শহীদ রবিউল ইসলাম

৩০ নভেম্বর -০০০১ - ০৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ | ৫৫

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকল প্রকার অশ্লীলতা, বেহায়াপনার মূলোচ্ছেদ করতে সর্বোপরি তরুণ ছাত্রসমাজের মাঝে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত তুলে ধরার জন্য যে সকল তরুণ নিজেদের জীবন দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিদর্শন স্থাপন করেছেন। তাদের মাঝে অন্যতম শহীদ রবিউল ইসলাম। পদ্মা বিধৌত শাহ মাখদুম (রহ) স্মৃতিবিজড়িত মতিহার সবুজ চত্বরে বিধবা মা ছেলেকে বুক ভরা আশা নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন। না সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সকল স্বপ্ন, সাধকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে এদেশেরই ছাত্র নামধারী নরঘাতকরা। নিজের জীবনের বিনিময়ে শহীদ রবিউল ইসলাম আমাদের জন্য রেখে গেছেন আলোর উৎসরণ। শহীদি প্রেরণা। যার কোনো তুলনা হয় না।

সেদিনের বেদনাবিধুর ঘটনা
৬ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩। সেদিন ঘটেছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। ইসলামবিরোধী সকল ছাত্রসংগঠন সেদিন ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ইসলামী প্রিয় ছাত্র জনতাকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য। তাদের মূল টার্গেট ছিল রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের আলোকে নিভিয়ে দেবার। দিশেহারা তরুণ সমাজের পাঞ্জেরী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল ৬ই ফেব্রুয়ারি। মতিহারে সবুজ চত্বরে দাবি রাখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ অনেক কর্মসূচির। কিন্তু গণতন্ত্রিক রাষ্ট্রে গণতান্ত্রকে হত্যা করে কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তৎকালীন প্রশাসন। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা সেদিন বসে থাকেনি। নিজেদের নিয়োজিত করে ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায়। অগ্রণী ব্যাংকের সম্মুখে তাদের সেবার হাত সম্প্রসারিত হলো।

শহীদ মুস্তাফিজুর রহমানসহ ১০/১২ জন অত্যন্ত আন্তরিকতা সাথে ভর্তিচ্ছুদের সার্বিক সহযোগিতাসহ সংগঠন প্রকাশিত ভর্তি গাইড বিক্রি করছেন। প্রশাসন ভবনের পশ্চিম চত্বরে ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় অবস্থান করেন শহীদ মুস্তাফিজুর রহমান আর শহীদ রবিউলের উত্তরসূরি ২৫/৩০ জন। রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ, ক্যাম্পাস অত্যন্ত শান্ত। হঠাৎ করে শান্ত পরিবেশ আর নবীনদের হাসিমাখা মুখ মলিন হয়ে গেল। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা করে যখন অতর্কিতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ "আবার এলো ফেব্রুয়ারি চলো সবাই শিবির মারি"। আমরা সবাই অস্ত্র চাই, শিবির মারলে পাপ নাই। ধর ধর শিবির ধর, ধরে ধরে জবাই কর। ইত্যাদি উস্কানিমূলক শ্লোগান আর হত্যার নেশায় মত্ত হয়ে তৎকালীন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি হারুনের নেতৃত্বে কাটা রাইফেল, স্টেন গান, পিস্তল, রামদা, চাইজ কুড়াল, বোমা ইত্যাদি আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরে কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চলতে লাগল বৃষ্টির মত গুলি আর বোমার বিস্ফোরণ।

শিবির কর্মীদের আহাজারি আর করুণ আর্তনাদে মতিহারে নির্মল বাতাস ভারী হয়ে উঠে। ছাত্র আর শিবির কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসের আনাচে কানাচে ওঁৎ পেতে থাকে। তারা সংগ্রহ করতে থাকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। তাদের টার্গেট শিবির মারতেই হবে। শিবির কর্মীদের রক্তই যেন তাদের রক্ত পিপাসা মিটাতে পারে। তারই অংশ হিসেবে জোহা হলের সামনে রাস্তাই ব্রাশ ফায়ার করে শহীদ রবিউল ইসলামকে। হাজার জনগণের সাথে তথাকথিত পুলিশ বাহিনীও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে সন্ত্রাসীদের উৎসাহ যুগিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে সন্ত্রাসীরা হত্যার নেশায় আরো উন্মাত্ত হয়ে শহীদ শামসুজ্জোহা হলে আক্রমণ করে সাধারণ ছাত্রসহ সকল শিবির কর্মীদের বের করে দিতে প্রতিটি রুমে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে গোটা হলকে ভস্তমীভূত করে অস্ত্র উঁচিয়ে হলের ছাদে উল্লাস করতে থাকে।

