শহীদ হাফেয মুহাম্মদ আব্দুর রহীম

০১ জানুয়ারি ১৯৬৬ - ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ | ১৭

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

১৯৭১ সালের ১ মে চট্টগ্রামের মিয়াজি পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শহীদ হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুর রহীম। তাঁর বাবার নাম মাওলানা শাহ সুফী আব্দুল জব্বার। ৩ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে শহীদ ছিলেন দ্বিতীয়।

শিক্ষাজীবন
চুনতি হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৭৭-৭৮ সালে সালে কুরআন হিফজ শেষ করেন শহীদ। এরপর প্রাথমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেন কুমিরাঘোনা আখতারুল উলুম মাদ্রাসায়। পরে ১৯৮২ সালে বায়তুশ শরফ আদর্শ মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ওই মাদ্রাসা থেকেই বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৯৮৬ সালে দাখিল পরীক্ষায় হিফজুল কুরআন বিভাগে সপ্তম স্থান অধিকার করেন। মাদ্রাসাটির ছাত্রদের মধ্যে তিনিই প্রথম বোর্ডের বৃত্তিধারী ছিলেন। মেধাবী আব্দুর রহীম মাদ্রাসা ছাত্রাবাসের ১ নম্বর কক্ষে থাকতেন এবং শহীদ হওয়ার প্রাক্কালে আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

লেখক আব্দুর রহীম
অল্প বয়সেই তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত লেখনী সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা-সাময়িকীতে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। তাঁর ‘জিহাদের যৌক্তিকতা’, ‘জাগো মুসলিম’ ইত্যাদি প্রবন্ধ সবাইকে দ্বীনের পথে উদ্বুদ্ধ করে।

সাংগঠনিক জীবন
শহীদ আব্দুর রহীমের সাংগঠনিক মান ছিল কর্মী। তিনি বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৮৩-১৯৮৪)। শহীদ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আলিম উপশাখার সভাপতি ছিলেন।

শাহাদাত
১৪ ফেব্রুয়ারির সেই দিনে অসংখ্য আহতদের সাথে হাফেজ আব্দুর রহীমকেও নেয়া হয়েছিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘোষণা করলেন প্রিয়ভাই আব্দুর রহীম পৃথিবীর মায়া ছেড়ে, পৃথিবীর সব কোলাহল একদিকে রেখে মহান রবের দরবারে চলে গেছেন। মুহূর্তে শোকের কালো ছায়া আর কান্নার মোনাজাতে ভারী হয়ে উঠল হাসপাতাল। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৭তম শহীদ।

জানাজা ও দাফন
শহীদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় লোহাগাড়ার বটতলীতে, ইমামতি করেন মাওলানা মাসউদুর রহমান। দ্বিতীয় নামাজে জানাজা কুতুব উদ্দীনের ইমামতিতে কুমিরাঘোনায় অনুষ্ঠিত হয়। এ নামাজে মানুষের ঢল নামে। গ্রামের বাড়িতেই পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় প্রাণপ্রিয় শহীদ ভাই হাফেজ আব্দুর রহীমকে।

শহীদ হওয়ার আগে
শহীদ হওয়ার আগের রাতে হরতাল সম্বন্ধে আলোচনাকালে শহীদ হাফেজ আব্দুর রহীম বলেছিলেন, ‘প্রয়োজনে গায়ের রক্ত দিয়ে হলেও হরতাল হবে।’ হরতালের দিন সকালে তাঁর আব্বাজানের খাদেম মো: শাকি’র সাথে দেখা হলে তাকে বলেছিলেন, ‘পিকেটিংয়ে যাচ্ছি, সেখানে প্রয়োজনে রক্ত দেবো, এর বিনিময়ে হয় শহীদ হবো না হয় গাজী হবো।’ আল্লাহ তাঁকে শহীদ হিসাবে কবুল করেছেন। পিকেটিংয়ে যাবার সময় ট্র্যাক স্যুট পরাতে তাঁর বন্ধুরা হাসাহাসি করেছিল। তখন তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘এরকম জিহাদে গেলে এ ধরনের ড্রেস পরতে হয়।’ পিকেটিং শেষে গোসল সেরে প্রতিবাদ সমাবেশ করার পূর্বে মাদ্রাসার নিকটস্থ আজমির হোটেলে বন্ধুদের চা খাওয়ানোর সময় জনৈক আব্দুল হামিদের প্রশ্ন : আজ তুমি কেন চা খাওয়াচ্ছ? জবাবে শহীদ বললেন, ‘দোয়ার জন্য।’

বাবার প্রতিক্রিয়া
শহীদের পিতা বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, বায়তুশ শরফ আদর্শ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল জব্বার (রহ) ছেলের শাহাদাতের খবর শুনে শোক ও আনন্দের মিশ্র অনুভূতিতে অভিভূত হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শহীদের সৌভাগ্যবান পিতা বলেন, ‘আল্লাহ দিয়েছে, আল্লাহ নিয়ে গেছে। আল্লাহ তুমি তাঁর শাহাদাতকে কবুল কর।’ পরে শহীদের গ্রামের বাড়ি কুমিরাঘোনায় এক আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলে তিনি বলেন, ‘শহীদের গৌরবান্বিত পিতা হওয়ার সৌভাগ্যে আমি অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। আমার সন্তানের মত হাজারও শহীদের শাহাদাতের বিনিময়ে যেন এদেশে ইসলামী সমাজ কায়েম হয় এবং মানুষ মুক্তির দিশা পায়।’

মাদ্রাসার প্রতিক্রিয়া
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. আব্দুল করিম। সেখানে শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

শিক্ষকের ভাষ্য
শিক্ষকরা জানান, শহীদ হাফেজ আব্দুর রহীম ছিলেন মেধাবী, অমায়িক, আদর্শবাদী, সৎচরিত্রের অধিকারী।

শহীদের নিজ হাতে লেখা প্রবন্ধ
'জিহাদের যৌক্তিকতা'
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন মজিদে এরশাদ করেছেন- “তোমরা নামাজ কায়েম কর।” ঠিক তিনি অনুরূপভাবে আরো এরশাদ করেছেন- “তোমরা দ্বীন (ইসলাম) কায়েম কর।” পৃথিবীর প্রত্যেকটি মতবাদের প্রবর্তক কামনা করেন যে, তার মতবাদ কায়েম করা হোক। তদ্রুপ হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর অন্যতম সংগ্রাম হচ্ছে দ্বীন ইসলাম কায়েম করা। কারণ ইসলাম ব্যতীত অন্যান্য মতবাদ বাতিল। এ বাতিল মতবাদের যারা অনুসারী তারাও বিশ্বাস করে যে, আমাদের মতবাদ সংগ্রাম ছাড়া কায়েম হতে পারে না। তারা তাদের মতবাদ কায়েম করার জন্য সংগ্রাম করে, জীবন বিসর্জন দেয়। তারা জীবন দেয় নরকের উদ্দেশ্যে। আর প্রয়োজনবোধে আল্লাহতায়ালা মানুষের জীবন চান জান্নাতের বিনিময়ে। যেখানে বাতিলের অনুসারীরা বোঝে যে, সংগ্রাম ভিন্ন সত্য (?) কায়েম হতে পারে না, সেখানে সত্যের অনুসারীরা বোঝে যে, সংগ্রাম ভিন্ন সত্য কায়েম হয়ে যাবে? তা কি কোনো যুগে হয়েছিল? পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত মতবাদের উদ্ভব হয়েছে তাদের প্রত্যেকটির প্রথম দৃষ্টি ছিল আমাকে বিশ্বাস কর।

যেমন রাশিয়ান সমাজতান্ত্রিক মতবাদের প্রথম দাবি ছিল আমার ওপর বিশ্বাস স্থাপন কর। সে দাবি কিছু লোক মানল। তাদের এ মানাটাকে যদি মুসলমানদের ন্যায় আরবিতে কালেমা পড়ে স্বীকার করা হত, তবে তাদের কালেমা, ‘আমানতু বি লেনিনবাদ ওয়াবি মার্কসবাদ’ হতো। যারা এ মতবাদ মানল তারা ঐ কালেমা পড়ে তাদের অনুসারী হল। অতঃপর ঐ মতবাদ তাদের নিকট দাবি করল যে, আমাকে শুধু স্বীকার করলে হবে না, বরং আমাকে কায়েম করতে হবে। অনুসারীরা জিজ্ঞাসা করল, কিভাবে কায়েম করব? উত্তরে মতবাদ বলল, তোমরা সংগ্রাম কর, জান দাও মাল দাও। তার অনুসারীরা তাই-ই করল। ঊনিশ লক্ষ লোক জীবন দিল, বহু ধনদৌলত বিসর্জিত হল, তারপর সেখানে কায়েম হল তাদের সেই আকাঙ্ক্ষিত মতবাদ।

তেমনি চীনে এক মতবাদের উদ্ভব হলো- এর নাম হচ্ছে মাওবাদ। এ মতবাদে বিশ্বাসীরা কালেমা পড়ল, ‘আমানতু বি মাওবাদ’। তাদের মাওবাদও দাবি করল যে, আমাকে শুধু বিশ্বাস করলে হবে না বরং আমাকে কায়েম করতে হবে। অতঃপর তার সাথীরা জানমাল দিয়ে সংগ্রাম করে তাদের সেই মতবাদ চীনে কায়েম করল।

সৃষ্টির আদি হতে আল্লাহর প্রতিনিধিদের জন্যে এই নিয়ম ইসলাম বলে দিয়েছে। আল্লাহর বাণী, “তোমাদের মাল ও জান দ্বারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম কর।” এই জানমাল কুরবানি ছাড়া অতীতে কোনো দিন ইসলাম কায়েম হয়নি। এ যুগেও হচ্ছে না, ভবিষ্যতেও হবে না। এখানে আল্লাহতায়ালা যে জানমাল চেয়েছেন, সে জানমাল রাস্তায় ছড়ালেও ইসলাম কায়েম হবে না। বরং তা আল্লাহর পথে দান করতে হবে সুশৃঙ্খল ও বৈজ্ঞানিক পন্থায়। সে পন্থা হল জামায়াতবদ্ধ অবস্থায় নিয়মতান্ত্রিকভাবে নবী করীম (সা)-এর ন্যায় ইসলামী আন্দোলন করে যাওয়া।

মৃত্যু হচ্ছে জীবনের দুটি পর্যায়ের মাঝখানে একটি দরজা মাত্র। এর এ পাশটা কর্মের জীবন, আর ও পাশটা ভোগের জীবন। জীবনের এ পার্শ্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেই ও পার্শ্বে গিয়ে সুখ ভোগ করা যাবে। নবী করীম (সা)-এর সাথীদের মধ্যে এই বিশ্বাস ছিল বলেই অতি দ্রুত সারা পৃথিবীতে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় ইসলামী হুকুমত কায়েম করা সম্ভব হয়েছিল।

অনেকে ধারণা করেন যে, আলেমগণ ওয়াজ করেই সমাজে দ্বীন কায়েম করে ফেলবেন। কারো বা ধারণা তাবলিগ করতে করতে একদিন আপনা-আপনি দ্বীন ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন রাখি- অতীতে কোন যুগে হয়েছিল? তা যদি না হয় তবে ইসলাম কায়েমের থিওরি কী এ যুগে পাল্টে গেল? ওয়াজের পেছনে সংগ্রামী সংগঠন ও বিপ্লবী কর্মসূচি থাকতে হবে; না হয় যেমন বিনা সংগঠনে অতীতে কোনো কাজ হয়নি, বর্তমানে হচ্ছে না, তেমনি কোনো যুগেও তা হবে না। আর যদি কোনো দিন সংগঠন সংগ্রাম ছাড়া বিপ্লব কায়েম হবে সেই দিন বলা যাবে যে ইসলাম কায়েমের থিওরি যা আল্লাহ প্রত্যেক নবী (সা)-কে দিয়েছেন আজ তা পাল্টে গেল।

বড় ভাই মাওলানা আব্দুল হাই নদভী-এর বক্তব্য
তিনি বলেন, সে খুব মেধাবী ছিল। ছয় থেকে বারো মাসের মধ্যে কুরআন হেফজ করে। সহজ-সরল ও উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিল। অল্পভাষী ছিল কিন্তু সবার সাথেই মিশত। শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে যার শুরু আব্দুর রহীমের মত অসংখ্য শহীদের মাধ্যমে হয়েছে। তাদের রক্তের বিনিময়ে দেশে সত্যিকার ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে এটাই সবার প্রত্যাশা। শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দাওয়াতি কার্যক্রমের ওপর আরো বেশি জোরদানের পরামর্শ দেন তিনি। তিনি এজন্য ইসলামী সাহিত্যের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারেরও পরামর্শ দেন।

একনজরে শহীদ হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুর রহীম
নাম : হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুর রহীম
মায়ের নাম : মানসুরা বেগম
বাবার নাম : শাহ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার
ভাই-বোন : ৩ ভাই ও ৫ বোন
ভাই-বোনের মধ্যে অবস্থান : ৫ম
পরিবারের মোট সদস্য : ৮ জন
স্থায়ী ঠিকানা : মিয়াজীপাড়া, বড় হাতিয়া, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম
জন্ম : ১৯৬৬ সাল
সাংগঠনিক মান : কর্মী
পড়াশোনা : আলিম ১ম বর্ষ (১৯৮৬), দাখিল স্ট্যান্ড (দেশের মধ্যে মেধাতালিকায় ৭ম)
সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম
জীবনের লক্ষ্য : আলেম হওয়া
কৃতিত্ব : বিপ্লবী হাফেজ আব্দুর রহীম ছিলেন একজন লেখক। অতি অল্প বয়সেই তাঁর লেখা কিছু পত্রিকায় প্রকাশ পায়
আহত হওয়ার স্থান : চট্টগ্রাম শহরে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সামনে
আঘাতের ধরন : বোমার আঘাতে শহীদ
যাদের হাতে শহীদ : স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের মদদপুষ্ট জাতীয় ছাত্রসমাজ নামধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী
শাহাদাতের তারিখ : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৭, শনিবার, বেলা ১টা ২০ মিনিট
শাহাদাতের স্থান : চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ হাফেয মুহাম্মদ আব্দুর রহীম

পিতা

শাহ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার

মাতা

মানসুরা বেগম

জন্ম তারিখ

জানুয়ারি ১, ১৯৬৬

ভাই বোন

৩ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে ৫ম

স্থায়ী ঠিকানা

মিয়াযী পাড়া, বড়হাতিয়া, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম

সাংগঠনিক মান

কর্মী

সর্বশেষ পড়ালেখা

আলিম, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম

শাহাদাতের স্থান

আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম


শহীদ হাফেয মুহাম্মদ আব্দুর রহিম

ছবি অ্যালবাম: শহীদ হাফেয মুহাম্মদ আব্দুর রহিম


শহীদ হাফেয মুহাম্মদ আব্দুর রহিম

ছবি অ্যালবাম: শহীদ হাফেয মুহাম্মদ আব্দুর রহিম