শহীদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী

৩০ নভেম্বর -০০০১ - ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ | ৭২

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ তাআলার ডাকে মানুষ একদিন তার সমস্ত সত্তাকে বিলিয়ে দিয়ে আপন প্রভুর কাছে একান্তভাবে চলে যায়, নিজের অস্তিত্বকে জলাঞ্জলি দিয়ে। আশার সোনালি প্রদীপ নিভিয়ে সাদা শুভ্র কফিনে চলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বরং এটা স্বাভাবিক, বিধাতার চিরাচরিত নিয়ম। কিন্তু কখনো যদি আশার প্রদীপ অপ্রত্যাশিতভাবে দক্ষিণা সমীরণে দপ করে নিয়ে যায়, তখন স্রষ্টার সুন্দর পৃথিবীর মাঝে স্বাভাবিকভাবেই অন্ধকরে ঘোর অমানিশা নেমে আসে। এমনি অপ্রত্যাশিতভাবে অন্ধকারে ঘোর অমানিশা টেনে নিভে গেছে একটি প্রজ্জ্বলিত আশার প্রদীপ।

ঝরে গেছে সুন্দর একট লাল গোলাপ, কুঁড়ি থেকে প্রস্ফুটিত হবার আগে। হাজারে নক্ষত্র থেকে ছুটে গেছে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছে একটি মিষ্টি সুবোধ ছেলে। শহীদ কাফেলার মিছিলে সংযোজিত হয়েছে আর একটি নতুন অধ্যায় একটি ইতিহাস, একটি নাম, শহীদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী। মাদরাসা হতেই তিনি ১৯৯০ সালে মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে দাখিল পাস করেছিলেন। শহীদ ইসমাইল ১৯৯২ সালে আলিম মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেন। বহু আশা, আকাঙ্ক্ষা আর উদ্দীপনা নিয়ে এসেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স পড়ার জন্য । তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তাকে হল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল আব্দুল লতিফ হল। সরকারি চাকুরিজীবী হওয়া তার জীবনের লক্ষ্য ছিল। শহীদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ইবাদত বন্দেগি, আমল, আখলাক ছিল সবার জন্য অনুকরণীয়, অনুসরণীয় ও শিক্ষণীয় ।

এ প্রসঙ্গে শহীদের আম্মার স্মৃতিচারণ
ইসমাইল হোসেন ছয় সাত বছর বয়স থেকেই নামাজ পড়ত, রোজা রাখত। এরপর আমার জানামতে সে কখনও নামাজ কাযা করেনি।
নামাজের ব্যাপারে খুবই সতর্ক ছিল। মসজিদ ছাড়া কখনও বাড়িতে নামাজ পড়ত না শীত, গ্রীষ্ম, ঝড়, বাদল সব সময় মসজিদের গিয়ে নামাজ পড়ত। বাড়ির কেউ নামাজ না পড়লে তাকে বুঝাতো, পাড়া প্রতিবেশীকে নামাজ পড়ার জন্য ডাকত। জুম্মার দিন হলে পাড়ার মধ্য দিয়ে মসজিদের যেত আর মানুষদের মসজিদের আসার জন্য বলত। অসুখ বিসুখে ও নামাজ কাযা করেনি ।

যখন ইসমাইল ৭ম শ্রেণীতে পড়ে সেই সময় একবার ফুটবল খেলতে গিয়েছিল। ওর প্রেসারের সমস্যা ছিল খেলতে খেলতে হঠাৎ তার প্রেসার বেড়ে যায়। সবাই মিলে তাকে বাড়ি নিয়ে এলো। আমি তার মাথায় পানি ঢালা শুরু করলাম। ডাক্তার ডাকা হল। ডাক্তার এসে তাকে দেখে আমাদের অভয় দিয়ে গেলেন। তখন মাগরিবের সময় আসন্ন। ইতোমধ্যে আজান শেষ হয়ে গেল। আজান শুনে আমার ইসমাইল বলল ‘ওমা আজান হয়ে গেল আমার মাথা মুছে দাও নামাজ পড়ব। ’ আমি মাথা মুছে দিলে সে শায়িত অবস্থায় ইশারায় নামাজ পড়ল। দিন ৪/৫ বার মেসওয়াক করতো। আমি যদি বলতাম ও বাজান তোর দাঁত ক্ষয় হয়ে যাবে, এতো মেছওয়াক করিস না। কথা শুনে বাজান আমার হাসতো।

