এক নজরে
শহীদ শাহ জামাল
শাহ্ জালাল
বিলকিছ বেগম
ডিসেম্বর ৫, ১৯৯৩
৮ বোন- ৪ ভাই, জামাল ১১তম
ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ি
সদস্য
পাঞ্জাব টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনে তৃতীয় বর্ষ
এলিফেন্ট রোড জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা
জামালের ছাত্রজীবনের অনেকটা সময় কেটেছে ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায়। জামালের দুই ভাই শাহ কামাল ও শাহ ওয়ালিদও তার সাথেই পড়তো। তিন ভাই ২০০৮ সালে এই মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করে। একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি জামাল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মেতে থাকতো। মঞ্চে সে ছিল স্বপ্রতিভ। গান-অভিনয়ে মাতিয়ে রাখতো দর্শকদের।
জামাল আলিম পাস করে নারায়ণগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী ফাযিল মাদরাসা থেকে। শাহাদাতের পূর্ব পর্যন্ত জামাল পাঞ্জাব টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতো। ফ্যাশন ডিজাইনে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিল সে।
জামালের বাবা শাহজালাল একজন সফল ব্যবসায়ী। পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলনের সামনের সারির একজন। পারিবারিকভাবেই তাই জামালের ইসলামী আন্দোলনের সাথে পরিচয় ছিল। ২০০২ সালে কর্মী হবার সময় থেকেই তার চিন্তায় ছিল, কী করে সংগঠনের মযলুম ভাইদের রক্ষা করা যায়। কী করে এই যমীনে ইসলামী আন্দোলনকে প্রতিষ্ঠা করা যায়।
২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর সাথীয় শপথ নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের পথচলায় নিজেকে আরো বেগবান করে জামাল। ২৮ অক্টোবর পল্টনে যখন জামায়াত-শিবিরের সভাস্থলে লগি-বৈঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী ক্যাডাররা, সেদিনও কিশোর জামাল সে ময়দানে ভূমিকা রেখেছিল।
শাহ জামালের চিন্তায় সংগঠন ছিল অনেক ওপরে। ২০১২ সালে সদস্য হবার পর থেকে তার দায়িত্ববোধ আরো বেড়ে যায়। প্রতিটি সময়ই সে সংগঠনের কাজকে অগ্রাধিকার দিত। নিজের যা কিছু আছে, তার ওপর সংগঠনের বড় অধিকার আছে বলে মনে করতো।
সে ডায়রিতে লিখেছে, ‘আমি শাহ জামাল। সুস্থ-সুন্দরভাবে চিন্তা ও গবেষণা করে বলছি। আমি উত্তরাধিকার সূত্রে যে সম্পদ পাব, সেটা যে বছরই হোক না কেন, আমার ভাগের সম্পদের ষাট ভাগ হবে আল্লাহর পথে। আর বাকি ৪০ ভাগ হবে ভাই-বোনদের। এটাই আমার অছিয়ত। এটাই আমার সিদ্ধান্ত।’
অবশেষে একদিন এলো জামালের সেই প্রিয় মুহূর্ত। ৯ অক্টোবর ২০১৩ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এ সময় সে মারাত্মক ভাবে আহত হয়। আহত জামাল নিজে রিক্সাযোগে ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে তাকে রাত ২ টার দিকে তাকে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে এলিফ্যান্ট রোড জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলে। তিনদিন আইসিইউতে থাকার পর ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে জামাল শাহাদাতের পেয়ালা পান করে।
প্রিয় জামাল, আমাদের প্রিয় জামাল, যার কর্মচাঞ্চল্য তাকে আর দশজনের থেকে আলাদা করতো, তার সুঠাম দেহটি স্থবির হয়ে যায়। সে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে পাড়ি জমায় খোদার পথে। সে তাঁর প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৭৯তম শহীদ।
ব্যক্তিগত প্রোফাইল
নাম : শহীদ শাহজামাল
পিতা : শাহ্ জালাল
মাতা : বিলকিছ বেগম
ঠিকানা : নারায়ণগঞ্জ
জন্ম : ০৫/১২/১৯৯৩
ভাই/বোন : ৮ বোন- ৪ ভাই, জামাল ১১তম
শিাপ্রতিষ্ঠান : অনার্স ৩য় বর্ষঅধ্যয়নরত (ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন): পাঞ্জাব টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (পিটিইউ)
ঘটনার স্থান : ঢাকা
শহীদ হওয়ার স্থান : এলিফেন্ট রোড জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা।
শাহাদাতের তারিখ : ১২ অক্টোবর ২০১৩
সাংগঠনিক মান : সদস্য
শহীদ শাহ জামাল
শাহ্ জালাল
বিলকিছ বেগম
ডিসেম্বর ৫, ১৯৯৩
৮ বোন- ৪ ভাই, জামাল ১১তম
ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ি
সদস্য
পাঞ্জাব টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনে তৃতীয় বর্ষ
এলিফেন্ট রোড জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা