গতিশীল রাখুন আপনার ময়দান - রাজিবুর রহমান

ইকামাতে দ্বীনের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন করতে হয় সংঘবদ্ধভাবে। অর্থাৎ দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য সংঘবদ্ধ হওয়া অপরিহার্য। আর দ্বীন প্রতিষ্ঠার এ সংগ্রাম পরিচালনার জন্য যারা এগিয়ে আসে, তাদেরকে সংঘবদ্ধ করে গঠিত হয় ইসলামী সংগঠন। এ সংগঠনের প্রতিটি কর্মী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতার সাথে পালন করে এবং সংগঠনের কাজ গতিশীল রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালায়। কর্মীদের সুসংগঠিত প্রচেষ্টা সংগঠনকে একটি শক্তিতে পরিণত করে।

যেখানেই ছাত্র, ইসলামের আহ্বান পৌঁছানোর লক্ষ্যে সেখানেই আমরা -রাজিবুর রহমান

মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বানের কাজ বা দায়িত্ব সরাসরি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নির্দেশিত। বিশ্বাসীদের জন্য দাওয়াতি কাজের গুরুত্ব বোঝা ও তদনুযায়ী কাজ করার জন্য একটি আয়াতই যথেষ্ট হতে পারে। “তোমরা আল্লাহর দিকে মানুষকে হিকমাহ ও সুন্দরতম উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করবে, আর বিতর্ক করবে উত্তম পন্থায়”। (সূরা নাহল : ১২৫)

সময় এখন ‘ইসলামফোবিয়া’ প্রতিহত করার -রাশেদুল ইসলাম

প্রতিবাদের ভাষা সবসময় একরকম হয় না। মুখের ভাষায় কিংবা রাস্তায় বিভিন্নভাবে অবস্থান করার মাধ্যমে স্বাধীন দেশে মানুষ তার স্বাধীন মত প্রকাশ করবে, এটা আবহমানকাল থেকে বাংলার রীতি ছিলো। বিশেষ করে বাকশাল পরবর্তী বাংলাদেশে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করেছিলো। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় হলে স্বাধীনতার সূর্য নতুন ধারায় অস্তমিত হতে শুরু করে। ইংরেজদের কাছে রাজসিংহাসনের কতিপয় আত্মবিস্মৃত গুরুত্বপূর্ণ নেতার পদস্খলনের মাধ্যমে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় পরবর্তী পরাধীন জীবনের সাথে আজকের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনা করা একটু কঠিন। জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সিনিয়র সিটিজেনদের মধ্যে যারা উচ্চশিক্ষিত। এই শ্রেণির মানুষদের চিন্তাধারার ওপর সবসময় সাধারণ মানুষ আস্থাশীল থাকে। দুঃখজনকভাবে সত্য ঘটনা হচ্ছে, এই বুদ্ধিজীবী শ্রেণির সুশীলসমাজের অধিকাংশই আজকে ইচ্ছে করে হোক অথবা বাধ্য হয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কথা বলেন, মত প্রকাশ করেন এবং থিওরি ছাড়েন। ফলশ্রুতিতে সত্য চর্চাকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই সিনিয়র সিটিজেনদের সার্বিক সাপোর্ট পাওয়া সরকার পাকাপোক্ত হয়ে যা ইচ্ছে তা-ই করতে থাকে। হয়েছেও তাই। বিপরীতে সত্যপন্থী সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে মুখর হতে যেহেতু বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন, তাই তারা মৌন থেকেই আজ প্রতিবাদ করছেন।

রমাদান পরবর্তী এগারো মাসে করণীয় -মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হক

রমাদানের পরে আরবি বর্ষপঞ্জির দশম মাস শাওয়াল। এটি হজের তিন মাস তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজের মধ্যে প্রথম মাস। এ মাসের প্রথম তারিখে রমাদানের বা ঈদুল ফিতর এবং সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। রমাদান-উত্তর ঈদুল ফিতর, সাদাকাতুল ফিতর, হজের সংশ্লিষ্টতাসহ এ মাসটি তার অবস্থান ও মর্যাদার কারণে ইসলামী জীবনব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। রমাদানে মাসব্যাপী যারা সিয়াম সাধনা করেছেন তাদের জন্য এ মাসে বাড়তি সুসংবাদ রয়েছে। তা হলো শাওয়াল মাসের ৬টি সিয়াম। সহীহ হাদিসে এসেছে, আবু আইয়ুব আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে নর-নারী রমাদান মাসে সিয়াম পালন করলো, তারপর শাওয়াল মাসে ছয় দিন সিয়াম পালন করলো, সে যেন সারা বছর সিয়াম পালন করলো। (মুসলিম-২৮১৫, তিরমিজি-৭৫৯)। ভালো ও মন্দ কর্মের প্রতিদান প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যে ব্যক্তি একটি সৎকাজ করবে, তাকে দশগুণ প্রতিদান দেয়া হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি একটি পাপ করবে, তাকে শুধু এক পাপের সমান বদলা দেয়া হবে। বস্তুত তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।” (সূরা আনআম : ১৬০) উক্ত আয়াতে প্রত্যেক সৎকাজের প্রতিদান দশগুণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে, যদিও তা সর্বনিম্ন পরিমাণ। আল্লাহ তায়ালা স্বীয় কৃপায় আরো বেশি দিতে পারেন।

১১ মে কুরআন দিবস বাংলাদেশের সবুজ ভূখণ্ডে শাহাদাতের দীপ্ত মিছিল -রাশেদুল ইসলাম

আল্লাহর দেওয়া বিধানের আলোকে মানুষের জীবন পরিচালনার বিরোধিতা করার জন্যই শয়তানের সকল তৎপরতা। এই তৎপরতার মূল ক্রীড়নক মানুষ নিজেই। অনেকের ধারণা, মহাগ্রন্থ আল কুরআনের বিরোধিতা শুধুমাত্র কুরআন না জানার কারণে। এটা একদিক থেকে ঠিক আছে। তবে এর উল্টোপাশে বিশাল জায়গাজুড়ে যে বিষয়টি রয়েছে, তা হলো মহান আল্লাহর সাথে মানুষের সরাসরি বিরোধিতায় লিপ্ত হওয়া। যারা এই বিরোধিতায় লিপ্ত হয়, তারা পৃথিবীর তাবৎ সত্য-ফিতরাত উপেক্ষা করেই তাদের কর্মসূচি নির্ধারণ করে থাকে। ১৯৮৫ সালের ১১ মে কুরআনপ্রেমীদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ জন ভাইয়ের শাহাদাতের ঘটনা সেরকম আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশবিশেষ।

চাইতে হবে আল্লাহর কাছেই - মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত

পৌষের শেষ দুপুর এখনো মাঘ মাস শুরু হয়নি। মেঘের আড়ালে সারাবেলা সূর্য লুকিয়ে থাকায় দুপুর পেরিয়েও শীতের প্রকোপটা অন্য দিনের চাইতে একটু বেশিই মনে হচ্ছিল। এর মাঝে এক পশলা বৃষ্টি নামলো হঠাৎ করে। এমন সময় লোহার শিকলের ফাঁক দিয়ে ঝিরঝির বৃষ্টি দেখছি আর আনমনে মুখ দিয়ে উচ্চারিত হচ্ছিল সুরসম্রাট শিল্পী মশিউর রহমানের গাওয়া বিশিষ্ট গীতিকার আসাদ বিন হাফিজের লেখা জনপ্রিয় একটি গানের দু’এক লাইন-“পৃথিবী না জানুক আমি তো জানি, আমি কি পাপ করেছি হায়, আমার পাপের করলে বিচার বাঁচার নাই উপায়” যখনই একান্তে নিজেকে নিয়ে ভাবি, আত্ম-সমালোচনা করি তখনই এ গানটির কথা মনে চলে আসে। গানের লাইনগুলো উচ্চারণের সাথে সাথে শিহরণ দিয়ে লোমকূপ নাড়া দিয়ে যায়। দুনিয়ার আদালতে মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ অভিযোগের বিপরীতে সাহস করেই বলতে পারি আমি অপরাধী নই অভিযোগের সাথে দূরতম সম্পর্কও নেই আমার। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালন, রাসূল সা.-এর অনুসরণ, শিরকমুক্ত জীবনগঠন, ফরজ ওয়াজিব হালাল হারাম মেনে চলা, কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা, অন্যের হক ও অধিকার ক্ষুন্ন না করা, এসব প্রশ্নে যখন নিজেকে নিজেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাই, তখন গানের লাইনগুলো নিজ অনুভূতিকে প্রচণ্ড নাড়া দেয়। নিজের কৃতকর্মের অনুশোচনায় মহান আল্লাহ তায়ালাকে ডেকে বারবার পানাহ চাই। জানা অজানা, সগিরা (ছোট) কবিরা (বড়) গোনাহ পাপের জন্য কায়মনোবাক্যে নিবেদন করি অসীম দয়াময় আল্লাহর কাছে। মানুষ যখন পাপমোচনের তাগাদা অনুভব করে তখন নিজেকে সঁপে দিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছেই নিবেদন করে। কারণ মানুষের যত চাওয়া সব নিবেদনের জায়গাদাতা একমাত্র আল্লাহরই নিকট। আবার মানুষ যখন বিপদ আপদ মুসিবতে পতিত হয় তখনও উত্তরণের জন্য আল্লাহর কাছেই ধরনা দেয়। পাপমোচন, বিপদ আপদ কিংবা মুসিবত ছাড়াও মানুষের যেকোনো চাহিদা পূরণের প্রত্যাশায় মানুষ দু’হাত তুলে আল্লাহর নিকটই প্রার্থনা করে। মানুষ যে আল্লাহর কাছেই চাইবে কিংবা তার সকল চাহিদা যে আল্লাহকেই জানাবে এবং তাতে আল্লাহ সাড়া দিবেন সেটিও আল্লাহই আমাদের বলে দিয়েছেন। কুরআনুল কারিমে এসেছে “তোমাদের প্রভু বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকের (দোয়ার) জবাব দেবো (দোয়া কবুল করবো)। (সূরা মুমিন : ৬০)

"ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণ পরকালীন জবাবদিহিতা সহজ করে" -ড. মো: হাবিবুর রহমান

আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের জীবন পরিচালনার পদ্ধতি ও পন্থা কী হবে তাও বলে দিয়েছেন। এ সম্পর্কে আল-কুরআনে বলা হয়েছে, قُلْنَا اهْبِطُوا مِنْهَا جَمِيعًا فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنْ تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ (৩৮) আমি বললাম, ‘তোমরা সবাই তা থেকে নেমে যাও। অতঃপর যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোনো হিদায়াত আসবে, তখন যারা আমার হিদায়াত অনুসরণ করবে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সূরা বাকারা : ৩৮) উপরোক্ত আয়াতে যে জীবন-বিধানের কথা বলা হয়েছে মানুষের জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহর এই বিধানের চেয়ে উত্তম বিধান আর নেই। তাই এই বিধান যারা দুনিয়ায় মেনে চলবে তারা পরকালীন জীবনে শান্তিতে থাকবে এবং যারা এটা মানবে না তারা কঠিন কষ্টের মধ্যে নিমজ্জিত হবে।

"স্বাধীনতার ৫১ বছরেও পরিপূর্ণ উন্নয়ন সড়কে উঠতে ব্যর্থ বাংলাদেশ" -রাশেদুল ইসলাম

মানুষের অন্তর থেকে ন্যায়বোধ লোপ পেলে সেই মানুষের পক্ষে যেকোনো ধরনের ভুল ও অজনহিতকর সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। আমাদের দেশে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার এবং তাদের সাথে যারা সখ্য রেখে চলতে অভ্যস্ত বা সুযোগসন্ধানী তাদের অবস্থা বিবেচনায় নিলে আমরা এর প্রকৃত চিত্র দেখতে পাই। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার ৫১তম বছর অতিক্রম করছি আমরা। একটা ভূখণ্ডকে গড়ে তোলার জন্য এরচেয়ে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু বাংলাদেশ যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে আরো ১০০ বছরেও এদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে মৌলিকভাবে চিহ্নিত একটি দেশ হিসেবে বিবেচনায় নেয়া কঠিন হতে পারে।

"দারিদ্র্য বিমোচনের এক শক্তিশালী হাতিয়ার" -মো. রফিকুল ইসলাম

ওশর নামাজ রোজার মতোই ফরজ ইবাদত। আমাদের দেশে আমরা যাকাতের সাথে পরিচিত এবং যাকাতের প্রচলন কিছুটা থাকলেও যাকাতের উল্লেখযোগ্য খাত ‘ওশর’ বর্তমানে চালু নেই। মুসলমানদের জন্য অতীব পরিতাপের বিষয় ‘ওশর’-এর ন্যায় ফরজ একটা অর্থনৈতিক ইবাদত সম্পর্কে কারো তেমন অনুভূতি নেই। যাকাত ও ওশর দারিদ্র্য বিমোচনের এক শক্তিশালী হাতিয়ার। পরিকল্পিত উপায়ে যদি যাকাত এবং ওশর আদায় করা হয় তাহলে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার যাকাত এবং লক্ষ লক্ষ টন ফসল ওশর হিসেবে আদায় করা সম্ভব। ইসলামী অর্থনীতির দুটো ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারলে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে এবং দারিদ্র্য জাদুঘরে পালাতে বাধ্য হবে।

"অর্থনীতি সমৃদ্ধকরণে রাসূল সা.-এর ভূমিকা" -- হাবিবুর রহমান

মহান আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ইরশাদ করেছেন, ওমা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লিল আলামিন। অর্থ: হে নবী আপনাকে মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ পাঠানো হয়েছে। সত্যি, মানুষের জন্য অফুরন্ত শান্তির বার্তা নিয়ে আগমন ঘটেছিল মানবতার মুক্তির দিশারি, সর্বকালের সবশ্রেষ্ঠ মানুষ, নবীকুলের শিরোমণি, পথহারা পথিকের পথপ্রদর্শক, অর্থনৈতিক সংস্কারক বিশ্বনবী মহামানব হযরত মুহম্মদ সা.-এর। মানবসমাজের জন্য আল্লাহ তার মাধ্যমেই পাঠিয়ে ছিলেন রহমতের অমিয় ধারা। সেই রহমতের গুণেই অন্ধকারাচ্ছন্ন, পাপ-পঙ্কিলতাময় বসুন্ধরায় আইয়্যামে জাহেলিয়াতের সমাজ ভরে উঠেছিল আলোয় আলোয়। সমস্ত পৃথিবীতে যখন পাপ-পুণ্যের, বিবেক-বুদ্ধির অন্ধ বিশ্বাসের জালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে মহান আল্লাহ তায়ালার ঐশী বাণী নিয়ে হযরত মুহাম্মাদ সা. পৃথিবীতে আগমন করেন। অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে তাঁর দূরদর্শিতা দিয়ে যে আমূল পরিবর্তন সাধন করেছেন তা পরবর্তীতে বিশ্বের অর্থনীতিবিদদের নিকট আদর্শ হয়ে থাকে। রাসূল সা. কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী অর্থনীতিতে দিয়েছেন এক যুগান্তকারী নতুন কর্মসূচি।