রোজাকে নামাজের মতই গুরুত্ব দিত। ছোট থেকে রোজা রাখতো। আমি রোজা না থাকার জন্য বললে বলত, ও মা ওসব কথা বলবে না, গুনাগার হবে। রোজা থেকে স্কুলে যেতো। কোন কোন দিন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে না খেয়েই রোজা রাখত। সামান্য ডাল পানি খেতে বললেও কিছুতেই খেতে চাইত না। ইফতার করতো বন্ধু বান্ধবসহ একসাথে। ফরজ রোজা ছাড়াও শবে বরাত, শবে মেরাজসহ প্রায় মাসে দুটি করে রোজা রাখত সেহেরীর পূর্বে শহীদ ইসমাইল হোসেন তার প্রভুর সামনে পবিত্র হয়ে জায়নামাজে দাঁড়াতেন।

শহীদ ইসমাইলের মা তাহাজ্জুদ নামাজকে বিশ্বাসের নামাজ বলতেন। আর বিশ্বাসের নামাজ বেশি বেশি পড়ত শহীদ ইসমাইল শাহাদাতের পূর্বে। শাহাদাত বরণের আগে অর্থাৎ, ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ সালে রাত্রেও তার সাথীরা তাকে সেই বিশ্বাসের নামাজ পড়তে দেখেছে। জীবন যাপন ছিল স্বাভাবিক । লুঙ্গি, পাজামা, পাঞ্জাবি বেশি ব্যবহার করত। স্নেহের ভাতিজাদের আদর করত। সকাল সন্ধ্যায় তাদেরকে পড়াতে বসতো। আর বলতেন ‘কাউকে অশিক্ষিত রাখবো না, সবাইকে মানুষ করবো। পড়াশুনার জন্য সবাইকে আহবান করতেন। বৃদ্ধ পিতা মাতার প্রতি তার ছিল অকৃত্রিম ভালবাসা।  

শহীদের প্রিয় খাবার ছিল পোলাও মাংস। বাড়িতে ভালমন্দ রান্না হলে শহীদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী পিতার মুখে খাবার তুলে দিত। পিতা আপত্তি জানালে শহীদ ইসমাইল হোসেন, বলত, ‘খাও বাজান, আমি তো প্রায় খেয়েই থাকি তুমি খাও। ভাই ও ভাবীদের নামাজের কথা বলার পাশাপাশি পর্দার ব্যাপারে সতর্ক করত। তাদের বাইরে যেতে, বেশি কথা বলতে নিষেধ করত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আদরের একমাত্র ভাই সবার ছিল মাথার মণি। বাড়ির চার ভাই যার জন্যই নতুন শার্ট, লুঙ্গি কেনা হতো না কেন, শহীদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী আগে পড়ত। কিছু দিন পরার পর যার জিনিস সে পড়তো। বড় দুইভাই শ্বশুর বাড়ি থেকে নতুন পোশাকের উপহার পেলেও ইসমাইল আগে কিছুদিন পরতো এরপর তার ভাইয়েরা পরতো।

শাহাদাতের প্রেক্ষাপট
১৯৯৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, রমজান মাস। শহীদ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী শেষ রাতে সেহরী খাওয়ার জন্য উঠলেন। সেহরীর পর ফজরের আজানের সুললিত কণ্ঠ ভেসে এল মানুষের কর্নকুহরে। ঘোষিত হল নতুন ভোর, একটি সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে আরেকটি দিনের শুরু হবে। শহীদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ফজরের নামাজ পড়ে সবেমাত্র গা'টা এলিয়ে দিলেন বিছানায়। সারাদিন সিয়াম সাধনার জন্যই মূলত এ প্রশান্তির নিদ্রা। কিন্তু পাখিরা তাদের কিচির মিচির সঙ্গীতের ঝড় তুলতে ভুলল না। কুয়াশা কাঁদানে গ্যাসের মত ভয়াবহ রূপ ধারণ করতেও পিছপা হলো না। হঠাৎ কে যেন ডাক দিল। সেই ডাকে উৎকণ্ঠা অস্থিরতা মেশানো। জেগেই শুনতো পেলেন প্রচন্ড গুলি শব্দ সিরাজী তাড়াতাড়ি জেগে উঠে প্যান্ট, শার্ট, জুতা পরে সাংগঠনিক বড় ভাই মুখলেছুরের সাথে দ্রুত গেটে চলে গেলেন। হলের গেটে এসে দেখেন সাংগঠনিক ভাইয়েরা একজন অপর জনের মুখে দিকে তাকাচ্ছেন্ সবার মুখেই আতঙ্কের ছাপ। একজন বলল সোহরাওয়ার্দী হলে বাতিল শক্তি আমাদের ভাইদের উপর আক্রমণ করেছে। তখন সবাই ছুটে গেলেন। সোহরাওয়ার্দী হলের দিকে।

