতক্ষীরা কলারোয়া নিজ বাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে সাদা পোষাকে থাকা পুলিশ। ৩০ জুলাই তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। অঙ্গহানির শিকার হয়ে ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকা একজন নিরপরাধ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। অবৈধ সরকারের নির্দয় ও পৈশাচিক আচরণের সর্বশেষ নজির এ অমানবিক গ্রেপ্তার।

ঈমানী দৃঢ়তা ও সাহসীকতার কারণে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। ১৯৮৮ সালে ছাত্রলীগের হামলায় দাঁত হারান কলারোয়া সরকারি কালেজের তৎকালীন ছাত্র আশফাকুর রহমান খান বিপু। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা কালে ১৯৯৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য কর্তৃক হামলায় নাকে গুলিবিদ্ধ হন। ১৯৯৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কারাবরণ করেন। ১৯৯৫ সালের ২২ জুলাই সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় ডান হাত হারান এবং বামপাসহ শরীরের শতাধিক স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ২০১০ সালের ২৯ জুন তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বার বার নির্যাতিত এ সাহসী নেতা সামগ্রিকভাবে চলাফেরা করতে অসুবিধার সম্মুখ্যিন হন। বিশেষ করে শরীরের ভেতর লুকিয়ে থাকা বোমার স্পি­ন্টারগুলোর কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এখন আবারো তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হলো। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাতিলের নির্যাতনে অঙ্গহানি ও ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পরও আশফাকুর রহমান বিপুরা এক মুহুর্তের জন্য ইসলামী আন্দোলনের পথ থেকে দমে যাননি। সুতরাং হামলা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন করে ফ্যাসিবাদি সরকার তার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারবে না। বরং নির্বিচারে গ্রেপ্তার নির্যাতন সরকারের অপরাজনীতিরই বিকৃত রূপই প্রকাশ পাচ্ছে বার বার।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, "দেশ এখন সার্বিকভাবে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তার ওপর এমন অগণতান্ত্রিক আচরণ সংকট আরও বৃদ্ধি করবে। সুতরাং অবিলম্বে অন্যায়, জুলুম বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র ধ্বংস ও একদলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে অকার্যকার রাষ্ট্র বানানো অশুভ প্রক্রিয়া থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করতে হবে।"

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জীবন্ত শহীদ আশফাকুর রহমান বিপুসহ গ্রেপ্তারকৃত সকলকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।