শহীদ মুহাম্মদ ইমরান খান

৩০ আগস্ট ১৯৯৩ - ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ | ১৪৪

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

পিতার বক্তব্য : দ্বীনের কাজে পাগল ছিল আমার ছেলে। আমার সাথে বন্ধুর মত সব কিছু শেয়ার করতো। ছোট ভাইবোনদের পড়ালেখা ও অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করতো এবং ভাইবোন সবাই বন্ধুর মতো চলতো। আমার অনেক স্বপ্ন ছিল ছেলেকে নিয়ে। আমার কোন ব্যাংক ব্যালেন্স নেই, এই সন্তানরাই আমার একমাত্র ব্যাংক ব্যালেন্স। বছরের শেষ দিন সে তার ডায়েরিতে লিখলো :

“আজ ঘুমানোর আগে আমার একটাই প্রার্থনা যেন আগামী ফজরের নামাজটা আমি জামায়াতে আদায় করতে পারি, নতুন বছরের সকালটা যেন মসজিদে নামাজের মাধ্যমে শুরু হয়।”

শহীদের পরিচিত
শহীদ মো: ইমরান খান পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার কেনাই গ্রামে ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তিু পরিবারের সবাই মিলে থাকতেন চট্টগ্রাম। তিনি ছিলেন পিতা মো: বাবুল খান ও মাতা জান্নাতুল ফেরদৌসের চার সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান। শহীদ ইমরান ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে সবার বড় হওয়ায় মা-বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল তাকে ঘিরে। ছেলে বড় ইঞ্জিনিয়ার হবে, সংসারের হাল ধরবে, ছোট ভাই-বোনদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলবে ইত্যাদি। বাবা একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি অত্যন্ত ভদ্র এবং মৃদুভাষী ছিলেন। ছোট ভাইবোনদের সাথে খুব মিলে মিশে বন্ধুর মতো চলতেন। প্রতি মাসে টিউশনি করে পিতা-মাতাকে ২-৩ হাজার টাকা দিতেন। সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ছিল তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

যেভাবে তিনি আল্লাহর ডাকে চলে গেলেন
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেয়ার পর তৌহিদি জনতা এই রায়কে অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করে বিকালে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম অলঙ্কার মোড়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। অলঙ্কার মোড় থেকে দেওয়ানহাটের রাস্তায় দিকে যেতে থাকলে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অতর্কিতভাবে টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। তখন শহীদ ইমরান খান বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় ২ ঘণ্টা যাবৎ পুলিশ পরিবেষ্টিত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন শহীদ ইমরান, সে অবস্থাই তিনি শাহাদাত বরণ করেন। পুলিশ নিজেরা চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেনি, কাউকে ব্যবস্থা করতেও দেয়নি। এমনকি পুলিশ কাউকে কাছে যেতে দেয়নি। পরে পুলিশ তাকে টেনে হিঁচড়ে পাহাড়তলী থানায় নিয়ে যায়। ১ ঘণ্টা সেখানে রেখে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এভাবেই পুলিশি বর্বরতায় শহীদ হন শহীদ মো: ইমরান খান। তার পাঁচবার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাজা : প্যারেড ময়দানে গায়েবানা জানাজা পড়ান মাওলানা শামছুল ইসলাম এমপি। উপস্থিতি প্রায় ৪০ হাজার। চতুর্থ জানাজা পাবনার দিঘুমিয়া মাদ্রাসা মাঠে উপস্থিতি ২৫ হাজার। গ্রামের বাড়ি কেনাই কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সামগ্রিক ঘটনার বিবরণ
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে জনাব আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়ার পর তৌহিদি জনতা এই রায়কে অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করে বিকালে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম অলঙ্কার মোড়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অতর্কিতভাবে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। তখন শহীদ ইমরান খান বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এর বিস্তারিত খবর পরের দিনের জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিতভাবে আসে। দৈনিক আমার দেশ ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রিপোর্ট করে;
সর্বাত্মক হরতাল : চট্টগ্রামে নিহত ৩ : পুলিশের বেপরোয়া গুলি, আজও হরতালম ঢাকা-চট্টগ্রামে বিজিবি মোতায়েন। আবু তাহের ইমরান, আগ্রাবাদে শফিক ও দেওয়ানহাট মোড়ে নিহত হন মো: আফজাল

চট্টগ্রামে শিবিরের মিছিলে পুলিশের নির্বিচার গুলি : নিহত ৩, আহত শতাধিক : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামের জামায়াত-শিবিরের বিােভ মিছিলে নির্বিচারে গুলি করেছে পুলিশ। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের গুলিতে অš-ত ৩ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে নগরীর অলঙ্কার মোড়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিার্থী আবু তাহের ইমরান, আগ্রাবাদে শফিক ও দেওয়ান হাট মোড়ে নিহত হন মো. আফজাল (২৫)। এ ছাড়া ৩৫ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে আবু তাহের ইমরান ও আফজাল শিবির কর্মী বলে জানা গেছে। আগ্রাবাদে নিহত শফিকের পুরো পরিচয় গত রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে তিনি একজন গার্মেন্টকর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গতকাল দুপুরে নগরীর অলঙ্কার মোড়ে পুলিশের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ইমরান। অন্য দিকে রাত সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদে পুলিশের গুলিতে শফিক ও দেওয়ানহাট মোড়ে পুলিশ-শিবির সংঘর্ষের সময় নিহত হন মো: আফজাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত আফজালের বাড়ি নগরীর পাহাড়তলী থানার কর্নেলহাটে।

ইমরান চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার সাথী পর্যায়ের নেতা। দুপুরে নগরীর অলঙ্কার মোড়ে পুলিশের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ইমরান। নগরজুড়ে দিনভর থেমে থেমে সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় অর্ধশত যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এদিকে বিুব্ধ শিবিরকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনতেই অসংখ্য গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়েছে বলে জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার। উৎশৃংখল শিবিরের হামলায় ১৬ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। এ ছাড়া অলঙ্কার ও মুরাদপুর এলাকা থেকে ১৫ শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ শিবিরের ৮ নেতাকর্মীকে হাতে-পায়ে গুলি করেন।

শাহাদাতের আগের বিভিন্ন ঘটনা

তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী ছিলেন। ঘটনার দিন সকালে সাথী বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে ১১ টায় বাসায় গিয়ে মায়ের সাথে দেখা করে দুপুর ১২.৩০টায় বাসা থেকে বের হয়ে অলঙ্কার মোড়ে যান। দুপুরে বাসায় যাননি। সাথী বৈঠকে সাথী ভাইদের সাথে নাস্তা করেন। সকালে বাসা থেকে যাওয়ার সময় বাবার কাছ থেকে ১৫০ টাকা নিয়েছিলেন বায়তুলমালের জন্য। আন্দোলনে যাওয়ার জন্য পিতা নিষেধ করেছেন কিন্তু কোন জবাব দেননি। তিনি কখনো মিথ্যা কথা বলতেন না।

পিতার বক্তব্য : দ্বীনের কাজে পাগল ছিল আমার ছেলে। আমার সাথে বন্ধুর মত সবকিছু শেয়ার করতো। ছোট ভাই বোনদের পড়ালেখা ও অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করতো এবং ভাই-বোন সবাই বন্ধুর মতো চলতো। আমার অনেক স্বপ্ন ছিল ছেলেকে নিয়ে। আমার কোন ব্যাংক ব্যালান্স নেই, এই সন্তানরাই আমার একমাত্র ব্যাংক ব্যালান্স।

