আটাশে অক্টোবরের অন্তরালে

আন্দোলনের নামে লগি-বৈঠার তান্ডব, অন্য দলের সভা-সমাবেশে হামলা ও নেতাকর্মীকে হত্যা করে লাশের ওপর নাচানাচি আওয়ামী লীগের কলঙ্কিত ইতিহাসে আরো একটি কালো অধ্যায়ের সংযোজন। রক্তাক্ত আটাশে অক্টোবর বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা এবং ইসলামী শক্তির উত্থান ঠেকিয়ে সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে আগ্রাসী শক্তির ক্রীড়নক নতজানু সরকার প্রতিষ্ঠার টার্নিং পয়েন্ট। শহীদদের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না। শহীদের সাথীরা আরো বেশি অনুপ্রাণিত হবে এবং সমস্ত জুলুম-নিপীড়ন মোকাবিলা করে ধৈর্যের সাথে দৃঢ় পদে এগিয়ে যাবে। ছিন্ন করবে ষড়যন্ত্রের জাল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের নজিরবিহীন ঘটনা

২৮শে অক্টোবর ২০০৬ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। দুনিয়ার ইতিহাসে এভাবে মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধের ঘটনা বিরল। সেদিন যারা লগি-বৈঠা নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে মানুষ হত্যা করেছিল আজ তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে আরও নির্মমভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধে মেতে উঠেছে। আর তাদের হাতে মানুষের জানমাল, ইজ্জত-আব্র“ কোন কিছুই নিরাপদ নয়। তারা ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

রক্তের ঋণ শোধ হয় না

ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর আমাকে আজো তাড়িয়ে বেড়ায়। অক্টোবরের সেদিনের শহীদেরা তো আমারই সামনে থেকে চলে গেল এক সাফল্যমণ্ডিত ঈর্ষনীয় শান্তির নিড়ে। আমাদের সামনে তাদের ওপর যেভাবে দানবীয় কায়দায় আক্রমণ করা হলো তাদের জন্য আমরা কী করতে পেরেছি? শাহাদাতের পর তাদের ইচ্ছা ও আকুতিগুলো এখনো তো আমাদের কানে ভাসছে, আমরা কি পারছি এ বিরাট বোঝা বহন করতে? অথবা আমরা কি আসলেও ততটা যোগ্য সে কাজের, যে মহান দায়িত্ব ওরা চাপিয়ে দিয়ে গেল আমাদের কাঁধে।

২৮ অক্টোবর : ত্যাগ ও কুরবানির এক অনন্য নজরানা

পল্টন মোড়ে তীব্র উত্তেজনার মাঝেও রীতি অনুযায়ী জনসভা শুরু করার ক্ষেত্রে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। কুরআনের কর্মীরা দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিবেদিত বলেই পেটে তীব্র ক্ষুধা ও পিপাসার্ত বুক নিয়ে অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাজপথে। তেলাওয়াতের প্রতিধ্বনি ক্ষুধা আর পিপাসার রাজ্যে যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। মাত্র দশ হাত দূরে হায়েনাদের মরণছোবল আর ঠিক তার পাশেই পিনপতন নীরবতায় তেলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভা শুরু দেখে বুক ভরে গেল। আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামতের মত কে যেন একজন এই

২৮ অক্টোবর আমাদের প্রেরণার উঁচু মিনার

ক্ষমতালিপ্সুদের হিংস্র থাবায় ২৮ অক্টোবর ২০০৬ রক্তরঞ্জিত হলো রাজধানীর কালো পিচঢালা রাজপথ। সত্যের সেনানীদের লগি-বৈঠার আঘাতে ও লাশের ওপর নর্দন-কুর্দন করে ইসলামী আদর্শের পতাকাবাহীদের নিঃশেষ করাই ছিল ইসলামবিদ্বেষীদের টার্গেট। নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ও আনুগত্যের পরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে জীবন উৎসর্গ করলেন দ্বীনের মুজাহিদেরা কিন্তু পিছু হঠলেন না এককদমও। মিডিয়ার সুবাদে আওয়ামী হায়েনাদের বীভৎসতা ভয়ানক তাণ্ডব, নীচতা ও পাশবিকতা প্রত্যক্ষ করল বিশ্বমানবতা। শহীদ ও আহতদের রাজপথে

২৮ অক্টোবর চির অমলিন স্মৃতি জাগানিয়া হৃৎকম্পন

২৮ অক্টোবর ২০০৬ বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কালো দিবস। দিনটি জাতির জীবনে এক রক্তভেজা ইতিহাসের জন্ম দেয়। এই ইতিহাস এতই বেদনার যে তা কখনো ভুলবার নয়, মুছবারও নয়; বরং চির অমলিন এক স্মৃতি জাগানিয়া হৃৎকম্পন!

রক্তের ঋণ শোধ হয় না

এ হামলা যে আসলে কোন নির্দিষ্ট দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নয় বরং সামগ্রিকভাবে দেশকে আবার পরাধীন বা পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করার এবং ইসলামের পক্ষে কথা বলার কণ্ঠগুলোকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্যই যে পরিচালনা করা হয়েছিল তা মনে হয় আজকে সচেতন পাঠকের নিকট নিশ্চয়ই পরিষ্কার হয়ে গেছে।

রক্তপাথারে দাঁড়িয়ে আগামীর বিজয় দেখা

কোনো কোনো দিন আসে কান্নাগুলো রক্ত হয়ে ঝরে। সেই রক্তপাথারে দাঁড়িয়েও বিজয়কে দেখা যায়। জীবন বিলিয়েও অনুভব করা যায় ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার অপার্থিব আনন্দ। ২৮ অক্টোবর ২০০৬ বাংলাদেশের ইতিহাসে তেমনই একটি দিন।

শহীদ রাশিদুল হক রান্টুর বাবার কথা

বাবার সাথে ছোটবেলা থেকেই মসজিদে যাওয়ার অভ্যাস ছিলো রান্টুর। ক্লাস ফাইভ থেকেই নিয়মিত রোজা রাখতো। আমি কখনো অসুস্থ্য থাকলে, খেতে না পারলে সেও খেত না। বাবার হাত নিজে ধুয়ে দিত, তারপর একসাথে খেত

২৮ অক্টোবর : যে নরহত্যা ভোলার নয়

সে দৃশ্য এখনও চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে ভাসতে থাকে এখনও হঠাৎ চমকে উঠি। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর। সেদিন রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর তা বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট মিলেই ঐ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছিল। সরকার প্রধান নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল