শহীদ মুস্তাফিজুর রহমান

৩০ নভেম্বর -০০০১ - ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ | ৭১

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

সত্য সাহসী ও প্রাণবন্ত এক টগবগে সত্যের সৈনিকের নাম মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ছিলেন সত্য পথের এক নির্ভীক পথচারী। নিজের জীবন দিয়েই সেটা প্রমাণ করে গেলেন।

প্রাথমিক পরিচিতি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭১ তম শহীদ হলেন শহীদ মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম গোলজার রহমান। তার পিতা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। শহীদ মুস্তাফিজুর রহমানের ভাই-বোনদের সংখ্যা ছিল ১২ জন । তাদের মাঝে তিনি ছিলেন ৫ম। তিনি ছোটকালেই তার মাকে হারান, কিন্তু তার পিতা তাকে সে অভাব অনুধাবন করতে দেননি।

শিক্ষাজীবন
শহীদ মুস্তাফিজুর রহমান ছোটকাল থেকেই খুবই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি নিজ এলাকায় এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হন। তিনি সেখানে পড়াশুনায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তার জীবনের লক্ষ্য ছিল অধ্যাপনা করা। কিন্তু ১৯৯৫ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি হিংস্র সন্ত্রাসী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ক্যাডাররা শহীদ মুস্তাফিজের আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ করে দেয়।

শাহাদাতের প্রেক্ষাপট
১৯৯৫ সালে ফেব্রুয়ারি মাস গত বছর ফেব্রুয়ারিতে শিবিরের উপর রক্তক্ষয়ী আক্রমণ করেছিল সন্ত্রসীরা। এবছরও ৬ই ফেব্রুয়ারিতে টার্গেট করে নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আশঙ্কা হচ্ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসীরা শিবিরের উপর হামলা করতে পারে। তথ্য পাওয়া গেলো সন্ত্রাসীরা অস্ত্র যোগাড় করতে পারেনি বলে ৬ ফেব্রুয়ারি হামলা সম্ভব হয়নি। চলতে থাকে তাদের অস্ত্র সংগ্রহের ব্যাপক তোড়জোড়। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে অন্তত ২০/২৫ জন শিবির মেরে ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের মাঝে শিবির না করার আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের ক্ষেত্র হিসেবে সন্ত্রাসীরা টার্গেট করলো হোসেন শহীদ সোহারায়ার্দী হলটিকে। ষড়যন্ত্র করার স্থান হিসেবে বেছে নেয় সোহরাওয়ার্দী হলে ২১৪, ২২০, ২১৯ নং কক্ষকে। এই তিনটি কক্ষে হল কর্তৃপক্ষ আসন বরাদ্দ করে রেজাউল করিম, আলফাজ উদ্দিন আর মতিউর রহমান তিন ছাত্রের নামে আর এই তিনটি কক্ষে অবস্থান করতো জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সশস্ত্র ক্যাডার অপু, কটু আর অজগর। ক্যাডারদের আবাসিক বিলাসিতা আর সকল অপকর্ম নির্বিঘ্নে সম্পাদন করার জন্য ২ আসনবিশিষ্ট কক্ষকে তারা ১ আসন বিশিষ্ট কক্ষে পরিণত করে। রাত যত গভীর হতো ২১৪ নং কক্ষ পরিণত হতো ফেনসিডিল, অফিম, গাঁজা ইত্যাদি আসরে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত ছাত্রগণ তাদের নাম বরাদ্দকৃত বৈধ সিটে উঠতে গেলে সন্ত্রাসীরা নানা হুমকির মাধ্যমে তাদেরকে বের করে দেয়। তারা হল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করলে হল প্রভোস্ট প্রফেসর অব্দুল আজিজ তাদের স্ব-আসনে উঠিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ইতোমধ্যে সন্ত্রসীরা খবর পেয়ে হল প্রভোস্টকে নানাভাবে লাঞ্ছিত, অপমানিত করে এবং সন্ত্রাসাীদের রুমের সামনে গেলে হত্যার হমকি দেয়। হল প্রভোস্ট সন্ত্রাসীদের কাছে নতজানু হয়ে প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, ওসির মধ্যস্থতার উক্ত তিনজন ছাত্রকে অন্যরুমে বরাদ্দ দিয়ে ২১৪, ২২০, ২২৯ নং কক্ষকে সিলগালা করে দেন।

স্বল্প সময়ের ব্যবধানে হল কর্তৃপক্ষ দুজন হিন্দু ছাত্রসহ অন্যান্য কজন মুসলমান ছাত্রকে এ তিনটি কক্ষে আসন বরাদ্দ দেন এবং ১১ই ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় হল প্রোভোস্ট তাদের নির্দিষ্ট আসনে তুলে দেন বিকেলে ৫টার সময় ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা ঐ তিনজন ছাত্রকে তাদের কক্ষ থেকে বের করে দেয় এবং অপমানিত করে তাদের বিছানাপত্র নিচে ফেলে দেয়। সাধারণ ছাত্র তিনজন তৎক্ষণাৎ শিবিরে হল নেতৃবৃন্দের শরনাপন্ন হন। শিবির নেতৃবৃন্দ সাধারণ ছাত্র ন্যায়সঙ্গত অধিকার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে হল প্রোভোস্টের সাথে সাক্ষাৎ করে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত করার আহব্বান জানান। প্রেভোস্টের সাথে সাক্ষাৎ করে শিবির নেতৃবৃন্দ হল গেটে পৌঁছে বাদ মাগরিব দেখতে পান হল গেটে ৫০/৬০ জন ছাত্রদল ক্যাডার সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে। এদিকে হল প্রভোস্ট গেটের অবস্থা জেনে সন্ত্রাসীদের ভয়ে হলের দিকে তার পা বাড়ানোর সাহস করেন নি।

সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ফেটে পড়ে অন্যান্য হলে সাধারণ ছাত্রসহ শিবির কর্মীরা। শহীদ হাবিবুর রহমান হল আয়োজন করে এক প্রতিবাদ মিছিলের। সুসজ্জিত ছাত্রদের ক্যাডার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে হামলা করে মিছিলের উপর। প্রতিরোধে মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে আশ্রয় নেয় তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল মাদারবকশ হয়ে। শিবির কর্মীর ধারণা করেছেন হয়ত এবার সন্ত্রাসীরা নিবৃত হবে। এদিকে শিবির কর্মীরা তাদের পবিত্র এবাদত রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহরীর প্রস্তুতি স্বরূপ ঘুমে নিমগ্ন হন। গাছপালা, পশুপাখি, সবুজভূমি সকল প্রাণিকুল যখন অঘোর ঘুমে নিমগ্ন তখন সন্ত্রাসীরা নিশাচরে ন্যায় অস্ত্র, মাস্তান ও সন্ত্রাসী আমদানি করে মাদারবকস হলে জড়ো করে এবং রাজশাহীর তৎকালীন মেয়রের নেতৃত্বে শিবির হত্যার একটি সুনিপুণ নকশা তৈরি করে। সাধারণ রোজাদারসহ শিবিরকর্মীরা যখন রোজাব্রত পালনের উদ্দেশ্যে সেহরী খাওয়ায় ব্যস্ত তখন নির্দিষ্ট সময়ে সেহরী সম্পন্ন করেন অন্যান্যদের ন্যায় শহীদ মুস্তাফিজুর রহামন।

