রবিবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৩

সুইডেনে তুর্কি দূতাবাসের সামনে কুরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সুইডেনে তুর্কি দূতাবাসের সামনে উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের বিতর্কিত নেতা রাসমুস পালুদান প্রকাশ্যে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করেছে, যা শুধু কুরআন নয়; বরং বিশ্বের সকল মুসলমানসহ শান্তিকামী প্রতিটি মানুষের কলিজাকে দগ্ধ করার শামিল। পৃথিবীর কোনো সভ্য জাতি বা দেশ কারও মৌলিক বিশ্বাসের ওপর এভাবে আঘাত হানতে পারে না। এর আগেও ২০২০ সালে সুইডেনে একই কাজ করেছিল উগ্রপন্থিরা। এ নীতিহীন ন্যক্কারজনক অপকর্মের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছিল, যাতে বহু মানুষ নিহত হয়েছে। ফলে শুধু মুসলমান নয়; বরং বিশ্বের শান্তিকামী দেশ ও মানুষ থেকে ধিক্কার ও ঘৃণা কুড়িয়েছিল সুইডেন। এই নিন্দনীয় কাজ প্রতিটি মুসলমানসহ বিশ্বের সকল বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে। সুইডেনের মতো দেশগুলো নিজেদের সভ্য ও শ্রদ্ধাশীল হিসেবে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপনের প্রয়াস চালিয়ে আসছে, কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর এমন ঘৃণ্য আঘাত কীভাবে তাদের দেশ ও জাতিকে সভ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তা বিবেকসম্পন্ন মানুষের বোধগম্য নয়। এগুলো কোনোভাবেই বাক-স্বাধীনতা নয়; বরং বাক-স্বাধীনতার নামে চরম ধৃষ্টতা। এক্ষেত্রে সুইডেন সরকারের নীরব ভূমিকা বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। এগুলো কি শুধু অবমাননা, নাকি এর পেছনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে তা বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আমরা মুসলিম নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে এমন নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে জাতিসংঘ, ওআইসি, আরবলীগসহ সকল মুসলিম দেশ, নেতৃবৃন্দ ও শান্তিকামী মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলিমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, মুসলিমদের জীবনের চেয়েও প্রিয় পবিত্র কুরআন অবমাননা করলে আমরা চুপ থাকব; বরং সুশৃঙ্খল পন্থায় এর প্রতিবাদ জানানো প্রতিটি মুসলমানের ঈমানেরই দাবি। আমরা অবিলম্বে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় এর ফলে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সুইডেন সরকারকেই নিতে হবে। তাদেরকে সন্ত্রাসীদের কাতারেই বিবেচনা করবে বিশ্ববাসী।