কিন্তু বেশি দূর এগুতে হল না, কারণ সামনেই দেখলেন বদরুল ভাইয়ের শরীর রক্তাক্ত, ক্ষত বিক্ষত শকুনগুলোর বুলেটে। চার পাঁচজন ভাই তাকে মেডিক্যালে নিয়ে যাচ্ছে একটু বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা হিসেবে। আর একটু এগুতেই শুনলেন এক মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক কথা। বাতিল শক্তি সোহরাওয়ার্দী হলে ডাইনিং রুমের ছাদের উপর পৈশাচিকভাবে মুস্তাফিজুর রহমান ভাইকে শহীদ করেছে। এ সময় ইসমাইল হোসেন সিরাজী সামনে যাবার জন্য ছটফট করছিলেন। কিন্তু প্রচন্ড গুলি শব্দে এই সবুজ মতিহার শুধু নয় সমস্ত প্রতিবেশী পর্বত পর্যন্তও প্রকম্পিত হয়েছিল। তবু সাহসের দ্বীপ জ্বলতেই থাকল। হঠাৎ ইসমাইল হোসেন সিরাজী তার বড় ভাইদের থেকে আলাদা হয়ে সামনের দিকে এগুচ্ছেন দুঃসাহসী যোদ্ধার মত। বাতিল শক্তিকে পরাজিত করার জিহাদের ময়দানে।

কিন্তু বেশিক্ষণ তিনি যেতে পারলেন না। একজন সীমারের গুলি তার দুঃসাহসী বুকের জমিন বিধ্বস্ত করে দিল। তিনি তবু সামনের দিকে আরো সামনের দিকে যেতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু সক্ষম হলেন না। সবুজ ঘসে গিয়ে পড়লেন কালেমার আওয়াজ কন্ঠে শেষবারে মত বাড়িয়ে। কয়েকজন ভাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন কিন্তু সিরাজী ভাই আর ফিরে এলেন না, চলে গেলেন তাঁর প্রিয় প্রভুর কাছে জান্নাতের বাগিচায় অনন্তে ঠিকানায় রহমান নিজের কাছে এই শ্রেষ্ঠ বান্দাটিকে রাখবার ইচ্ছা করেছেন, তাই তাকে নিয়ে গেলেন দুনিয়ার এ মাটি থেকে।

সাংগঠনিক জীবন
শহীদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ছোটকাল থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরে সাথে পরিচিত ছিলেন। দেলুয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় অধ্যয়নকালেই তিনি সংগঠনের সমর্থক ও কর্মী হন। তিনি ছোটকাল থেকেই সংগঠনকে ভালবাসতেন এবং আন্তরিকতার সাথে সংগঠনের কাজ করতেন। তার ব্যক্তিগত ডাইরিতে জানা যায়, তিনি ১৯৯২ সালে ২৬শে জানুয়ারি টাঙ্গাইরে আশ-শিফায় সাথী শপথ নেন। শপথ নিয়েছিলেন তৎকালীন অফিস সম্পাদক জনাব মো: আবুল কালাম আজাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর সাংগঠনিক ক্ষেত্রে আরো সক্রিয় হন। ইসমাইল হোসেন সিরাজীর শহীদ হওয়ার তীব্র বাসনা ছিল। শহীদী মৃত্যুই বেহেস্তের নিশ্চিত পথ জেনেই মনে প্রাণে তিনি শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করতেন। তার বিভিন্ন কথাবার্তায় তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের কারণে তার মা থাকত সর্বদা শঙ্কিত। তাই শহীদের মা প্রায়ই বলতেন বাজান একটু দেখে শুনে থাকিস। উত্তরে ইসমাইল বলেছিলেন ছাত্রকালে মারা গেলে কত সুখ, হিসাব কম দিতে হবে। কবরে থাকব ছাত্র হয়ে, তুমি আফসোস করো না, তুমি কেঁদো না মা শহীদ হয়ে মরলে কোন কষ্ট হয় না।”

অমায়িক চরিত্রে অধিকারী ও খোদাভীরু শহীদ ইসমাইল
শহীদ ইসমাইল নবাব আব্দুল লতিফ হলের ছাত্র ছিলেন। সদা বিনয়ী এ ছাত্রটি অতি সংক্ষিপ্ত সময়ে সকল ছাত্রদের আপন করে নেন। তার ব্যক্তিগত কাজকর্মের ক্ষেত্রে সহযোগিতার অভাব হত না। তিনি বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। বাংলা বিভাগের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে সংক্ষিপ্ত সময়ে আপন করে নেন। শহীদ ইসমাইল আগমনের জন্য ক্লাসে সবাই প্রতীক্ষায় থাকত। তিনি শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় সচেতন ছিলেন। প্রয়োজনীয় সময়ের পাঁচ দশ মিনিট পূর্বে যেকোন প্রোগ্রামে উপস্থিত হতেন। নির্দিষ্ট সময়ের পরে আসতেন না। যেকোনো কাজ সুনিপুণভাবে করতেন। কাজে তাড়াহুড়া করতেন না। কোন কাজ দিলে খুব ধীরগতিতে সুনিপুণ হাতের পরশে সুন্দর করে তুলতেন।

কর্তব্যে অবহেলা ছিল শহীদ ইসমাইল চরিত্র বিরোধী। তার কর্তব্য ও করণীয় সম্পর্কে তিনি ছিলেন সদা সচেতন। একাগ্রচিত্তে কার্য পালনে সব সময় ব্যতিব্যস্ত থাকতেন। কোন কাজ দিলে অপূর্ণভাবে রাখতেন না অতি সত্বর কাজের পূর্ণতা এনে দিতে পারতেন।

আল্লাহর আদেশ পালনে তিনি ছিলেন অগ্রগামী। ইবাদতে কখনো অবহেলা প্রদর্শন করেননি। জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করতেন আর সর্বদা গভীর জিকিরি মশগুল থাকতেন। আল্লাহ জিকির থেকে ক্ষণিকের জন্য বিরত থাকতেন না। একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বায়তুলমাল সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ তাকে এ আমলের কথা জিজ্ঞাস করায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘আল্লাহর কথা স্মরণ করলে আমার মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। জিকির না করলে শরীরে স্থিরতা থাকে না। সব সময় ছটফট করতে থাকি।

ফুলে বাগানে সকল ফুলই শোভা বর্ধন করে। তবে বাগানের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে হাতে গোনা কয়েকটি ফুল দর্শকদের হৃদয় কাড়ে। শিবির নামক বাগানে অনেক ফুল সমাবেশ ঘটেছে। তবে হৃদয়ন্ত্রীতে সব ফুল জায়গা করে নিতে পারে নি। হৃদয়ের মাঝখানে সর্বোচ্চ আসনে স্থান করে নিলেন শহীদ ইসমাইল। তিনি বাগানের ফুটন্ত গোলাপের ন্যায় সুবাস ছড়ালেন, সে সুবাস পেয়ে অনেকেই মতোয়ারা হলো। ক্ষণিকের এ সুবাস পাগলপাড়া ভ্রমররা ভুলতে পারল না । আল্লাহ ফুলের বাগানের সৌন্দর্যকে ম্লান করে সে ফুলটাকে তুলে নিলেন তাঁর নিকটে।

একনজরে শহীদ পরিচিত
নাম : ইসমাইল হোসেন সিরাজী
পিতার নাম : মো: ছাবেত অলী মুন্সি
স্থায়ী ঠিকানা : গাঁ-চালা, ডাক: বেলকুচি, থানা: বেলকুচি, জেলা: সিরাজগঞ্জ
পরিবারে মোট সদস্য : ৯ জন
ভাইবোন : ৭ জন।
ভাইবোনদের মাঝে অবস্থান : সবার ছোট
পিতার অবস্থান : জীবিত, ব্যবসায়ী
মাতার অবস্থান : জীবিত, গৃহিণী
সাংগঠনিক মান : সাথী
সর্বশেষ পড়াশুনা : ১ম বর্ষ সমমান, বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শাহাদাতের স্থান : হাবিবুর রহমান হলের সামনে মাঠে
আঘাতের ধরন : স্টেনগানের ব্রাশাফায়ারে বুক ঝাঁঝরা।
কাদের আঘাতে শহীদ : ছাত্রদল।
শাহাদাতের তারিখ : ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫

শহীদ হওয়ার পূর্বে স্মরণীয় বাণী
“শহীদ ইসমাইল তার শাহাদাতের পূর্বে ১১ ফেব্রুয়ারি ’৯৫ বলেছিলেন ‘‘যদি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাতিলের সঙ্গে আগামীকাল লড়াই হয় তাহলে আমি শাহাদাত বরণ করবো।

শহীদের পিতা-মাতার প্রতিক্রিয়া
শহীদের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার সাথে সাথে শহীদের মাতা বেহুঁশ হয়ে পড়ে যান পিতা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলতে থাকেন, আমার ইসমাইল মরেনি মরতে পারে না।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী

পিতা

মোঃ ছাবেত আলী মুন্সী

জন্ম তারিখ

নভেম্বর ৩০, -০০০১

ভাই বোন

৭ জন

স্থায়ী ঠিকানা

গাঁ-চালা, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ

সাংগঠনিক মান

সাথী

সর্বশেষ পড়ালেখা

১ম বর্ষ, বাংলা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শাহাদাতের স্থান

হাবিবুর রহমান হলের সামনে মাঠে