সবার ন্যায় সেহেরী শেষে ফজরের নামাজ পড়ে ক্লান্ত অবসাদ দেহকে এলিয়ে দেন বিছানায়। মেয়রের অঙ্কিত নীল নকশা অনুপাতে স্টেনগান, কাটা রাইফেল, ককটেল, বন্দুক, পাইপগান, রিভলভার ইত্যাদি অত্যাধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বাদ ফজর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ঢুকে ঘুমন্ত শিবির কর্মীদের উপর অতর্কিত ঝাঁপিয়ে পড়ে খুনি চক্র। মেতে উঠে তারা রক্তের হোলি খেলায়। দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা ১ম ব্লক এবং মধ্য ব্লকের দোতালায় উঠে বৃষ্টির মত গুলি চালাতে থাকে। মুহুর্মুহু গুলির আওয়াজে দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে ঘুমন্ত শিবির কর্মীসহ সাধারণ রোজাদারগণ। আহত হন শত শত ছাত্র। অনেকে প্রাণভয়ে লাফিয়ে পড়েন ছাদ থেকে। সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসের মোকাবেলার জন্য নিজের জানকে বাজি রেখে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে বেরিয়ে আসেন ২৪৮ নং কক্ষ থেকে মুস্তাফিজুর রহমান।

সামনে এগুতেই দেখতে পান অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী গুলি করতে করতে এগিয়ে আসছে। মুস্তাফিজুর রহমান তখন ডাইনিংয়ের ছাদে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেখানে দাঁড়াতেই সন্ত্রাসীরা অত্যন্ত নিকট থেকে গুলি করে পাখির মত শিকার করে শহীদ মুস্তাফিজকে। গুলি করে সন্ত্রাসীরা মৃত্যু নিশ্চিত হতে না পেরে আবার মুস্তাফিজের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে দু’দুটি ফায়ার করে। শির উঁচু করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন শহীদ মুস্তাফিজ। চলে গেলেন আল্লাহর সান্নিধ্যে। শিখিয়ে গেলেন “যারা আল্লাহর পথে নিহত হন তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বরং তারা জীবিত”।

সাংগঠনিক জীবন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে যার নামটি সবচেয়ে পরিচিত তিনিই হলেন শহীদ মুস্তাফিজুর রহমান। শহীদ মুস্তাফিজের সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করা। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরে সাথী প্রার্থী ছিলেন এবং যথাযথভাবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি যে সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন সেটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবির জন্য একটি সংঙ্কটময় মুহূর্ত। সে সময় শিবিরবিরোধী জোট সংঘবদ্ধভাবে শিবির উৎখাতের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। 

১৯৯২-৯৩ সেশনে ভর্তি হবার পরপরই শহীদ মুস্তাফিজুর রহমান সংগঠনের সাথে জড়িত হন। তিনি সংগঠনের সকল নির্দেশ হাসিমুখে বরণ করে নিতেন। তার সাংগঠনিক ভাই আলমগীর হাসান রাজু তার সাংগঠনিক জীবনের একটি ঘটনার বর্ণনা দেন। ঘটনাটি হল রাতের আঁধারে হল পাহারার জন্য কয়েকজনকে ভাগ করে দেয়া হয়েছিল। শহীদ মুস্তাফিজের ডিউটি ছিল রাত ২টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আমার ডিউটি পালন করার কথা। কিন্তু সংগঠনের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ক্লান্ত হয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। শীতের প্রচন্ডতায় কুঁকড়ে যাবার মত অবস্থা। শহীদ মুস্তাফিজ আমাকে ডাকলেন না। তিনি একা একা ডিউটি দিয়ে রাত পার করলেন। সকালে সূর্যের উঁকিতে আমার ঘুম ভাঙলে শহীদ মুস্তাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন আমাকে ডাকলেন না? তিনি হাসিমুখে জবাব দিলে অতিরিক্ত ডিউটি আমার আল্লাহর খুশির কারণ হতে পারে। আমি তার কথায় তাজ্জব হয়ে গেলাম, আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপনার্থে আল্লাহ নিকট প্রার্থনা করলাম।

‘হে আল্লাহ তোমার এ বান্দাকে পরিচালনা করার যোগ্যতা আমার নাই। তুমি তাকে নেতৃত্বের আসনে আসার সুযোগ দাও। সেদিন বুঝতে পারিনি যে আল্লাহাকে এভাবে শাহাদাতের উচ্চ আসনে আসীন করবেন। তার সাংগঠনিক ভাই আরো বলেন, একদিন আমরা অতিথি কক্ষে বসে আলাপ করছিলাম। এমন সময় মুস্তাফিজ ভাই বললেন আমার মনে হচ্ছে দুনিয়ার সময় আমার ফুরিয়ে সেছে। আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন। তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। অপ্রত্যাশিত এ কান্নার কারণ বুঝতে পারলাম না। এ ঘটনবার ২/৩ মাস পরই তিনি আমাদের নিকট থেকে বিদায় নিলেন।

