বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারী জেনারেল ড. মোবারক হোসাইন রাজধানীর একটি মিলনায়তনে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ৬ থেকে ১৯ শে ডিসেম্বর পক্ষকালব্যাপি কর্মসূচি ঘোষনা করেন। তারা বলেন, প্রতি বছরই শীতকাল গরীব অসহায় মানুষের জন্য সীমাহীন দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এ দুর্ভোগ দূর করা অসম্ভব কিছু নয়। সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালালে সহজেই শীতার্তদের কষ্ট লাঘব করা সম্ভব। শীতার্তদের কষ্ট লাঘবে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক শাহ মাহফুজুল হকের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, কলেজ সম্পাদক মারেফুল ইসলাম।
তারা আরো বলেন, শীতে বাংলাদেশের চিত্র সুখকর নয়। প্রতি বছরই জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ শীতে নিদারুন কষ্ট ভোগ করে। জনগণের কষ্ট লাঘবের দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু বরাবরই সরকার এসব গরীব অসহায়দের কষ্টকে পাশ কাটিয়ে গিয়েছে। কিন্তু শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থেকে সবার হাত গুটিয়ে বসে থাকা উচিৎ নয়। বাংলাদেশ একটি মুসলীম প্রধান দেশ। একজনের কষ্টে অন্য জনের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রত্যেকটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। বিত্তশালীদের সাহায্য ও সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র সরবরাহ করে সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে এসে দাঁড়ানো দরকার। নিঃস্বার্থভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্য ও সেবা করাই মানবধর্ম। এ মহৎ ও পুণ্যময় কাজই সর্বোত্তম ইবাদত। সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ যদি যার যার সাধ্য অনুযায়ী তার পাশের শীতার্ত মানুষটির পাশে দাঁড়ায় তাহলে সহজেই শীতের কষ্ট লাঘব করা সম্ভব। আমাদের প্রত্যাশাও তা’ই। সামর্থ ও সুযোগ থাকার পরও শীতার্তদের পাশ কাটিয়ে যাওয়া অমানবিক ও অবিবেচকের কাজ। আমরা আশাকরি এবারের শীতে সর্বস্তরের মানুষ শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবিকতার নজির স্থাপন করবে।
বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগ কবিলত দেশ। ইতিহাসের ভয়াবহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে আছে এদেশের মানুষ। নিজের জীবন রক্ষার পাশাপাশি অন্যদের সাহায্যে ছুটে যাওয়া এখানকার মানুষের চিরাচরিত নিয়ম। তারই ধারাবাহিকতায় ইসলামী ছাত্রশিবির জাতির এইসব ক্রান্তিকালে রেখেছে সাহসী, উদার ও দায়িত্বশীল ভূমিকা।
সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই ছাত্রশিবির প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পক্ষকালব্যাপি শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। আমরা আশা করি এ কর্মসূচি এক দিকে যেমন শীতার্ত মানুষের একটি বিরাট অংশের শীতের কষ্ট দূর করবে তেমনি সমাজের অন্যান্যদেরও এ মহান কাজে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করবে।
উল্লেখ্য শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পক্ষকাল ব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ছাত্রশিবির।
সংশ্লিষ্ট
- বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবে শিবির
- জাতীয় বৃক্ষরোপন অভিযান ২০১৬
- শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী ২০১৫
- সপ্তাহব্যাপী সাক্ষরতা অভিযান
- জাতীয় বৃক্ষরোপন কর্মসূচী ২০১৫
- আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস পালন
পক্ষকালব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী ২০১৭
ছবি অ্যালবাম: পক্ষকালব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী ২০১৭