শহীদ মোঃ মোক্তার হোসেন

২০ জানুয়ারি ১৯৯২ - ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ১৪৮

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

“ঐদিন মায়ের বিছানাতেই মোক্তার ফজরের নামাজ পড়েছেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘বিড়াল হয়ে ১০০ বছর বেঁচে থাকার চাইতে সিংহ হয়ে একদিন বেঁচে থাকা ভাল।’ পত্রপত্রিকায় অনেক শাহাদাতের খবর আসছে দেখে মা শঙ্কিত হলে তিনি বলতেন, ‘আপনারতো দুই ছেলে আমি শহীদ হলে আর কী হবে?’ মা ভয়ে বলতেন, ‘তোকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখবো।’ তিনি উত্তর দিতেন, ‘সাঈদী হুজুরের রায়ের দিন আমাকে বেঁধে রাখতে পারবেন না। যদি ১০ জনের কিছু হয় আমার কথা শুনবেন। শাহাদাতের পর বড় ভাই স্বপ্নে দেখেন মোক্তার চমৎকার পোশাক পরে হুন্ডা চালিয়ে এসেছে। বড় ভাই বললেন, তুমি না মারা গেছ?”

শহীদ পরিচিতি
শহীদ মোক্তার হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের রাজাখার চর গ্রামে ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আলমগীর হোসেন খান ও মাতা আমেনা খাতুনের তিন সন্তানের ভেতর তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। পড়ালেখা করতেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীতে। স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে ভালো চাকরির জন্য বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে বাবা-মার মুখে হাসি ফোটাবেন। কিন্তু পুলিশের বুলেট সদা হাস্যোজ্জ্বল তরুণ মোক্তারের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দিল না। পুত্রহারা মোক্তারের বাবা-মা শোকে দিশেহারা। শহীদ মোক্তার এখন শুধুই স্মৃতি, শুধুই ইতিহাস।

যেভাবে তিনি আল্লাহর ডাকে চলে গেলেন
সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। এ দিন ছিল কথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণার দিন। প্রহসনের আদালত বাতিলের দাবিতে এবং মামলার রায় ঘোষণার প্রতিবাদে সেদিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী হরতাল আহ্বান করে। হাজার হাজার আবালবৃদ্ধবনিতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল সফল করতে রাস্তায় নামে। কলেজছাত্র মোক্তারও প্রাইভেট পড়া শেষ করে লোকজনের সাথে হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে আসেন আল্লামা সাঈদীর প্রতি শ্রদ্ধার টানে। লোকজন জড়ো হয়ে প্রতিবেশী চন্ডিদাসগাঁতি বাজারে এসে সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ-র‌্যাব এসেও জনগণকে সরাতে পারেনি রাস্তা থেকে। বেলা ২টার দিকে নামাজ ও খাওয়ার জন্য সড়কে লোকসমাগম কমে যায়। এ সময় পুলিশ ও র‌্যাব সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষিপ্ত জনতার ওপর বেপরোয়া গুলি চালায়। পুলিশের নিক্ষিপ্ত গুলি সাহসী তরুণ মোক্তারের বাম বাহুতে লেগে বুকের ভেতর ঢুকে গিয়ে পেছন দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। গুলির আঘাতে কলেজছাত্র মোক্তার ছটফট করতে থাকেন। এমতাবস্থায় সহপাঠীরা তাকে হসপিটালে নিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসার অভাবে শাহাদাত বরণ করেন কলেজছাত্র মোক্তার হোসেন। পরে ঐ দিন রাতে কয়েলগাঁতি বাজারে পুলিশের চাপে পোস্টমর্টেম ছাড়াই কয়েক হাজার লোকের অংশগ্রহণে এবং মাওলানা আবু তাহেরের ইমামতিতে শহীদের জানাযা সম্পন্ন হয়। ১৪৪ ধারা জারি করার কারণে জানাযা পূর্ব-পরে কোন মিছিল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান করা হয়।
পরদিন জাতীয় পত্রিকাসমূহে এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর আসে।

দৈনিক আমার দেশ ১ মার্চ ২০১৩ এ নিম্নরূপ রিপোর্ট করে :
সিরাজগঞ্জে নিহত ২ : জেলা সদরের চণ্ডিদাসগাতিতে পুলিশ ও জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষে ২ শিবিরকর্মী নিহত ও কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে হরতাল পালন করেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বাধে। হঠাৎ করেই পুলিশ জনতার সমাবেশে চাইনিজ রাইফেল থেকে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ শুরু করে। মুহুর্মুহু গুলি, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। এতে ২৫ শিবির নেতাকর্মী আহত ও ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। হাসপাতালে নেয়ার পথে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রাজাখাঁর চরের আলমগীর হোসেনের ছেলে মুক্তার হোসেন (১৮) ও চণ্ডিদাসগাঁতির আবদুল জলিলের ছেলে রুহুল আমিন (২০) নিহত হন। হরতাল সমর্থকদের ইটপাটকেলে র‌্যাবের একটি গাড়ি তিব্রক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে পুরো এলাকা ছিল রণত্রে। আহতদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েও পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তি হননি। সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জন ডা: গোলাম রব্বানী তালুকদার দু’জন নিহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পুরো সিরাজগঞ্জে ভীতিকর অবস্থায় বিরাজ করছে। জেলাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও রিজার্ভ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ৪ শিবির কর্মীকে আটক করেছে।

দৈনিক সংগ্রাম ১ মার্চ, ২০১৩ এ নিম্নরূপ রিপোর্ট করে:
সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চন্ডীদাসগাঁতিতে পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে হরতাল সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে ২ জন শিবিরকর্মী শাহাদতবরণ করেছেন। আহত হয়েছে ৫ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করতে র‌্যাব ও পুলিশ শতাধিক রাউন্ড শটগানের গুলি এবং টিয়ারশেল ছোড়ে। এ সময় অন্তত আরো ২০ জন হরতাল সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে, সদর উপজেলার চন্ডিদাসগাঁতি এলাকায় স্থানীয় বাজারে হরতাল সমর্থকেরা সকাল থেকে রাস্তার ওপর শান্তি-পূর্ণভাবে পিকেটিং করছিল। হঠাৎ করে ১২টার দিকে পুলিশ, র‌্যাব অতর্কিত সেখানে গিয়ে পিকেটারদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পুলিশ, র‌্যাব তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শতাধিক রাউন্ড শটগানের গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই রাজাখার চর গ্রামের শিবিরকর্মী মুক্তার হোসেন (১৮) (পিতা আলমগীর হোসেন) নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয় অন্তত আরো ২০ জন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চন্ডীদাসগাঁতি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শিবির কর্মী রুহুল আমিনকে (১৬) সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সংঘর্ষ চলাকালে সাধারণ জনতা পুলিশ ও র‌্যাবের ৩টি গাড়ি ভাঙচুর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ শিবির নেতা শাফীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহাদাতের পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা
অবস্থা সংকটাপন্ন না হলেও শহীদ মোক্তারের বাবা ছেলের চাওয়া অপূর্ণ রাখেননি। তাই মোক্তারের চাওয়া অনুযায়ী কিছু দিন আগে বাবা আলমগীর ছেলেকে একটি সাইকেল কিনে দিয়েছেন। প্রতিবেশীরা বললেন, ‘কয়েক দিন আগে বাড়ির পাশে মসজিদের ওয়াজ মাহফিল আয়োজনে মোক্তারের পরিশ্রম ও আগ্রহ কোনোভাবেই ভুলতে পারি না।’ শহীদের বাবা-মা ও প্রতিবেশী নারী-পুরুষ মোক্তারের কথা বলতেই বারবার ডুকরে কেঁদে ওঠে বলেন, ‘মোক্তারের মতো এমন ভালো ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের যেন আল্লাহ বিচার করেন।’

শহীদের আপনজনদের কথা
শহীদের বাবা : মোক্তার হোসেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। সাঈদী সাহেবের ওয়াজ শুনতো। কোন জায়গায় মাহফিল হলেই চলে যেতো। এমনকি নিজেও মাহফিলের আয়োজন করতো। কয়েকদিন আগেই আমাদের মসজিদের ওয়াজ মাহফিলের জন্য কতই না খাটাখাটনি করেছে। এসব কাজে আমি ওকে বাধা দিতাম না। কারণ জানতাম আমার ছেলে ইসলামের ওপর আছে। সেদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ প্রাইভেট পড়ে এসে কাসে হবে না বলে বাড়ি থেকে সে বেরিয়ে যায়। দুপুরে খবর শুনি বাবা আমার পুলিশের গুলি খেয়েছে। বাবার ম"ত্যু আমি সহ্য করতে পারি না। রাতে ঘুম হয় না, ভালো করে খেতেও পারি না। শুধুই বাবার কথা মনে হয়। আমার বাবাকে যারা মেনে ফেলেছে আমি তাদের বিচার চাই। আর আল্লাহ যেন তাদের শাস্তি দেন। আরেকটি কথা, বাবা যে জন্য মারা গেছে তা যেন সফল হয়। সাঈদী সাহেব যেন মুক্তি পান। তাহলে বাবা মারা যাওয়ার কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে।

শহীদের মা : শহীদ মোক্তারের মা তার কলিজার টুকরোকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। ছেলের স্মৃতি উল্লেখ করে বললেন, ‘ছেলে আমার বড় হলেও অনেক সময় বায়না ধরতো ভাত মাখিয়ে দিতে, গত ১০ মাস আগে পর্যন্তও ওকে ভাত খাওয়ায়ে দিতেন তার মা নিজে। ও ইসলামের কথা বলতো, সাঈদী সাহেবের জন্য দোয়া করতে বলতো। আমি মাঝে মাঝে বলতাম দিনকাল ভালো না, সব জায়গায় যাইও না। ও শুনে বলতো ‘আমি আল্লাহর পথে শহীদ হই তুমি কি চাও না?’ আল্লাহ তায়ালা ওর কথা কবুল করবেন তা আমি ভাবতেই পারিনি বলেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন শহীদ মোক্তারের মা। ছেলের ব্যবহৃত জামা-কাপড় পড়ার বই, পুস্তক জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করেন। আর ছেলে হত্যার বিচার দাবি করছেন। ঐদিন সে মায়ের বিছানাতেই ফজরের নাম পড়েছে। সে একটি কথা প্রায়ই বলতো, বিড়াল হয়ে ১০০ বছর বেঁচে থাকার চাইতে সিংহ হয়ে একদিন বাঁচা ভাল। পত্রপত্রিকায় তখন অনেক শাহাদাতের খবর আসছে এগুলি দেখে শঙ্কিত হলে তিনি মাকে বলতেন ‘আপনার তো দুই ছেলে, আমি শহীদ হলে আর কী হবে?’ আমি ভয়ে বলতাম তোকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখবো। সে উত্তর দিত, সাঈদী হুজুরের রায়ের দিন আমাকে বেঁধে রাখতে পারবেন না। যদি ১০ জনের কিছু হয় আমার কথা শুনবেন। শাহাদাতের পর সে স্বপ্নে দেখে ছোট ভাই মোক্তার চমৎকার পোশাক পরে হুন্ডা চালিয়ে এসেছে। বড় ভাই বললেন, তুমি না মারা গেছ?

শহীদের ভাই : শহীদের বড় ভাই বনি আমিন বলেছেন, তার ভাই খুব ভালো ছিল। গ্রামের সবাই তাকে ভালবাসতো। ভাইয়ের জন্য তার খুব খারাপ লাগে বলে জানিয়েছেন। শাহাদাতের পর তিনি স্বপ্নে দেখেন ছোট ভাই মোক্তার চমৎকার পোশাক পরে হুন্ডা চালিয়ে এসেছে। বড় ভাই বললেন, তুমি না মারা গেছ?
প্রতিবেশী নারী-পুরুষ সহপাঠী সবাই বলেছেন, মোক্তার ছেলে হিসেবে খুবই ভদ্র ছিল। নিয়মিত নামাজ পড়তো, সামাজিক বিভিন্ন কাজে সে এগিয়ে আসতো এবং কারো সাথে কখনও বেয়াদবি করেনি। প্রতিবেশী সবাই মোক্তার হত্যার জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে দায়ী করেছেন এবং বিচার চেয়েছেন।

ব্যক্তিগত প্রোফাইল

নাম : শহীদ মোক্তার হোসেন (০৪২) পড়ালেখা করতেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীতে এবং ছাত্রশিবিরের সাথী ছিলেন। স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে ভালো চাকরির জন্য বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে বাবা-মার মুখে হাসি ফোটাবেন।

জন্ম তারিখ ও বয়স : ২০ জানুয়ারি ১৯৯২ সাল, বয়স প্রায় ২১ বছর।
আহত হওয়ার তারিখ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ’১৩, পুলিশের নিক্ষিপ্ত গুলি সাহসী তরুণ মোক্তারের বাম বাহুতে লেগে বুকের ভেতরে ঢুকে গিয়ে পেছন দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসার অভাবে শাহাদাত বরণ করেন কলেজছাত্র মোক্তার হোসেন।
শাহাদাতের তারিখ : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ’১৩, ওই দিন রাতে কয়েলগাঁতি বাজারে পুলিশের চাপে পোস্টপমর্টেম ছাড়াই কয়েক হাজার লোকের অংশগ্রহণে এবং মাওলানা বাবু তাহেরের ইমামতিতে শহীদের জানাযা সম্পন্ন হয়।
স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম : রাজাখাঁর চর, ডাকঘর : কয়েলগাঁতি, উপজেলা : সিরাজগঞ্জ সদর, জেলা : সিরাজগঞ্জ।
পিতা : মো: আলমগীর হোসেন খান, বয়স প্রায় ৫০ বছর, কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
মাতা : আমেনা খাতুন, বয়স প্রায় ৪৫ বছর, গৃহিণী।
ভাইবোনের বিবরণ : মো: বনি আমিন, বয়স প্রায় ২৪ বছর। কালেক্টরেট ভবনে চাকরি করেন। বন্যা খাতুন, বয়স প্রায় ১২ বছর, মাদ্রাসার ছাত্রী।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ মোঃ মোক্তার হোসেন

পিতা

মো: আলমগীর হোসেন খান

মাতা

আমেনা খাতুন

জন্ম তারিখ

জানুয়ারি ২০, ১৯৯২

ভাই বোন

২ভাই ১বোনের মধ্যে ২য়

স্থায়ী ঠিকানা

গ্রাম : রাজাখাঁর চর, ডাকঘর : কয়েলগাঁতি, উপজেলা : সিরাজগঞ্জ সদর, জেলা : সিরাজগঞ্জ

সাংগঠনিক মান

সাথী

সর্বশেষ পড়ালেখা

সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীতে

শাহাদাতের স্থান

চন্ডিদাসগাঁতি বাজারে


শহীদ মোঃ মোক্তার হোসেন

ছবি অ্যালবাম: শহীদ মোঃ মোক্তার হোসেন


শহীদ মোঃ মোক্তার হোসেন

ছবি অ্যালবাম: শহীদ মোঃ মোক্তার হোসেন