শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

গণহত্যা বন্ধ করে ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে : ছাত্রশিবির

অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করে ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি এবং দখলদার ইসরায়েলকে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। অন্যথায় পৃথিবীর বিষফোঁড়া ইসরায়েলকে চরম মূল্য পরিশোধ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন নেতৃবৃন্দ।

আজ শনিবার (৪ মে) ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েল বাহিনী কর্তৃক নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন মহানগর শাখার বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “মানবতার শত্রু ইসরায়েল টানা ৭ মাস ধরে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে শিশু ও নারীসহ ৩৪ হাজারেরও বেশি নিরীহ মুসলমানকে শহীদ করা হয়েছে। প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে বোমার আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে! শুধু তাই নয়, আহতদের চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। সেখানকার হাসপাতালগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে যেন কেউ সহায়তা পৌঁছাতে না পারে, সেজন্য তারা ক্রসিংগুলোতে ব্যারিকেড বসিয়েছে। আমরা দেখেছি ফিলিস্তিনিদের সাহায্যে এগিয়ে আসা অনেক সংস্থার কর্মী ও সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবাদে পৃথিবীর বিবেকবান মানুষ আন্দোলনে নেমে এলেও ওদের হত্যাযজ্ঞ থেমে নেই।”

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা, ইসরায়েলের দোসর আমেরিকা বিশ্ববিবেকের আহ্বানকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এলে তাদেরকে নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ভূলণ্ঠিত করা হচ্ছে। আমরা এমন স্বৈরাচারী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।”

নেতৃবৃন্দ সারা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।

ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আজ সকাল ৭:৩০ মিনিটে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর দয়াগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বামীবাগ গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ। এ সময় মহানগর সভাপতি আহমদ আবির, সেক্রেটারি হেলাল উদ্দিনসহ শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

একই সময়ে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার উদ্যোগে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১০ থেকে শুরু হয়ে কাজীপাড়া এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ, মহানগর সভপতি এমএ জামান ভূইয়া, সেক্রেটারি এইচএমএস মাহমুদসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

এ ছাড়াও ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা, রাজশাহী মহানগর শাখা, বরিশাল মহানগর শাখা, সিলেট মহানগর শাখা, ফেনী শহর শাখা একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।