শহীদ নোমানী : স্বপ্নচারী অভিযাত্রিক

নজরকাড়া নয়ন যুগল অনেকেরই থাকে, কিন্তু তার থেকে যে দৃষ্টি ঝরে- তাতে মমতা এবং স্বপ্ন থাকে ক’জনার। মার্চ এলেই সেই মমতাময় নয়ন আমাকে নাড়া দেয়। মমতার আচ্ছাদনে বাঁধতে শেখায় আমাকে। হাঁটতে শেখায় পথ তৈরি করে করে। আমি জানি, এ অনুভূতি আমি একাই উপলব্ধি করি না। শহীদ নোমানী ভাইকে কাছ থেকে যারা দেখেছেন, যারাই তাঁর সাথে মিশেছেনÑ তারা আজ অনুপ্রাণিত সেই নয়নের মমতা মেখে।

১১ই মার্চের শহীদেরা ইসলামী আন্দোলনের প্রেরণার উৎস

সেদিন বাতিলেরা ভেবেছিল এই বর্বর হত্যাকান্ড চালিয়ে ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। কিন্তু রক্ত ঝড়িয়ে আদর্শকে দমন করা যায়না বরং আন্দোলনের ভিত্তি আরও মজবুত হয়। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ছাত্রশিবিরের আজকের অবস্থান। সেই শহীদদের ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত অসংখ্য নেতাকর্মী জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। এখনো চলছে জুলুম নির্যাতন

প্রেরণায় ভাস্বর এক কিংবদন্তি শহীদ আবদুল মালেক

আবদুল মালেক ভাইকে শহীদ করার মাধ্যমে সেদিন সেকুলারপন্থীরা ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের পক্ষে আওয়াজ তোলাকে বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের সে পরিকল্পনা সাময়িক বাস্তবায়িত হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী তাদের জন্য বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

শহীদী মিছিলে শামিল হলেন প্রিয় ভাই ওমর ফারুক।

শহীদী মিছিলে শামিল হলেন প্রিয় ভাই ওমর ফারুক।

কুরআনের আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ শহীদ খলিলুর রহমান

২০০৯ সালে আমি শ্যামপুর থানা সভাপতি থাকাকালীন শহীদ খলিলুর রহমান ভাইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল মুরাদপুর মাদ্রাসা ওয়ার্ডের। অল্প দিনের মধ্যেই তিনি হয়ে উঠলেন মাদ্রাসার সকল ছাত্রের প্রিয়ভাজন ব্যক্তি। কিছুদিনের মধ্যে অন্য সকল ওয়ার্ডের চাইতে সর্বোচ্চ সংখ্যক সমর্থক, কর্মী ও সাথী বৃদ্ধি করে মাদ্রাসায় সংগঠনের কাজের মজবুত অবস্থান তৈরি করলেন। তিনি যখন মাদ্রাসায় যেতেন তখন ছোট বড় সবাই তার সাথে দেখা করার জন্য ভীড় জমাতেন। মনে হতো তিনি যেন সকলের আপনের চাইতেও আপন।

২৮ অক্টোবর যে নরহত্যা ভোলার নয়

কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ঘটলো সেই নরহত্যাযজ্ঞের ঘটনা। নয়াপল্টন ও পুরানা পল্টনে যারা ছিলেন তাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। আর আওয়ামী লীগ অফিস-কেন্দ্রীক মিছিলকারীদের প্রত্যেকের হাতে ছিল লগি আর বৈঠা। টেলিভিশনের ক্যামরা সচল ছিল। একদল লগি-বৈঠাধারী আকস্মিকভাবে ছুটে এলো পুরানা পল্টন মোড়ের দিকে। তাদের কারো কারো হাতে ছিল পিস্তল ও কাটা রাইফেল। ভিডিও চিত্রে তার প্রমাণ আছে। ছুটে এসেই তারা পুরানা পল্টনে অবস্থানরতদের ওপর হামলা চালালো। অনেকে এদিক ওদিক ছুটে গেল। কিন্তু পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল সাদা পাজামা পানজাবি পরা তরুণ জসিম। সে পালাবারও চেষ্টা করেনি। যেন আরো

২৮ অক্টোবর : বিজয়! সাহসী উপাখ্যান! দুঃখময় স্মৃতি! বেদনা! ব্যর্থতা! অক্ষমতা……

ক্ষত বিক্ষত কারো বুক-কারো মাথা, ছোপ ছোপ রক্তের ধারায় রঙ্গীন সবার শরীর। এ যেন জান্নাতের সুঘ্রান পাওয়া একদল সংশপ্তক সৈনিকের জীবন উৎসর্গের প্রাণপণ লড়াই। রক্তাক্ত গাজী ও জিন্দাদিল শহীদ ভাইদের সেদিনকার অপরিসীম ত্যাগের মহিমা ঢেকে দিয়েছে আমাদের সকল ব্যর্থতা।

২৮ অক্টোবর আওয়ামী বর্বরতার কালো অধ্যায়

ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে অনেক দিবস আছে যেগুলো আমাদের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। আমরা যখনি হিরোশিমা নাগাসাকি, ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ’০৯ বিডিআর হত্যাযজ্ঞ, আর এপ্রিল ফুল দিবসের কথা স্মরণ করি, আমাদের স্মৃতিতে এক জঘন্য চিত্র ভেসে ওঠে। তেমনি ২৮ অক্টোবরকে স্মরণ করলে আওয়ামী লীগ বৈঠার হিংস্রতা পৈশাচিকতা, আর বর্বরতার এক বীভৎস চিত্র আমাদের নতুন প্রজন্মেও নিকট ফুটে ওঠে, যাতে শিউরে ওঠে শরীর, বাকরুদ্ধ হয় বিবেক, কেঁদে ওঠে মানুষের মন। আর এই মানুষরূপী নরপশু অভিশপ্তদের ঘৃণা করবে বিশ্বমানবতা শতাব্দীর পর শতাব্দী।

২৮ অক্টোবর : যেন বদর-ওহুদের প্রান্তর

প্রত্যেকটি ঘটনার উপরে আরেকটি বড় ঘটনা তৈরি হয়। আমরা ইতিহাস থেকে হিরোসিমা-নাগাসাকির ধ্বংষযজ্ঞ ইতিহাস, এপ্রিলফুলের হত্যাযজ্ঞ ইতিহাস, আবু গারিব কারাগারের নির্যাতনের ইতিহাস, চেঙ্গিস খানের বর্বরতার ইতিহাস জানি। কিন্তু ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগ যে হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস তৈরি করেছিল তা পৃথিবীর সকল জঘন্য বর্বর ইতিহাসকে হার মানায়।

২৮ অক্টোবর : অপরাজনীতির দলিল

সমালোচকরা অথবা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আওয়ামী লীগকে সেই রকমই একটি দল এবং তাদের পরিচালিত সরকারকে ফ্যাসিবাদী সরকার বলে থাকেন। এই প্রজন্মের কাছে আওয়ামী লীগের এহেন চরিত্রটি অজানা থাকলেও বিগত ১৯৯৬-২০০১ সালে শাসনব্যবস্থা এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর মতায় আরোহণের পর দীর্ঘ ৩৩ মাসের শাসন এ প্রজন্মের কাছে দুঃশাসন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার রাজপথে আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠাধারী সন্ত্রাসীরা সারা বাংলাদেশ থেকে এসে যে