এস.এস.সি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তসহ সকল কৃতি শিক্ষার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।


রবিবার, ১২ মে ২০২৪ - রবিবার, ১২ মে ২০২৪

“তোমরা হবে স্বপ্নে-রাঙা সূর্যোদয়, লক্ষ আশার শপথ বুকে দীপ্তি ছড়াও বিশ্বময়”

এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় GPA-৫ প্রাপ্তসহ সকল কৃতি শিক্ষার্থীকে

ফুলেল শুভেচ্ছা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

 

প্রিয় সুহৃদ

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ সাফল্যের সাথে অতিক্রম করার আনন্দে নিশ্চয়ই তুমি এখন উচ্ছ্বসিত, পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয় ও বন্ধুদের সাথে আনন্দঘন এই মুহূর্তটি উদযাপন করছো। তোমার এই সাফল্যে আনন্দের সাথে তোমাকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তোমার এই সাফল্যের অংশীদার সংশ্লিষ্ট সবাইকেই আমাদের পক্ষ থেকে শুভ্র অনুভূতিমাখা মোবারকবাদ। তবে মনে রাখতে হবে, এই সাফল্য কেবলমাত্র একটি সূচনাবিন্দু। এই সাফল্যকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথই হলো আমাদের প্রেমময় সৃষ্টিকর্তার পরম স্নেহে দেখিয়ে দেওয়া পথনির্দেশ। তিনিই আমাদের সবচাইতে আপন, সুনিপুণভাবে সৃষ্টি করার পর আমাদেরকে জ্ঞানের মতো নিয়ামত দিয়েও তিনি ধন্য করেছেন, স্নেহের সাথে দিয়েছেন জীবন পরিচালনার নির্ভুল বিধান। জীবনের আসন্ন ধাপগুলোও সাফল্যের সাথে পেরিয়ে মৃত্যু যবানীকার ওপারেও অনন্তকালীন সফলতা নিশ্চিত করতে এখন তোমার প্রয়োজন দৃঢ় প্রত্যয়, কঠোর সাধনা ও অধ্যবসায়, জীবন ও জগত সম্পর্কিত নির্ভুল জ্ঞান। তাই ছোট্ট এই জীবনকে এক নতুন রঙ্গে রাঙ্গাতে নতুন একটি স্বাপ্নিক যাত্রা শুরু করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

 

হে আগামীর ভবিষ্যৎ

তোমার এই আকাশ ছোঁয়া সাফল্যে আমরাও আনন্দিত। তোমাকে নিয়ে এই দেশ, জাতি অনেক কিছু আশা করে। মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্পণ করতে যাচ্ছো। পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের সেবায় জনতার পাশে ন্যায় অন্যায়ের বিচারে তোমার সম্পৃক্ততা প্রত্যাশা করি। কারণ তুমিই আগামীর ভবিষ্যৎ। আগামীর প্রজন্ম কেমন হবে তার বিচার বিশ্লেষণ তোমাকে দিয়েই করা হবে। এই দেশ সোনা ফলানো উর্বর সমতল ভূমি। এই দেশের উপরে নিচে রয়েছে মহামূল্যবান সম্পদ। এই সম্পদের সঠিক ও নির্ভেজাল ব্যবহারে বিচক্ষণতা এবং দক্ষতার বিকল্প নেই। এই দক্ষতার পাশাপাশি দরকার একদল আদর্শ মানুষের। যারা হবে অন্যায়ের বিপক্ষে, ন্যায়ের মূর্তপ্রতিক।
যাদের আশ্রয়ে অনাথ, ভূমিহীন, নির্যাতিতরা পাবে পথের দিশা। এক কথায় যারা হবে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক। যে সোনার মানুষদের অভাব আমরা প্রতিনিয়ত অনুভব করছি। আমাদের বিশ্বাস তুমিই পারবে এই ঘাটতি পূরণ করতে। তোমার অদম্য এই বিজয় বলে দেয় ন্যায়-অন্যায়ের বিচারে তুমি হবে প্রকৃত উদাহরণ। যার কাঙ্খিত লক্ষ্যে তুমি একধাপ এগিয়ে গেছো। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা মাতৃভূমি বাংলাদেশ তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।

 

হে বিজয়ের পথযাত্রী

সফলতা একটি চলমান প্রচেষ্টার নাম। সফলতা নিজের দায়িত্বকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। এসএসসি/দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সফলতার প্রথম সিঁড়ি পার করেছো। এরপর তোমাকে পাড়ি দিতে হবে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতকসহ আরো বেশকটি ধাপ। পাশাপাশি তোমাকে আরও বেশি সচেতনতার সাথে পার করতে হবে নৈতিকতার স্তর। তোমার এই ধারাবাহিকতা কেবল দুনিয়ায় নয় বরং জান্নাত পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়া চাই। দুনিয়ার সফলতার পাশাপাশি পরকালীন সফলতাও যে তোমাকে পাওয়ার তদবির করতে হবে। এ প্রসঙ্গে কুরআনে বলা হয়েছে- “হে পালনকর্তা আমাকে দুনিয়ার কল্যাণের পাশাপাশি আখেরাতের কল্যাণ দান করো এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও”। (সূরা বাকারাহ-২০১)
তাই দুনিয়ার সফলতার পাশাপাশি পরকালীন সফলতার জন্য তোমাকে নীতি নৈতিকতার বলে বলিয়ান হতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়। যার মাধ্যমে তুমি জীবনের চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। এই প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন- “নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য”। (সূরা আল বুরুজ-১১)

 

হে আলোর মিছিলের সারথি

পথহারা পথিকের পথের দিশা দিতে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে সবুজ বাংলার বুকে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মহাগ্রন্থ আল-কুরআন তোমাকে হাতছানি দিয়ে বলছে-
“হে মুসলিমগণ! তোমরা সেই শ্রেষ্ঠতম উম্মত, মানুষের কল্যাণের জন্য যাদের অস্তিত্ব দান করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ করে থাকো ও অন্যায় কাজে বাধা দিয়ে থাকো এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখো। কিতাবীগণ যদি ঈমান আনতো, তবে তাদের পক্ষে তা কতই না ভালো হতো। তাদের মধ্যে কতক তো ঈমানদার, কিন্তু তাদের অধিকাংশই নাফরমান”। (সূরা আলে ইমরান-১১০)
এর মধ্যে ইশারা রয়েছে যে, অন্যান্য উম্মতের উপর এ দায়িত্ব থাকলেও তারা তা পালনে অবহেলা করত। অবহেলার কারণে কুরআন মাজীদের কোন কোন আয়াতে তাদেরকে তিরস্কারও করা হয়েছে। এবং সে অবহেলারই পরিণাম হল, তাদের ধর্ম কাল পরিক্রমায় বিকৃত ও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অপরপক্ষে এ উম্মতের কোনও না কোন দল এ দায়িত্ব যথারীতি আদায় করে আসছে এবং হাদিসের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী কিয়ামত পর্যন্ত পালন করে যাবে। যে কারণে দ্বীনে ইসলাম অদ্যাবধি তার স্বরূপে সংরক্ষিত আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে ইনশাআল্লাহ। সেই সঙ্গে শ্রেষ্ঠত্বের একটা কারণ হল দাওয়াতের পূর্ণাঙ্গতা ও সার্বজনীনতা। অর্থাৎ এ দ্বীন পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন হওয়ায় এ উম্মতের দাওয়াতের মধ্যেও পরিপূর্ণতা ও সার্বজনীনতার গুণ বিদ্যমান, যা অন্য কোন উম্মতের দাওয়াতে ছিল না।
এই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এই স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান তোমাকে সংকীর্ণতার জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে আল্লাহর জমিনের প্রতিনিধিত্ব করার উপযোগী করে গড়ে তোলার প্লাটফর্মে স্বাগত জানাই। ছাত্রশিবির তার কর্মীদেরকে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিকরূপে গড়ে তুলে আগামীর বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য উপযুক্ত করে তুলছে। এ লক্ষ্যে ছাত্রশিবির প্রণয়ন করেছে প্রজ্ঞাপূর্ণ পাঁচ দফা কর্মসূচি।

 

হে সত্যানুসন্ধিৎসু

লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দৃপ্তপদে সামনে চলেছে ছাত্রশিবির। ছাত্রশিবিরের চলমান কার্যক্রমের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকের সাথে সংক্ষিপ্তভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই তোমাকে।

ক.
ব্যক্তিগঠনে ছাত্রশিবির একজন ছাত্রকে নিজের ‘দৈনন্দিন প্রতিবেদন’ রাখতে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে সে নিজের কাজের পর্যালোচনা নিজেই করতে পারে; আর আজকের দিনটিকে গতকালের চেয়ে উত্তম করার মধ্য দিয়ে উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটাতে পারে নিজের মাঝে। এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে একজন ছাত্র নিয়মিত কুরআন ও হাদিস পাঠের তাগিদ যেমন পায় তেমনিভাবে পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নের প্রেরণাও অনুভব করে। এতে করে একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি নৈতিকতার এক অভূতপূর্ব সমন্বয় ঘটে তার মধ্যে।

খ.
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ছাত্রশিবির তার কর্মীদেরকে জীবনের সাথে সম্পৃক্ত সবগুলো দিকের ব্যাপারে ইসলামী জ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়নে উদ্বুদ্ধ ও সহযোগিতা করে। এ লক্ষ্যে ছাত্রশিবির প্রণয়ন করেছে সুনির্দিষ্ট সিলেবাস। একইসাথে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর শিক্ষামূলক ক্লাস ও পাঠচক্রের আয়োজন করা হয়। কর্মীদেরকে আগামী দিনে ইসলামী সাহিত্য লেখায় পারদর্শী করে গড়ে তুলতে মাসিক বিভিন্ন সাহিত্য ম্যাগাজিনও প্রকাশ করা হয়, যেখানে বড় বড় স্কলারদের লেখা প্রকাশের পাশাপাশি নবীন লেখকদের লেখাও প্রকাশিত হয়। সেইসাথে ভালো বক্তা তৈরির জন্য শিবিরের রয়েছে স্পিকার্স ফোরাম ও ডিবেট সংগঠন।

