শহীদ মো: হাদিউজ্জামান সুজন

২৭ জানুয়ারি ২০১৬ - ০৪ জানুয়ারি ২০১৪ | ১৯৯

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

শহীদের পরিচিতি
শহীদ মো. হাদিউজ্জামান সুজন ১৯৯৯ সালে পীরগাছা থানার কুটিয়াল পাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। পিতা-মাতার ৫ সন্তানের মধ্যে তিনি ২য় সন্তান। ছেলেকে বড় আলেম তৈরী করার স্বপ্ন দেখছিলেন পিতা, তাই শহীদ মো. হাদিউজ্জামানকে ভর্তি করেছিলেন মাদ্রাসায়। তিনি পারিবারিক কাজ, গ্রামের মসজিদে আজান দেয়া, নামাজ পড়ানো সহ, বিভিন্ন প্রকার সামাজিক কাজে সর্বদাই যোগ দিতেন। শাহাদাত কালীন সময় তিনি দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।

যেভাবে তিনি আল্লাহর ডাকে চলে গেলেন:
০৫ জানুয়ারী ২০১৪ আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার বাকশালী কায়দায় বিরোধীদল কে বাদ দিয়ে একক ভাবে একটি প্রহসনের নিবার্চন অনুষ্ঠানের আয়জন করে। সারা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে। ০৪ জানুয়ারী ২০১৪ রাতে রংপুর দেউতি বাজারের বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং দেউতি স্কুল এন্ড কলেজ ভোট কেন্দ্রের নিবার্চনকে বন্ধ করার লক্ষে ভোট কেন্দ্র অবরোধ করে। এই মিছিলে যোগদান করেন শহীদ মো: মিরাজুল ইসলাম। মিছিল শুরু হলে সশস্ত্র আওয়ামী পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করলে ডান চোখ ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন তিনি। দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ৫ জানুয়ারী সকাল ৭ টায় শাহাদাত বরণ করেন শহীদ মো: হাদিউজ্জামান।

শাহাদাতের পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা :
ঘটনার দিন সকাল ৮ টায় দায়িত্বশীল বৈঠকে তার দায়িত্বশীল বলেছিলেন আওয়ামী লীগের এ প্রহসনের নিবার্চনকে প্রতিহত করতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হলেও আমরা পিছিয়ে যাব না। তনি তার ব্যক্তিগত ডায়েরীতে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে লিখেছিলেন “আমি যদি ইসলামী আন্দোলনের জন্য শহীদ হয়ে যাই তবে আমার জন্য কেউ দুঃখ করো না, সবাই আমার জন্য দোয়া কর”।

সংগঠনে আসার ইতিহাস শেষ দিন পর্যন্ত : শহীদ হাদিউজ্জামান প্রথমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন, ২০১২ সালের প্রথম দিকে একদিন জামায়াতে ইসলামীর এক প্রোগ্রাম শেষে তিনি ছাত্রশিবিরের স্থানীয় দায়িত্বশীলের কাছে শিবির করার ইচ্ছা পোষন করলে, শিবিরের দায়িত্বশীল ইমরান বাদশা ভাই তাকে ছাত্রশিবিরের ব্যাক্তিগত রির্পোট দেন এবং ঐ মাসেই তিনি কর্মী হন এবং পরের মাসেই তার নিজ প্রকেচষ্ঠায় ৬ জন কর্মী বৃদ্ধি করেন।পরর্বতীতে তিনি দায়িত্বশীলের কাছে সাথী হয়ার জন্য প্রবল ইচ্ছা পোষন করেন এবং ২০১২ সালের ডিসেম্বর এর প্রথম সপ্তাহে তিনি ছাত্রশিবিরের সাথী শপথ লাভ করেন।

শহীদের জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা:
ঘটনার দিন সকাল ৮ টায় দায়িত্বশীল বৈঠকে তার দায়িত্বশীল বলেছিলেন আওয়ামীলীগের এ প্রহসনের নিবার্চনকে প্রতিহত করতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হলেও হতে পারে, তিনি দাড়িয়ে বলেছিলেন আমরা শহীদ হলেও হতে পারি। শহীদ হাদিউজ্জামান ভাই তোতলিয়ে কথা বলতেন, তিনি সর্বদাই তোতলিয়ে-তোতলিয়ে তার শহীদ হওয়ার ইচ্ছা পোষন করতেন। তিনি তার ব্যক্তিগত ডায়েরীতে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে লিখেছিলেন -“আমি যদি ইসলামী আন্দোলনে শহীদ হয়ে যাই, আমার জন্য কেউ দুঃখ করিও না, সবাই আমার জন্য দোয়া কর” যা তাঁর শাহাদত এর পরে দেখতে পাওয়া যায়।

সামগ্রীক ঘটনার বিবরণ:
আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার ০৫ জানুয়ারী ২০১৪ বাকশালী কায়দায় বিরোধীদলকে বাদ দিয়ে একক ভাবে একটি প্রহসনের নিবার্চন অনুষ্ঠানের আয়জন করে। প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। ০৪ জানুয়ারী ২০১৪ রাতে রংপুর দেউতি বাজারের বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং দেউতি স্কুল এন্ড কলেজ ভোট কেন্দ্রের নিবার্চনকে বন্ধ করার লক্ষে কেন্দ্র অবরোধ করে। এই মিছিলে যোগদান করেন শহীদ মো: মিরাজুল ইসলাম। মিছিল শুরু হলে সশস্ত্র আওয়ামী পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করলে ডান চোখ ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন তিনি। দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ৫ জানুয়ারী সকাল ৭ টায় শাহাদাত বরণ করেন শহীদ মো: হাদিউজ্জামান। এই ঘটনায় মিরাজুল ইসলাম নামে আরও একজন জামায়াত কর্মী শহীদ হন।

শহীদের আপনজনদের কথা:
পিতা: আমার সন্তানকে আল্লাহ শহীদ হিসাবে কবুল করুন, আমীন। আমি শহীদের পিতা হিসাবে গর্বিত এবং আমি নিজেও শহীদ হতে চায়

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ মো: হাদিউজ্জামান সুজন

জন্ম তারিখ

জানুয়ারি ২৭, ২০১৬

স্থায়ী ঠিকানা

রংপুর জেলার পীরগাছা থানার দেউতি ইউনিয়নের পরীগাছা গ্রাম

সাংগঠনিক মান

সাথী

সর্বশেষ পড়ালেখা

৫ ভাই-বোনের মধ্যে ২য়

শাহাদাতের স্থান

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল


শহীদ মো: হাদিউজ্জামান সুজন

ছবি অ্যালবাম: শহীদ মো: হাদিউজ্জামান সুজন


শহীদ মো: হাদিউজ্জামান সুজন

ছবি অ্যালবাম: শহীদ মো: হাদিউজ্জামান সুজন