মেধাবী ছাত্র হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষাজীবন থেকেই তার মেধাশক্তি ছিল অত্যন্ত প্রখর। বুরজবাগান বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় শার্শা, যশোর থেকে ১৯৮২ সালে বিজ্ঞান বিভাগে ৩ বিষয়ে লেটারসহ ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন রবিউল ইসলাম। ১৯৮৪ সালে ২ বিষয়ে লেটারসহ তিনি ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত তিনি প্রতি ক্লাসে ১ম অথবা ২য় স্থান অধিকার করতেন। স্বপ্ন ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশ ও জাতির সেবা করবেন। কিন্তু আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার মর্যাদাকে আরো বাড়ানোর জন্য ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ দেননি। তিনি তার গোলামকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হিসেবে কবুল করেন। তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৮৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

শহীদের গুণাবলী
রবিউল ভাইয়ের চরিত্র ছিল ফুলের মত সুন্দর। তিনি কুরআন হাদিসের আলোকে কথাবার্তা বলতেন। তিনি মানুষকে আল্লাহ ও তার রাসূলে বিধি বিধান মানার জন্য আহ্বান জানাতেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন প্রতি জুম্মাবার রোজা রাখতেন। পায়খানা প্রশ্রাবের পর সবসময় অজু করে পবিত্র থাকতেন। মানুষের কষ্টে তার হৃদয় কাঁদত আর তাই মানুষের সমস্যায় সবার আগে বের হতেন। বন্যার সময় অসহায় মানুষের জন্য অর্থ, খাদ্য, বস্ত্র সংগ্রহ করে তাদের মধ্যে বিতরণ করতেন। মসজিদ, মাদরাসা নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ ইত্যাদি কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। নিজে নিয়মিত কুরআন হাদিসে পড়তেন এবং সুযোগ পেলে অন্যান্যদের কুরআনের অনুবাদ বোঝানোর চেষ্টা করতেন। তিনি প্রতি জুমবার সাব্বির অঞ্চলে নিয়ে বাসায় কুরআনের শিক্ষার আসর বসাতেন।

সংগঠনের জন্য ত্যাগ স্বীকার
রাজনৈতিক জীবনে বহুবার বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ১৭ মার্চ ১৯৯২ । সেদিন ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন ২য় বার প্রকাশ্যে কাজ শুরুর পর প্রথম প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। এদিন রবিউল সংবাদ পেয়ে ক্যাম্পসে চলে আসেন। শেরে বাংলা হলে সামনে দিয়ে যাবার সময় ছাত্রমৈত্রীর সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে ৩ পূর্ব ৩১ নং রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে। ছাত্র মৈত্রীর সন্ত্রাসীরা সেদিন রবিউলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাই রবিউল ভাই সেদিন ভেবেছিলেন শহীদ হবেন। তিনি আনন্দে নফল নামাজ আদায় করতে থাকেন। সন্ধ্যার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে শিবির কর্মীরা যখন গোটা ক্যাম্পাস বাতিলে হাত হতে উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে তখন খবর পাওয়া গেলে রবিউল ভাইকে শেরে বাংলা হলে আটকে রাখা হয়েছে। শিবির কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। রবিউল ভেবেছেন শহীদ হবেন। কিন্তু যখন শিবির কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন তখন তার মনখানা মলিন হয়ে যায়। কারণ তিনি শাহাদাত লাভ করতে পারেন নি।

এরপর মাঝে মাঝেই তিনি বলতেন এখনতো আমি বোনাস জীবন কাটাচ্ছি। কারণ ১৭ মার্চেই তো আমার শাহাদাত বরণ করার কথা। ৭ই ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সাল শহীদ রবিউলের সর্বশেষ পরীক্ষা ছিল। তাই তার ফুফু তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়ে বাসায় বসে পড়তে বললেন। কিন্তু তিনি ৬ই ফেব্রুয়ারি দুনিয়ার পরীক্ষার কথা চিন্তা না করে ইসলামী আন্দোলনের কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান এবং শাহাদাত বরণ করেন। রবিউল ভাই রাজশাহী মহানগরীর জনশক্তি ছিলেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তিনি চিন্তা করতেন। যোগাযোগ রাখতেন। মাঝে মাঝে তিনি মহানগরী থেকে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেন। ছুটি নেয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির নিকট আগে ছুটি নিতেন। তারপর মহানগরীর সভাপতির নিকট যেতেন।

শাহাদাতের পূর্বে সর্বশেষ যখন শহীদ রবিউল বাড়ি থেকে আসছিলেন তখন তার মা বললেন, বাবা তোমাকে লেখাপড়ার জন্য রাজশাহীতে পাঠিয়েছি, তোমাকে তো শহীদ হওয়ার জন্য পাঠাইনি। দেখ তোমার বাবা ৭১ সালে পাকিস্তানি সৈন্যদের গুলিতে শাহাদাত বরণের পর থেকে তোমাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখছি। তুমি চাকুরি করে আমার মুখে হাসি ফুটাবে। আমি সব দুঃখ বেদনা ভুলে যাব।

শহীদ রবিউল ইসলামের চিঠি
শাহাদাতের কয়েকদিন পূর্বের ঘটনা। বাড়ি থেকে শহীদ রবিউলের আম্মা চিঠি লিখেছেন বাড়ি যাবার জন্য। তিনি সে চিঠি নিয়ে তৎকালীন সভাপতি মতিউর রহমান আকন্দ ভাইয়ের নিকট যান এবং বলেন আকন্দ ভাই, আম্মা বাড়ি যাবার জন্য চিঠি লিখেছেন এবং আমার মাস্টার্স শেষ পরীক্ষা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষার পর আমার বাড়ি যাওয়া দরকার। বিধবা আম্মার দুঃখ ঘুচানোর জন্য চাকুরী করা দরকার। তার উত্তরে আকন্দ ভাই বললেন, ‘রবিউল ভাই যে ইসলামী আন্দ্লোনকে আপনি প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসেন সে ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে আজ সহস্রাধিক ষড়যন্ত্র চলছে, ক্যাম্পাসে এহেন মুহূর্তে কি আপনার ছুটি নেয়া ঠিক হবে?’ সাথে সাথেই শহীদ রবিউল আকন্দ ভাইয়ের নিকট থেকে এক পাতা কাগজ চেয়ে নিয়ে আকন্দ ভাইয়ের উপস্থিতিতেই মায়ের নিকট একটি পত্র লিখলেন। যার ভাষা ছিল এরূপ, ‘মা, তোমার পত্র আমি পেয়েছি। আমার পরীক্ষা আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি শেষ, বর্তমানে ক্যাম্পাসের অবস্থা ভাল না, তাই কয়েকদিন পরই চলে আসব ইনশাআল্লাহ। তার পর চাকুরি নিয়ে তোমার মনের সকল আশা পুরণ করতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আর যদি আমি শহীদ হই তাহলে আমার জন্য যেন কেঁদো না মা। তোমার সাথে আমার দেখা হবে জান্নাতের সেই সিঁড়িতে।

শহীদেরা জান্নাতের গোলাপ। তাদের ব্যতিরেকে কিভাবে আল্লাহর জান্নাতের শোভা বর্ধন করবেন? শয়নে, স্বপনে, জাগরণে সকল সময় যার মুখে একটি বাক্যই বের হত শাহাদাত, শাহাদাত, সেই শাহাদাত থেকে কিভাবে মহান প্রভু তাকে বঞ্চিত করবেন।

একনজরে শহীদ রবিউল ইসলাম
নাম রবিউল ইসলাম
পিতার নাম: মরহুম মোসলেহ উদ্দিন মিয়া
সাংগঠনিক মান : সদস্য প্রার্থী
সর্বশেষ পড়াশোনা : এমএসসি শেষ বর্ষ, উদ্ভিদবিদ্যা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষার বিশেষ কৃতিত্ব : এসএসসি ও এইচএসসি প্রথম বিভাগে।
যাদের হাতে শহীদ : ছাত্রদল নেতৃত্বধীন ছাত্রঐক্য।
শহীদ হওয়ার তারিখ : ০৬.০২.১৯৯৩
স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম ছোট নিজামপুর, ডাক লক্ষণপুর থানা: শার্শ, জেলা যশোর।

শহীদের উল্লেখযোগ্য বাণী
শহীদ রবিউল ইসলাম সেদিন যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন তা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয় বরং বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে চিরদিন। যখন সন্ত্রাসীদের বুলেটের আঘাতে আহত হয়ে আমাদের ভাইয়েরা পিছিয়ে আসছিলেন তখন শহীদ রবিউল সাহাবীদের ন্যায় চিৎকার করে বলেছিলেন, হে আমার ভাইয়েরা তোমরা পিছিয়ে যাচ্ছ কেন? আমি তো বেহেশতের সুঘ্রাণ পাচ্ছি। আল্লাহর কসম, তোমরা পিছপা হয়ো না। এরই মধ্যে সন্ত্রাসীদের একটি বুলেট এসে তার তলপেটে বিদ্ধ হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি শাহাদাত বরণ করেন শাহাদাতের দুদিন আগে তিনি তার মাকে লিখেন, আমি শহীদ হলে কেঁদো না মা, তোমার সাথে আমার দেখা হবে জান্নাতের সিঁড়িতে।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ রবিউল ইসলাম

পিতা

মোসলেহ উদ্দিন মিয়া

জন্ম তারিখ

নভেম্বর ৩০, -০০০১

স্থায়ী ঠিকানা

ছোট নিজামপুর, লক্ষণপুর, যশোর

সাংগঠনিক মান

সদস্য প্রার্থী

সর্বশেষ পড়ালেখা

মাস্টার্স শেষ বর্ষ, উদ্ভিদবিদ্যা

শাহাদাতের স্থান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়