গ.
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস প্রভৃতি জাতীয় দিবসসমূহ যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে ছাত্রশিবির। এসব দিবসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দিবস উদযাপনমূলক র‌্যালি, সুবিধাবঞ্চিতদের খাবার প্রদান, জাতীয় পতাকা বিতরণ, আলোচনা অনুষ্ঠান প্রভৃতি আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে।

ঘ.
শিক্ষা বিস্তার ও দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার পশ্চাৎপদতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ছাত্রশিবির প্রকাশ করেছে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের ওপর রেফারেন্স বই (Understanding Science Series)। এছাড়াও বিজ্ঞানমেলা, গণিত অলিম্পিয়াড, আইডিয়া কন্টেস্ট, আইটি কর্মশালা প্রভৃতি কর্মসূচি এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে আয়োজন করা হয় আরবি ব্যাকরণ কোর্স। এছাড়া ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম, ইয়ুথ সামিট, ব্যবসায় শিক্ষা সম্মেলন, ইয়াং ইঞ্জিনিয়ার্স সামিট, রোড টু হায়ার স্ট্যাডি শিবিরের ক্যারিয়ার নির্দেশনামূলক অনন্য কর্মসূচি।

ঙ.
মেধার পূর্ণ ও সঠিক বিকাশ ঘটাতে হলে মেধার স্বীকৃতি অপরিহার্য। তাই ছাত্রশিবির প্রতিবছরই এসএসসি/দাখিল ও এইচএসসি/আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তসহ কৃতিছাত্রদের সংবর্ধনা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন বিভাগে মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা প্রদান ও তাদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে থাকে।

চ.
সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করতে ছাত্রশিবির শিক্ষা-উপকরণ বিতরণ, ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান ও নানাবিধ শিক্ষাসহায়ক উপকরণ স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে বিতরণ, ফ্রি কোচিংয়ের ব্যবস্থা, অনলাইন ও লেন্ডিং লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠাসহ উচ্চশিক্ষায় বিভিন্ন রকম সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।

ছ.
পরিবেশ সংরক্ষণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, মশক নিধন অভিযান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, জলবায়ু পরিবর্তনের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রশিবির।

জ.
ধুমপান, মাদক, দূর্নীতি, নকল, ইভটিজিংসহ সামাজিক অবক্ষয় রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজন করে থাকে ছাত্রশিবির।

ঝ.
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ছাত্রশিবির ব্লাড গ্রুপিং, স্বেচ্ছায় রক্তদান, ফ্র্রি চিকিৎসাসেবা প্রদান, শীতবস্ত্র বিতরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা প্রদান ও পুনর্বাসন প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনা করে। একই সাথে এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কর্মীদেরকে সামাজিক দায়বদ্ধ নাগরিক হিসেবে সচেতন করে গড়ে তোলা সম্ভব হয়।

ঞ.
চারিদিকে যে মুহূর্তে অপসংস্কৃতির বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ছে, অনৈতিকতার ছোবলে যুবসমাজ হচ্ছে দিশেহারা, সেই মুহূর্তে ছাত্রশিবির অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ সাধনে। ইসলামী সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে হামদ, নাতে রাসূলসহ স. নানাবিধ ইসলামী সংগীত, নাটক প্রভৃতি রচনা ও পরিবেশনা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সমাজের নানাবিধ অসঙ্গতি তুলে ধরে তার সমাধানের দিকে আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে শিবিরের সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

 

প্রিয় সাথি

আমরা চাই নৈতিক ও মানবিক যোগ্যতার সমন্বয়ে গঠিত একদল সাহসী নেতৃত্ব বাংলাদেশকে উপহার দিতে। তুমিই আমাদের প্রত্যশার ধ্রুবতারা। তোমার, আমার, আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে আমরা মানুষের মুক্তি ও কল্যাণে কাঙ্খিত পথের রেখা আঁকতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ। কাঙ্খিত সমাজ বিনির্মাণ একার পক্ষে সম্ভব নয়, প্রয়োজন সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা, বিশেষ করে তোমাদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। ছাত্রশিবির তার নানাবিধ গঠনমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছে, এই পথচলায় তোমাকে সুস্বাগতম।

এসো সবাই যোগ্যতার সবটুকু ঢেলে দিয়ে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাই, আল্লাহর সন্তোষ অর্জনে নিবেদিত হই। ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরিপূর্ণ সফলতা অর্জন করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওফিক্ব দান করুন। আমীন।

 

শুভেচ্ছান্তে

মঞ্জুরুল ইসলাম
কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

জাহিদুল ইসলাম
সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির