শহীদ আবিদ বিন ইসলাম

৩১ মার্চ ১৯৯৫ - ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ১৪৫

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

“বাবা বলেন, আমার ছেলে আরো ৫ বছর বেঁচে থাকলে হয়তো এই এলাকায় ইসলামের আলোমুক্ত কেউ থাকতো না। ছেলে-বুড়ো সবার সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। তার সাইকেলে চড়েনি এমন ছেলে এলাকায় কমই ছিল! তার কম্পিউঢৗর ছিল সকলের জন্যে উন্মুক্ত। ... সে অনেক স্বপ্ন দেখতো! কিন্তু এতো কিছুর পরও আবিদ হয়তো অনুভব করতো খুব শীঘ্রই সে মহান প্রভুর সান্নিধ্যে ঢলে যাবে। আর তাইতো ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর আবিদ তার ডয়েরিতে লিখেছিল, ‘আমার মনের সকল আশা পূরণ হবে না / এমন করে চলে যাবো কেউতো বুঝবে না’।”

শহীদের পরিচিতি
শহীদ আবিদ বিন ইসলাম চটগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপূর গ্রামে ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন পিতা মো: মনিরুল ইসলাম ও মাতা উম্মে ছালমার দুই সন্তানদের মধ্যে ছোট সন্তান। তার বাবা চট্টগ্রাম বারের একজন আইনজীবী। বড় ভাই আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েন। এই দুই সন্তানকে নিয়ে মা-বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল। তিনি ছিলেন অত্যন্ত- কোমল প্রকৃতির এবং ইসলামের রীতিনীতির ওপর পূর্ণ আস্তাশীল। ইসলামী আন্দোলনের কাজে তিনি ছিলেন খুবই নিবেদিতপ্রাণ। ছেলে-বুড়ো সবার কাছে তিনি এক ডাকে আবিদ নামে পরিচিত ছিলেন। দাওয়াতি কাজ করতে গিয়ে তিনি এলাকার সকল ছাত্রের হৃদয় জয় করেছিলেন খুবই অল্প সময়ে। তিনি ছিলেন খুবই সাহসী এবং কৌশলী।

যেভাবে তিনি আল্লাহর ডাকে চলে গেলেন
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেয়ার পর তৌহিদী জনতা এই রায়কে অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করে বিকেলে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ দেওয়ানহাট মোড়ে তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে। রাত সাড়ে ৮টায় শহীদ আবিদ বাসা থেকে রের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতন করে এবং পুলিশ খুব কাছ থেকে গুলি করে তার দু’টি চোখ উপড়ে ফেলে পুরো শরীর তবিত করে ফেলে। বেশ রাত পর্যন্ত শহীদ আবিদ ভাই বাসায় না ফেরায় তার বাবা হাসপাতালে খুঁজতে যান । সেখানে না পেয়ে ফেরার পথে একটি ভ্যানে তার মৃতদেহ দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় পোস্টমর্টেম করে লাশ হস্তান্তর করার পর বাদ মাগরিব হালিশহর বিডিআর মাঠে জানাযা শেষে বি ব্লক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তার জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল করীম। জানাযায় উপস্থিতি ছিলো প্রায় ১৫ হাজার লোক।

সামগ্রিক ঘটনার বিবরণ
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়ার পর তৌহিদী জনতা এই রায়কে অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করে। পরের দিন সারাদেশে হরতাল কর্মসূচি দেয়া হয়। পরের দিনের হরতালের সমর্থনে রাতে মিছিল হয়। রাত ০৮.৩০ মিনিটে শহীদ আবিদ বিন ইসলাম মিছিলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতন করে। এমনকি পুলিশ খুব কাছ থেকে গুলি করে এবং তার দু’টি চোখ উপড়ে ফেলে পুরো শরীর তবিত করে দেয়। এতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। রাত ৯টা পর্যন্ত শহীদ আবিদ ভাই বাসায় না ফেরায় তার বাবা হাসপাতালে খুঁজতে যান। সেখানে না পেয়ে ফিরার পথে একটি ভ্যানে তার মৃতদেহ দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। একদিন পরে জাতীয় দৈনিকসমূহে এ বিষয়ে বিস্তারিত নিউজ আসে।

দৈনিক আমার দেশ ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তারিখে লিখে :
চট্টগ্রাম পুলিশের নির্মমতা : চোখ তুলে আরও এক শিবির নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা । গুলিবিদ্ধ ও চোখ উৎপাটন করা লাশ মিললো চট্টগ্রামের ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা আবিদ বিন ইসলামের। পরিবারের অভিযোগ পুলিশ হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় চট্টগ্রাম সিটি কলেজের এইচএসসি পড়ুয়া মেধাবী এই শিক্ষার্থী তার দু’টি চোখই তুলে নেয়া হয়। শরীরে ছিল দু’টি গুলির চিহ্ন।

আবিদের মৃত্যুর পর পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার বাবা অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম ও মা স্কুলশিক্ষিকা নার্গিস ছেলেকে হারিয়ে এখন অনেকটাই নির্বাক। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবিদ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী পর্যায়ের নেতা ছিলেন। তার এবার চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। বাবা-মার সাথে আবিদ থাকতেন নগরীব হালি শহরে।

তারা বাবা অ্যাডভোকেট ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমার দেশকে বলেন, ‘ঘটনার সময় অনেক মানুষ দেখেছে আমার ছেলেকে আরও কয়েকজনের সঙ্গে পুলিশ দেওয়ানহাট মোড় থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। যে ছেলে পুলিশের হাতে ছিল সে লাশ হয়ে হাসপাতালে গেল কিভাবে?”

অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পুলিশ আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে উদ্ধারের নাটক সাজিয়েছে। এর বিচার আমি কার কাছে চাইবো?’

শাহাদাতের পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা

তিনি খুব ছোটবেলা থেকেই ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। এসএসসি পরীক্ষার পূর্বেই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী শপথ গ্রহণ করেন এবং নতুন পাড়া উপশাখা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২ অক্টোবর তার ডায়েরিতে লেখা : আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা সম্পর্কিত নিজের লেখা কবিতা : 

“আমার মনের সকল আশা পূরণ হবে না

এমন করে চলে যাবো কেউ তা বুঝবে না।”

দুই চোখ যেন ভালোবাসার দীপশিখা
শহীদ আবিদের মায়াময় চোখগুলোই ছিল আকৃষ্ট করার মতো। যে কেউ একবার তাকাতো সে কখনোই তার ওপর রাগ ধরে রাখতে পারতো না। আবিদের আব্বু বলছেন : আমি যতোবারই তার ওপর বিভিন্ন কারণে রাগ করে তাকে বকা দিতে গিয়েছি যখনই তার দু’চোখে আমার চোখ পড়েছে তখনই আমার রাগ গলে পানি হয়ে গিয়েছে। তার চোখ ছিল মায়া আর ভালোবাসার প্রদীপ। ওই দু’চোখে যার চোখ একবার পড়বে সে কখনোই তার শত্রু হতে পারবে না। মা বললেন, এ জন্যই পুলিশ আর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে তার চোখ উপড়ে ফেলে। কারণ তারা তার চোখের জ্যোতিকে সহ্য করতে পারতো না। দু’চোখ দিয়ে সে একবার যাকে একঢি মুহূর্তের জন্য দেখেছে তাকে কখনোই ভুলতো না। চোখতো নয় যেন হরিণের দৃষ্টি।

রাত জাগা পাখি
সারা দিন টই টই করে ঘুরলেও রাতে বাসায় ফিরে পড়তে বসতে চাইতো না। মা সারাণ পাহারা দিয়ে রাখতেন যেন পড়ার টেবিলে থাকে। কিন্তু মা একটু আড়াল হলেই দু’ভাই আড্ডা জুড়ে দিতো। মাঝে মাঝে ঝগড়া বাধাতো। রাত জেগে গল্পের বই পড়া। শিবিরের সাথী হওয়ার পর কুরআন-হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য পড়েই সময় কেটে যেতো। তার সংগ্রহে বইয়ের সংখ্যা অগণিত। মাঝে মাঝে মনের ভাবনাগুলোকে সাজিয়ে কবিতা বানাতো। শাহাদাতবরণের কয়েকদিন আগে তার লেখা কবিতার নাম ‘মানবতা’।

মানবতা শুধু তোমাদের জন্য নয়
মানবতা সবসময় নিরপে হয়।
মানবতা কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয়
বরং মানবতা মজলুমের কথা কয়।
আজ দেশে দেশে শুনি মুসলমানদের প্রতি নির্যাতন
আর মানবতা হয়ে গেল তাদের জন্য অসহায় অবচেতন
তোমরাই বল মানবতা! তোমরাই বলো মানবাধিকার!
অথচ দেখো ফিলিস্তিনের শিশুরা করে হাহাকার।
যুদ্ধের পর যুদ্ধ করো তোমরা
আর জঙ্গি হয় মুসলমানেরা। একি মানবতা ! একি মানবতা!
আবিদের স্বপ্ন ও সখ
শহীদ আবিদ বিন ইসলামের স্বপ্ন ছিল অনেক বড় ব্যারিস্টার হওয়া। মাঝে মাঝে আবিদ তার আব্বুকে বলতো, আব্বু আমি তোমার থেকে অনেক বড় আইনজীবী হবো ইনশাআল্লাহ। বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করা, ছবি তোলা, গান শুনা, গান গাওয়া ও চিত্রশিল্পী হওয়া ছেলে শহীদের অনেকগুলো সখের মধ্যে অন্যতম।

আদর্শ সংগঠক
দশম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় আবিদ শিবিরের সাথী হলেন। বেড়ে গেল কাজ। কাজের পরিধি। সারাদিন টই টই করে ঘুরে বেড়ানো আবিদ আর বর্তমানের আবিদের মাঝে বিরাট পার্থক্য দেখা দিল। ২০১৩ সালের রিপোর্ট বইয়ের শুরুতে আবিদ লিখলো নতুন বছর নতুন প্রাণ : উপশাখায় কাজ হবে আর খুশি হবেন আল্লাহ মহান। উপশাখার কাজ নিয়ে কতো কি যে ভাবতেন তার নিয়মিত ডায়েরি তার সাথী। নিয়মিত কর্মী বৃদ্ধি, উপশাখার প্রোগ্রামাদি বাস্তবায়নে আবিদ ছিলেন অনেক পারদর্শী দায়িত্বশীল। উপশাখার একজন দায়িত্বশীলের নিয়মিত কাজ কিভাবে আঞ্জাম দিতে হয় আবিদ তার উজ্বল- উদাহরণ।

সংগ্রামী পথিক
চলমান আন্দোলন সংগ্রামে আবিদ ছিলেন অগ্রসেনানীদের অন্যতম একজন। আন্দোলন সংগ্রামে আবিদকে দেখা যেতো সবসময় সম্মুখভাগে। মিছিল, মিটিং, পিকেটিং সবকিছুতেই তার অংশগ্রহণ ছিল অগ্রগণ্য। নিজের রিপোর্ট বইয়ের কভার পেজে তার হাতের লেখা উক্তিগুলো (সংগ্রামী ২০১৩, আন্দোলনের ২০১৩, আন্দোলনের চূড়ান্ত- সময়) আন্দোলনবিমুখ জনশক্তিদের জন্যে হেদায়েতের আলো এবং যারা আন্দোলনে চলমান তাদের ঈমানি শক্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। নিজের নামের পিছনে লিখতেন ‘সংগ্রামী পথিক’। কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুক্তির জন্যে সবসময় আব্বু আম্মুকে দোয়া করতে বলতেন। আর এসময়ে যারা আন্দোলনে যাবে না তাদেরকে তিনি মোনাফেক ভাবতেন। আব্বু-আম্মু কখনো মিছিলে যেতে বারণ করলে তাদেরকে এ কথা সরাসরি স্মরণ করিয়ে দিতেন। এভাবে আবিদ অনেক কিছু ভাবতেন। অনেক স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু এতো কিছুর পরও আবিদ জানতেন খুব শীঘ্রই তিনি মহান প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যাবেন। আর তাইতো ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আবিদ তার ডায়েরিতে লিখলেন :
‘আমার মনের সকল আশা পূরণ হবে না/এমন করে চলে যাবো কেউতো বুঝবে না।’

শহীদের আপনজনদের কথা
শহীদ আবিদ বিন ইসলাম ছিলেন একটি সম্ভাবনাময় ফুলের কুঁড়ি। বাতিলেরা চেয়েছিল এই ফুলের কুঁড়িকে সুবাস ছড়ানোর পূর্বেই নিঃশেষ করে দিতে।
বাবার উক্তি : আমার ছেলে আরো ৫ বছর বেঁচে থাকলে হয়তো এই এলাকায় ইসলামের আলোমুক্ত কেউ থাকতো না। ছেলে-বুড়ো সবার সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল। তার সাইকেলে চড়েনি এমন ছেলে এলাকায় কমই ছিল। তার কম্পিউটার ছিল সকলের জন্য উন্মুক্ত।

বন্ধুর পিতা : সে ছিল খুবই নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও সৎ চরিত্রের অধিকারী। এলাকার সকলের কাছে সে পরিচিত ছিল। সবার সুখে-দুঃখে সে সবার আগে থাকতো। সে খুবই সাহসী ছেলে ছিল। নেতৃত্ব ও দাওয়াতি কাজের সকল গুণাবলি তার মধ্যে বিদ্যমান ছিল। আল্লাহ তায়ালা তাকে তাঁর দ্বীনের জন্য কবুল করে নিয়ে গেছেন। তার শাহাদাতের পর এলাকার সাধারণ পরিবারের অসংখ্য ছেলেরা বন্ধু শোকে কয়েকদিন পর্যন্ত- না খেয়ে ছিল।

ব্যক্তিগত প্রোফাইল
নাম : শহীদ আবিদ বিন ইসলাম (০৮১)

পেশা : ছাত্র

জন্ম তারিখ ও বয়স : ৩১.৩.১৯৯৫ ইং, ১৮ বছর 
আহত হওয়ার তারিখ : ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ইং, গুলিবিদ্ধ ও দুই চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে
শাহাদাতের তারিখ : ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ইং, রাত ১০টা

স্থান : আগ্রাবাদ দেওয়ানহাট মোড়

দাফন করা হয় : পারিবারিক কবরস্থানে

স্থায়ী য়ী ঠিকানা : গ্রাম : ইজ্জতপুর, রহমতপুর, ডাকঘর : রহমতপুর, থানা : সন্দ্বীপ, জেলা : চটগ্রাম 

পিতা : মো: মনিরুল ইসলাম; ৪৫ বছর, আইনজীবী চট্টগ্রাম বার
মাতা : উমে সালমা, ৩৮ বছর, বাগমনিরাম সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা 
ভাইবোনের বিবরণ : জিহাদ বিন ইসলাম; শহীদ আবিদ বিন ইসলাম

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ আবিদ বিন ইসলাম

পিতা

মো: মনিরুল ইসলাম

মাতা

উম্মে সালমা

জন্ম তারিখ

মার্চ ৩১, ১৯৯৫

ভাই বোন

২ভাইয়ের মধ্যে ছোট

স্থায়ী ঠিকানা

গ্রাম : ইজ্জতপুর, রহমতপুর, ডাকঘর : রহমতপুর, থানা : সন্দ্বীপ, জেলা : চটগ্রাম

সাংগঠনিক মান

সাথী

সর্বশেষ পড়ালেখা

এইচএসসি পরিক্ষাথী

শাহাদাতের স্থান

আগ্রাবাদ দেওয়ানহাট মোড়


শহীদ আবিদ বিন ইসলাম

ছবি অ্যালবাম: শহীদ আবিদ বিন ইসলাম


শহীদ আবিদ বিন ইসলাম

ছবি অ্যালবাম: শহীদ আবিদ বিন ইসলাম