শহীদের ব্যক্তিগত ডায়েরি থেকে...
ইমরান ছিল পৃথিবীর বাগানে সেরা ফুলগুলোর একটি। বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুলটি সবাইকে আকর্ষণ করে। যার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে মানুষ তাকে পেতে চায়। কিন্তু সুবাস ছড়ানোর আগেই নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হলো। শহীদ ইমরান যখন নবম শ্রেণীর ছাত্র তখন থেকেই সে তার জীবনের নানা ঘটনাগুলোকে প্রাঞ্জল ভাষায় ডায়েরির পাতায় তুলে রাখতো।
১৬.৯.২০০৮ এ তার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে তিনি লিখেছেন, “আমার নাম মো: ইমরান খান রাজিব। নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে আমি নবম শ্রেণীর ছাত্র। আমরা দুই ভাই দুইবোন। বাবা একজন চাকরিজীবী। মা গৃহিণী। আমার বাবার আয়ে আমাদের সংসার ভালই চলে। তবে বাবার আয় কম হলেও আমার বাবা আমাদের সবার চাহিদা পূরণ করেন। কোন কিছু অপূর্ণ রাখনে না। আমার বিদ্যালয়ের জন্য বাবা প্রতি মাসে অনেক টাকা খরচ করেন। তবে আমাদের বাসায় কোনো টিচার নেই। তাই আমি একটি কোচিং সেন্টারে পড়ি। সেখানে লেখাপড়া মোটামুটি ভালোই চলে। এখানে টিচাররা আমাদের খুবই বিশ্বাস করেন। আমরাও উনাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করি।”

আমরা বন্ধুরা সবাই সবাইকে খুব বিশ্বাস করি। বিশেষ করে রিয়াদ ও আশিক আমাকে খুব বিশ্বাস করে, আমিও তাদেরকে খুব বিশ্বাস করি। রিয়াদ মাদ্রাসায় পড়ে, তাই সে বেশির ভাগ সময় ইসলামিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। আমরা কোচিংয়ে একটা সংগঠন করেছি। সংগঠনটি একটি ইসলামিক সংগঠন। সংগঠনের প্রধান (সভাপতি) হচ্ছে রিয়াদ কারণ ও খুব ভাল ছাত্র। যেহেতু আমিও ওদের সাথে লেখাপড়ায় তাল মিলিয়ে চলতে পারি তাই আমি হলাম সহসভাপতি। এসব নির্বাচন করেছে ছাত্রইরাই। ওদের অমতে কিছুই করা যায় না। সংগঠনে সবাই সবাইকে সম্মান করে।”

তার ডায়েরিতে নিজের ব্যাপারে ইমরান লিখেছে : আসলে সত্য কথা হল, “আমি প্রেম করাকে খুবই ভয় পাই।” আমি চিন্তা করি আমি যদি প্রেম করি, তবে আমার মন সমসময় প্রেমিকার দিকে থাকবে। ঘরে পড়ালেখায়, কোন কাজে তখন মন বসবে না। তখন পড়ালেখার বারোটা বাজবে। এবং সবার থেকে বকা শুনতে হবে। মেয়েদের ফান্দে না পড়ার জন্য আমি সবসময় প্রথম বেঞ্চে বসি। আমার ওপর আমার বাবার রয়েছে অগাধ বিশ্বাস। আমি তাদের বিশ্বাসকে ভাঙতে চাই না। তাই প্রেমের সাথেও জড়াতে চাই না।”

০১.০১.২০১১ ইং তারিখে তিনি তার ডায়েরিত লিখলেন : “আজ ঘুমানোর আগে আমার একটাই প্রার্থনা যেন আগামী ফজরের নামাজটা আমি জামায়াতে আদায় করতে পারি, নতুন বছরের সকালটা যেন মসজিদে নামাজের মাধ্যমে শুরু হয়।

শহীদের অনেক স্বপ্ন ছিল নিজের জন্য একটি কম্পিউটার কেনা, তাই তিনি ২২.১০.২০১১ ইং তারিখে তার ডায়েরিতে লিখলেন, “চিন্তা করেছি ঈদের পর আমি এক মাসের জন্য চাকরিতে ঢুকবো। মূলত কম্পিউটার কেনার জন্য। নিজের একটা কম্পিউটার কেনা আমার অনেক দিনের স্বপ্ন।”

জীবনের অন্যরকম পরিবর্তন শুরু : এরই মধ্যে শান্ত ইমরান ছাত্রশিবিরে বিপ্লবী দাওয়াত পায়। তার বাসার পাশেই থাকতো উপশাখার সভাপতি রাকিবুল হাসান। স্থানীয় ভাইদের দাওয়াতে তিনি বিভিন্ন প্রোগ্রামে যাওয়া শুরু করলেন। সংগঠনের ভাইদের সাথে মেলামেশায় আস্তে আস্তে পরিবর্তন আসতে শুরু করলো তার জীবনে।

২৬.০৮.২০১১ তারিখে তিনি ডায়েরিতে লিখলেন : ‘ইদানীং আমি ছাত্রশিবিরে যোগ দিয়েছি, এখনতো আমার ক্লাস আরম্ভ হয়নি, তাই সেখানে মাঝে মাঝে সময় দিতে হয়। আমি বর্তমানে শিবিরের কর্মী এরপর আমি শিবিরের সাথী হতে চাই, শুনেছি শিবিরের সাথীদের অনেক সম্মান থাকে।”

২০১১ সালের জুলাই মাসে ইমরান শিবিরের সাথী প্রার্থী হন। সাথীপ্রার্থী হওয়ার পর নিজের জীবন নিয়ে ডায়েরিতে লিখলেন : “আজ থেকে চিন্তা করলাম জীবনে একটা রুটিন বানাতে হবে। জীবনে অনেকটা সময়ই নষ্ট করলাম। এবার একটা পরিকল্পিত রাস্তায় আসতে হবে। এ রাস্তায় আসতে হলে একটা পরিকল্পনা নেয়া খুবই জরুরি আর সেটা করার জন্য আজ বসলাম।”

এমন দায়িত্বশীল খুঁজে পাওয়া যাবে না

২০১২ সালের অক্টোবর মাসে সংগঠনের সাথী হিসেবে শপথ নেয়ার পর সদা শান্ত এই ছেলেটির সময় কেটে যেত আন্দোলনের মাঠে। তার দায়িত্ব ছিল আগ্রাবাদের ছোট পুল এলাকার ইসলাম মিয়ার ব্রিকফিল্ড উপশাখার সেক্রেটারি। তাকে দেখা যেত কখনো কর্মীদের বাসায়, কখনো শুভাকাড়ীদের সাথে নম্র আলাপচারিতায়। কখনো কথায় বা আচরণে ভুল করে ফেললে মিষ্টি করে হেসে সেই ভুল স্বীকার করতো। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও শান্ত হওয়ায় কর্মীরাও ভিড় করতো তার চার পাশে। এক দিনের ঘটনা মাস শেষে বায়তুলমালের টাকা দায়িত্বশীল বৈঠকে জমা দিতে হবে। অথচ শুভাকাঙ্খীদের বাসায় পাওয়া যায়নি বলে সব টাকা তোলা হয়নি। আব্বুকে জানাল সমস্যাটা। বাবার কাছ থেকে ১৫০ টাকা ধার নিয়ে দায়িত্বশীল বৈঠকে জমা দিলেন। দ্বীনের বিপদে অর্থনৈতিক বকেয়া করা যাবে না, হিসাব নিকাশেও স্বচ্ছ হতে হবে... এই ছিল তার মনোভাব।

ব্যক্তিগত প্রোফাইল
নাম : শহীদ মো: ইমরান খান (০৮০)

পেশা : ছাত্র।
জন্মতারিখ ও বয়স : ৩০ আগস্ট ১৯৯৩ ইং, ২০ বছর

আহত হওয়ার তারিখ : ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ
শাহাদাতের তারিখ : ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, বেলা ১টা,

স্থান : অলঙ্কার মোড়

দাফন করা হয় : গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ মুহাম্মদ ইমরান খান

পিতা

মো: বাবুল খান

মাতা

জান্নাতুল ফেরদৌসের

জন্ম তারিখ

আগস্ট ৩০, ১৯৯৩

ভাই বোন

২ ভাই ২ বোনের মধ্যে সবার বড়

স্থায়ী ঠিকানা

পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার কেনাই গ্রাম

সাংগঠনিক মান

সাথী

শাহাদাতের স্থান

অলঙ্কার মোড়


শহীদ মুহাম্মদ ইমরান খান

ছবি অ্যালবাম: শহীদ মুহাম্মদ ইমরান খান


শহীদ মুহাম্মদ ইমরান খান

ছবি অ্যালবাম: শহীদ মুহাম্মদ ইমরান খান