শহীদ ইনসান আলী

১২ আগস্ট ১৯৯৮ - ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ | ১৯৭

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

১৯৭. শহীদ ইনসান আলী
১৫ই ডিসেম্বর ২০১৩, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেয়ার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতাল চলা কালে ৩.৩০ টায় জয়পুরহাটের হারোকি বাজারে পিকেটিং এর সময় গ্রামবাসীর সাথে আওয়ামী পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির দ্বিমুখী সংঘর্ষের সময় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি নির্বিচারে গুলি চালালে বুকে, হাতে, পিঠে গুলি বিদ্ধ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে শাহাদাত বরণ করেন হাতিগাড়ী দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র ও শিবিরের সাথী ইনসান আলী। পিতা মোসলেম উদ্দিন ও মাতা রিনা বেগমের দুই সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে ইনসান। তিনি জয়পুরহাট জেলার সদর থানার পুরানাপৈলের হালট্রি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

শহীদের পরিচিতি:
শহীদ মোঃ ইনসান আলী ১২.০৮.১৯৯৮ সালে জন্ম গ্রহন করেন। পিতা-মাতার ২ সন্তানের মধ্যে তিনি ২য় সন্তান। তিনি ইসলামী ছাত্র শিবিরের হালট্টী উপ-শাখার সভাপতি ছিলেন। হাতিগাড়া দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণীতে লেখা-পড়া-লেখা করতেন।

যেভাবে তিনি আল্লাহর ডাকে চলে গেলেন:
১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তথাকথিত বিচারের নামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডাকে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছিল। হরতাল কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে আসেন শহীদ ইনসান আলী। প্রতিবাদ মিছিল শুরু হলে আওয়ামী সন্ত্রাসী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি হামলা চালায় ও নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। গ্রামবাসিরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন শহীদ ইনসান আলী। বিকাল ৪ টায় তাকে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সন্ধ্যা ৭ টায় তিনি শাহাদাত বরণ করেন। তুলাট মাঠে জানাজা শেষে হালট্টী পারিবারীক কবরস্থানে শহীদ ইনসান আলীকে দাফন করা হয়।

শাহাদাৎ এর পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা :
ইনসান আলী সব সময় ঈমানের তাগিদেই জামায়াত ও শিবিরের কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করতেন। তিনি সর্বদায় শহীদ হওয়ার ইচ্ছা পোষন করতেন। ঘটনার দিন নিজ বাড়ীতে দুপুরের খাবার খেয়ে কর্মসূচীতে কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করে শাহাদৎ বরণ করেন।

সামগ্রীক ঘটনার বিবরণ:
১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তথাকথিত বিচারের নামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ছিল। এলাকার সকল কর্মসূচীই জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের হালট্ট্রী মোড় থেকে শুরু হত। হরতাল, অবরোধ কর্মসূচী পালন করার সময় স্থানীয় হালট্টীগ্রামে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নারকীয় হামলা চালায়। নির্বিচারে শত-শত রাউন্ড টিয়ার সেল ও গুলি বর্ষণ করতে থাকে। বিকাল ৪টায় তখন আশে পাশের সকল গ্রামের হাজার হাজার মানুষ একত্র হয়ে সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধের গড়ে তোলে এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে থাকে। এই হামলায় ঘটনাস্থলেই ৩জন শাহাদাত বরণ করেন।

সাংগঠনিক মান:
ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথী এবং হালট্টী উপ-শাখার সভাপতি ছিলেন।

শহীদের আপন জনদের কথা:
শহীদের গর্বিত মা: আমার সন্তানের শহীদ হওয়ার বাসনা আল্লাহ যেন পুর্ণ করেছেন। আল্লাহ যেন আমার কলিজার টুকরো সন্তানকে জান্নাতবাসী করেন।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ ইনসান আলী

পিতা

মোসলেম উদ্দিন

মাতা

রিনা বেগম

জন্ম তারিখ

আগস্ট ১২, ১৯৯৮

ভাই বোন

দুই ভাই-বোনের মধ্যে একমাত্র

স্থায়ী ঠিকানা

জয়পুরহাট জেলার সদর থানার পুরানাপৈলের হালট্রি গ্রাম

সাংগঠনিক মান

সাথী

সর্বশেষ পড়ালেখা

হাতিগাড়ী দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসা দশম শ্রেণী

শাহাদাতের স্থান

জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতাল


শহীদ ইনসান আলী

ছবি অ্যালবাম: শহীদ ইনসান আলী


শহীদ ইনসান আলী

ছবি অ্যালবাম: শহীদ ইনসান আলী