বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরক্ষরতা দূর করা সম্ভব-শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন বলেন, পৃথিবী যখন জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতিতে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে তখনও আমরা নিরক্ষরতার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে আছি। ফলে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সাথে আমরা পাল্লা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। বিংশ শতাব্দিতে এসেও নিরক্ষরতার অভিশাপ বয়ে বেড়ানো অনাকাঙ্খিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের ব্যবধানে নিরক্ষরতা দূর করা সম্ভব।

তিনি আজ ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সাক্ষরতা কর্মসূচি পালনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, একটি জাতির উন্নতির অন্যতম নিয়ামক শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। শিক্ষিত ও যোগ্যতা সম্পন্ন নাগরিক নিয়ে পৃথিবীর বহু দেশ সফলতার নিত্য নতুন দ্বার উন্মোচন করছে। কিন্তু শত সম্ভাবনা থাকার পরও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে জনসংখ্যার বিশাল একটা অংশ এখনো নিরক্ষর। রাষ্ট্রে নিরক্ষরতা দূর করার মূল দায়িত্ব সরকারের। নিরক্ষতা দূর করতে সরকারের ভূমিকা হতাশাজনক। তাদের দ্বারা নিকট ভবিষ্যতে দ্রুত নিরক্ষরতা দূর করার সম্ভাবনাও কম। তাই সরকারের আশায় বসে থেকে লাভ নেই। দেশ আমাদের, জনগণ আমাদের সুতরাং দায়িত্বও আমাদের সবার। যার যার অবস্থান থেকে যদি আমরা নিরক্ষরতা দূর করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করি তাহলে অল্প সময়ের ব্যবধানে নিরক্ষরতার বেড়াজাল থেকে জাতিকে মুক্ত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ছাত্রসমাজ যদি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে তাহলে লক্ষ্যপূরণ আরো সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, সাক্ষরতা অভিযান পরিচালনা আমাদের নতুন কোন প্রচেষ্টা নয়। ধর্মীয় ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশকে নিরক্ষরতা থেকে মুক্ত করতে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে শিক্ষা অর্জন প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরজ করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং নিরক্ষরতার বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই। আমরা দেশের ছাত্রসমাজসহ প্রতিটি শিক্ষিত মানুষকে নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি।