বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

চ্যালেঞ্জ নিয়ে যারা কুরআনকে গ্রহণ করতে পেরেছে তারাই সফল—শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেছেন, "চ্যালেঞ্জ নিয়ে যারা কুরআনকে গ্রহণ করতে পেরেছে তারাই সফল।"

তিনি ছাত্রশিবির দিনাজপুর শহর শাখা আয়োজিত মেধাবী ছাত্রদের মাঝে অর্থসহ কুরআন উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় শহর শাখা সভাপতি, সেক্রেটারিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, "মানবজাতির জন্য নিয়ামতস্বরূপ পবিত্র কুরআনকে এ রমজান মাসেই আল্লাহ তায়ালা নাজিল করেছেন। তাই এ মাসটি এত মর্যাদাপূর্ণ। কুরআনকে যতদিন মুসলমানরা ধারণ করেছে ততদিন তারা শ্রেষ্ঠ জাতি ও রাষ্ট্রে অধিষ্ঠিত ছিল। আর মুসলমানদের পরাধীনতার কারণও কুরআন থেকে দূরে সরে যাওয়া। কুফরি শক্তিও ভালো করে জানে কুরআন থেকে মুসলমানদের দূরে রাখতে পারলে মুসলমানদেরকে নিজেদের মতো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

আর তাই হাজার বছর ধরে কুরআন থেকে মুসলমানদের দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র চলছে এবং হাজার বছর পরেও এ ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে। এ ষড়যন্ত্রে তারা একশ্রেণির মুসলমানদেরও ব্যবহার করছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হচ্ছে।
যুগে যুগে আধিপত্যবাদী কুফফার শক্তি প্রকাশ্যেই বলেছে যে, 'মুসলমানদের শাসন করার মূলমন্ত্র হলো তাদের কুরআন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা'। আর বাতিল শক্তি হাজার বছর ধরে এ অ্যাজেন্ডাই বাস্তবায়ন করে আসছে।"

তিনি আরো বলেন, "বাতিলের কুরআনবিরোধী এ ষড়যন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে পাল্টা কুরআনকে আঁকড়ে ধরার দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। যদি আমরা কুরআনকে আঁকড়ে ধরার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারি, তাহলে কুরআনই আমাদের সিসাঢালা প্রাচীরে পরিণত করবে। যা বাতিলের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জমিনে কুরআনকে বিজয়ী করবে। এ জন্য কুরআনকে প্রথমে শুদ্ধভাবে পড়তে শিখতে হবে। কুরআনকে বুঝে পড়তে হবে। কেননা, কুরআন হলো মানুষের সার্বিক জীবনের দিকনির্দেশনা।

শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে কুরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও তাফসির পড়তে হবে। কুরআনকে আমাদের সুখ ও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি জমিনে কুরআন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে শামিল থাকতে হবে। কুরআনের প্রশ্নে কোনো প্রকার দুর্বলতাকে স্থান দেওয়া যাবে না। কুরআনের সর্বোচ্চ হক আদায়ে দৃঢ়প্রত্যয়ী থাকতে হবে। পরকালে মহান আল্লাহর কাছে সম্মানিত হওয়ার জন্য কুরআনের আলোকে জীবন গড়তে ছাত্রশিবির সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।"