আল্লাহ একনিষ্ঠ শহীদ মুস্তাফিজ
ইবাদত পালনে শহীদ মুস্তাফিজ ছিলেন অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। সকালে সবসময় ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে পালন করতেন। কিছু সময় একমনে কুরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকতেন। ফজরের পূর্বে মাঝে মাঝে দেখা যেত মসজিদের এক কোণে। নিবিষ্ট চিত্তে দাঁড়িয়ে আছেন মহান প্রভুর প্রেমের নেশায়। আশে পাশে কেউ থাকলেও তিনি টের পেতেন কিনা জানি না। সাংগঠনিক বড় ভাই বলেন, ২/৩ দিন একই সঙ্গে নামাজ আদায়ের পরও তিন আমার উপস্থিতি টের পান নি। আল্লাহর অতি নিকটের এ বান্দার খবর হলে সবাই জানতেন না। তিন যখন তাহাজ্জুদের নামাজে দাঁড়াতেন, মনে হতো কোন মুর্তি দাঁড়িয়ে আছে। সাংগঠনিক বড় ভাই আরো বলেন, আল্লাহর প্রেমিক শহীদ মুস্তাফিজের সাহচর্যে আরও কিছুদিন থাকতে পারলে আমিও হয়তো আল্লাহ প্রেমিক হবার সুযোগ নিতে পারতাম। কিন্তু মহান রব সে সুযোগ আমাকে দেননি।


একনজরে শহীদ পরিচিতি
নাম : মো: মুস্তাফিজুর রহমান
পিতার নাম : গোলজার রহমান
স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম : আলমডাঙ্গা স্টেশন পাড়া,
ডাকঘর: আলমডাঙ্গা , থানা : আলমডাঙ্গা জেলা : চুয়াডাঙ্গা
পরিবারের সদস্য সংখ্যা : ১৫ জন
ভাইবোন : ১২ জন
ভাইবোনদের মাঝে অবস্থান : ৫ম
সাংগঠনিক মান : সাথী প্রার্থী
সর্বশেষ পড়াশুনা : ২য় বর্ষ সম্মান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
জীবনর লক্ষ্য : অধ্যাপনা
শাহদাতের স্থান : শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল
আঘাতের ধরন : স্টেনগানের গুলি
কাদের আঘাতে শহীদ : ছাত্রদল
শাহাদাতের তারিখ : ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫

শহীদ হওয়ার পূর্বে স্মরণীয় বাণী
শহীদ মুস্তাফিজুর রহমান বলতেন আমরা কি বাংলাদেশে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা অবস্থায় দেখে যেতে পারব? প্রচেষ্টা চালাতেই সময় চলে যাবে।

শাহাদাতের পর শহীদের পিতার প্রতিক্রিয়া
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শহীদের পিতা বলেন, আমার মুস্তাফিজ শহীদ হয়েছে তাতে আমার কোন দুঃখ নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার ছাত্রের মাঝে আমার মুস্তাফিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। আমার একটি মাত্র কামনা আমার মৃত্যুর পর যেন রাজশহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা আমার জানাজার নামাজে হাজির হয় ও নিজ হাতে দাফন করে।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ মুস্তাফিজুর রহমান

পিতা

গোলজার রহমান

জন্ম তারিখ

নভেম্বর ৩০, -০০০১

ভাই বোন

১২ জন

স্থায়ী ঠিকানা

আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা।

সাংগঠনিক মান

সাথী প্রার্থী

সর্বশেষ পড়ালেখা

অনার্স ২য় বর্ষ , ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

শাহাদাতের স্থান

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল