শহীদ শোয়েব আহমদ দুলাল

৩০ নভেম্বর -০০০১ - ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ | ১২৪

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

সত্য মিথ্যার দ্বন্দ্ব মানবজাতির চিরন্তন ইতিহাস। মানব সৃষ্টির আদিকাল থেকে সর্বকালে সর্বযুগে চলেছে এবং পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত এ দ্বন্দ্ব চলতে থাকবে। সমস্যা পীড়িত এই পৃথিবীর ইতিহাসের সত্যিকার রায় হচ্ছে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ছাড়া শান্তির আশা সুদুর পরাহত।

মুক্তির মিছিলে চেতনার বিস্ফোরণ
প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। এ মহা বাস্তবতাকে কেউ এড়িয়ে চলতে পারে না। মানুষ জন্ম গ্রহণ করে এবং জন্ম মৃত্যুর মালিক আল্লাহ তায়ালা কৃর্তক নির্ধারিত দিনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। কোন কোন মৃত্যু অমরত্ব ও অবিস্মরণীয় হয়ে অনাদিকাল পর্যন্ত সত্যাশ্রয়ী মানুষের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকে। বিশেষ করে ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করে তাদের রক্ত ও জীবন দান ইসলামী বিপ্লবের কর্মীদের মনে শক্তি ও সাহস তীব্র থেকে তীব্রতর করে তোলে। শহীদ সোয়েব আহমাদ দুলাল আল্লাহর পথে নিবেদিত প্রাণ এমনি এক নির্ভীক সৈনিক। মুক্তির মিছিলে যেন চেতনার বিস্ফোরণ। ১৯ বছর বয়সের হালকা-পাতলা গড়ন, বলিষ্ঠ স্বর , সুন্দর ও মিশুক চরিত্রের এ যুবকের অনুপম ব্যক্তিত্ব এলাকার ছাত্র তরুণদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে। কিন্তু ইসলামের চির দুশমন ধর্ম নিরপেতার লেবাসধারী দুষ্কতিকারী সন্ত্রাসীচক্র ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সম্ভাবনাময় এ নেতাকে দুনিয়া থেকে চির বিদায় করে দেয়। বেছে নেয় খুনের পথ।

২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর রোজ সোমবার। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতের নিস্তব্ধতা নেমে আসে। আব্বা-আম্মাসহ পরিবারের সকলেই অপেক্ষা করছেন কখন দুলাল আসবে, একসাথে খাওয়া দাওয়া হবে। কিন্তু না, আব্বা-আম্মার সে আশা পূরণ হলো না। বরং সকলের অপোর সমাপ্তি ঘটলো পরের দিন এক অপ্রত্যাশিত আকস্মিক খবরের মাধ্যমে। ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে একজন অজ্ঞাতনাম ব্যক্তির লাশের খবর পাওয়া যায়। সে খবর পেয়ে শিবিরে জেলা নেতৃবৃন্দ ও আত্মীয় স্বজন হাসপাতালের মর্গে দুলাল ভাইয়ের লাশকে শনাক্ত করেন। ঘটনাক্রমে পুলিশ সূত্রে জানা গেল জবাই করা লাশটি এম.সি. কলেজ মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ জনপদ জৈন্তাপুরে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য সেদিন ইসলাম বিরোধী চক্র রাতের আঁধারে শহীদ সোয়েব আহমাদ দুলালকে পাশবিক কায়দায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। তার অপরাধ ছিল একটাই- কোরআনের ভাষায় ‘ ওয়ামা নাকামু মিনহুম ইল্লা ইউমিনু বিল্লাহিল আযিযিল হামীদ।’ মহা সত্যের পথে, কোরআনের পথে পথহারা বিভ্রান্ত মানবতাকে আহবান জানানোই ছিল তাঁর অপরাধ।

শাহাদাতের দিন বিকেলে মা’র সাথে কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। আসরের নামাজ যথারীতি বাড়ির পাশের মসজিদে আদায় করেন। প্রতিদিনকার ন্যায় মাগরিবের নামাজও ঐ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করেন। এরপর বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে মানুষ খেকো দুবৃত্তচক্র তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মানুষ নামধারী জানোয়াররা সোয়েব আহমাদ দুলালকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে  ঠাণ্ডা মাথায় মধ্যযুগীয় পৈশাচিক কায়দায় জবাই করে হত্যা করে এম.সি. কলেজ মাঠের দক্ষিণ পার্শ্বে ফেলে রেখে চলে যায়।
সোয়েব আহমাদ দুলাল ভাইকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনতাম না। ২০০৩ সালের ১০ আগস্ট সিলেট সরকারি আলীয়া মাদ্রাসায় জেলা শিবিরের বিশেষ প্রশিণ কর্মশালায় তার সাথে প্রথম পরিচয়। সাংগঠনিক জীবনের সিংহভাগ সময়ই সিলেট মহানগরীতে বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করার কারণে জেলা ও থানার অনেক ভাইয়ের সাথে তখন পরিচয় ঘটেনি। ঐদিনকার প্রশিক্ষণ শিবিরে দুলাল ভাইয়ের স্বতঃস্ফুর্ততা বিভিন্ন কর্মসূচীতে আন্তরিকতা ও মনোযোগ সত্যিই আশান্বিত করেছে। আজ রাত জেগে জেগে যখন সোয়েব আহমাদ দুলাল ভাইয়ের জীবনী লিখছি তখন স্মৃতির পাতায় ঢেউ খেলছে সেই স্বপ্নের কথা। যে স্বপ্ন আমাকে আন্দোলিত করেছে। তৎক্ষনাত ভাবিয়ে তুলেছে। ২০০৫ সালের আগস্ট মাস। ছাতক থানায় টেনশন চলছে। দিন-তারিখ এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। আঁধার রাতে ঘুম ভাঙলো। অস্থিরতায় নিজেকে সংবরণ করতে পারছি না । জেলা সভাপতি হিসেবে কাউকে বলতেও কষ্ট হচ্ছে। শহীদ হয়েছে আমাদের ভাই। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যস্ততার অন্ত নেই। একি স্বপ্ন না বাস্তবতা। সত্যিই মাস তিনেক পর আমরা দু’জন ভাইকে হারালাম। জৈন্তাপুর থানা দক্ষিণ শাখা অফিস সম্পাদক সোয়েব আহমাদ দুলাল ভাই ও এ শাখা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল রায়হান ভাইকে। হে আল্লাহ তুমি রায়হান ভাই ও দুলাল ভাইয়ের শাহাদাতকে কবুল করে নাও।

হযরত জাবির (রাঃ) হইতে বর্ণিত, উহুদের যুদ্ধে যখন জাবিরের পিতা আব্দুল্লাহ বিন আমর শহীদ হলেন তখন রাসুল (সাঃ) বলেন, হে জাবির তোমার পিতাকে আল্লাহ তায়ালা কি বললেন তা কি বলবো? আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কারো সাথে সরাসরি কথা বলেন না, কিন্তু তোমার বাবার সাথে বলেছেন। আল্লাহ বলেন, হে আবদুল্লাহ তুমি আমার কাছে কী চাও? তখন তিনি বলেন, হে আল্লাহ তুমি আমাকে পুনরায় জীবিত কর, আমি আবার শহীদ হতে চাই। তখন অল্লাহ বললেন এ নিয়মতো নেই। আগেই এর ফয়সালা হয়ে গেছে। কেউ এখানে একবার আসলে আর ফেরত যায় না। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ তাহলে অন্তত এটা কর, আমি যে ইচ্ছা পোষন করলাম এটি আমার পিছনের ভাইদের কাছে পৌঁছে দাও।

সুরা আলে ইমরানে আল্লাহ তখন জানিয়ে দিলেন, যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদের তোমরা মৃত মনে করো না। প্রকৃতপে তারা জীবিত। আল্লাহর নিকট হতে তারা রিযিক পায়। আল্লাহ তাদেরকে নির্জীব অনুগ্রহে যা দান করেছেন তা পেয়ে তারা খুশি ও পরিতৃপ্ত। এবং যে সব ঈমানদার লোক তাদের পিছনে দুনিয়ায় রয়ে গেছে এবং এখনও পৌঁছেনি তাদের জন্য কোন ভয় ও চিন্তা নেই জেনে তারা সন্তুষ্ট ও নিশ্চিত।’(আল-ইমরান : ১৬৯-১৭০)

শহীদ সোয়েব আহমাদ দুলাল সিলেটের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী জনপদ সর্বকালে স্বাধীনতার গর্বিত পতাকাধারী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত জৈন্তাপুর থানার দরবস্থ এলাকার খড়িকাপুঞ্জি (ফরফরা) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সম্মানিত পিতা মোহাম্মদ আবদুর রব। মাতা রোকেয়া বেগম। ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। জৈন্তাপুর কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকাকালে শাহাদাত বরণ করেন। শহীদ সোয়েব আহমাদ দুলাল অত্যন্ত সাহসী, অমায়িক, মেধাবী, হাস্যেজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। প্রতিভাবান ও নামাজী এ যুবক স্কুল জীবন থেকেই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সদা তৎপর। তাই ২০০১ সালে স্কুলে অধ্যয়ন কালেই তিনি ছাত্রশিবিরের সাথী হন। কলেজে ভর্তি হয়েই শিবিরের সদস্য হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালান। তিনি অত্যন্ত কষ্ট করে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতেন। কারণ তার পরিবারের কারোরই এ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল না। তার নেতৃত্বে স্কুল, কলেজ ও হরিপুর দরবস্থ- এলাকায় আন্দোলনের কাজ বিস্তৃত ও মজবুত হয়েছে। তিনি সর্বশেষ জৈন্তাপুর থানা দক্ষিণ সাথী শাখার অফিস সম্পাদক ছিলেন। শহীদ সোয়েব আহমাদ দুলাল বিচক্ষণ ও পরিশ্রমী ছিলেন। সহজ সরলভাবে তিনি চলাফেরা করতেন। স্কুল ও আবাসিক এলাকায় দায়িত্ব পালন করেও কলেজে নিয়মিত দাওয়াতী কাজে অংশ নিতেন। মৃত্যুর সপ্তাহখানেক পূর্বেও জেলা দায়িত্বশীল বৈঠকে আসার জন্য তিনি প্রস্থত ছিলেন। নিয়মিত ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরণ করতেন। দুলাল ভাই ও তার সহযোগীদের নিরলস অব্যাহত কার্যক্রমের ফলে জৈন্তাপুরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, মাদ্রাসা এমনকি আবাসিক এলাকায় সংগঠনের কাজ দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু এতে বাঁধ সাধে আওয়ামী বাকশালী অপগোষ্ঠী। তারা বছরের পর বছর ছাত্রশিবিরের সাথে সংঘাত-সংঘর্ষ, মিথ্যা মামলা দিয়ে শিবির নেতা কর্মীদের হয়রানি করে আসছে। প্রতিবারই দেশবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা, মুচলেকা ও জরিমান দিয়ে পরবর্তি সময়ে আর কোন ঘটনা না ঘটার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। মিথ্যাচার আর প্রতারণার রাজনীতিতে যারা সিদ্ধহস্তে তারা কে কার প্রতিশ্রুতি মানে। তাই তারা ভিন্ন পথে ষড়যন্ত্রের দিকে অগ্রসর হয়। এলাকায় শিবিরকে নেতৃত্বশূণ্য করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। ছাত্রলীগের দুষ্কতিকারী সন্ত্রাসীরা শহীদ দুলালের কাছে আদর্শিকভাবে পরাজিত হয়ে বেছে নেয় ন্যাক্কারজনক খুনের পথ। খুন করে প্রিয় দুলাল ভাইকে। ওরা জানে না মানুষ হত্যা করে পৃথিবী থেকে চির বিদায় করা যায় কিন্তু একটি আদর্শকে মুছে দেয়া যায় না। শাহাদাতের রক্তের যোজনায় জৈন্তাপুরের মাটি ও মানুষ কোরআনের পক্ষে কথা বলবে, মজবুত হবে ইসলামী আন্দোলনের ইসলামী আন্দোলনের ঘাটি এটিই অনিবার্য বাস্তবতা।

শহীদ সোয়েব আহমাদ দুলাল বিরল প্রতিভাসম্পন্ন যুবকদের একজন। জীবনে তার কোন বাসনা ছিল না। ছিল শুধু আল্লাহর পথে জীবন বিলিয়ে দেয়ার। এতে তিনি সফল হয়েছেন। তার মতো অসীম সাহসী ও দুর্নিবার আকাড়া প্রত্যাশী সৈনিকের আজ বড় প্রয়োজন বাংলাদেশে দ্বীনের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে।

একনজরে শহীদ শোয়েব আহমদ দুলাল
শহীদ শোয়েব আহমদ দুলাল
পিতা : মু. আবদুর রব
মাতা: রোকেয়া বেগম
ভাই ও বোনের সংখ্যা : ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি ৩য় ছিলেন।
ঠিকানা : গ্রাম খড়িকাপুঞ্জ পো: দরবস্ত বাজার, থানা জৈন্তপুর, জেলা :সিলেট।
একাডেমিক যোগ্যতা : ১ম-৫ম তেলিজুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এস্এসসি পাস করেন ২০০২ সালে সেন্ট্রাল জৈন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় হতে। ২০০৩ সালে জৈন্তাপুর ডিগ্রি কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী থাকা অবস্থায় দুর্র্বত্তাদের হাতে শাহাদতা বরণ করেন।

সাংগঠনিক মান ও দায়িত্ব : সাথী ছিলেন সেন্ট্রটাল জৈন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর ৯ম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় ২০০২ সালে তিনি শিবিরে দাওয়াত পান এবং ঐ বছরই সামর্থক ও কর্মী হল সেই বছর তিনি স্কুলে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০০৩ সালে জিসেম্বর মাসে ঐ স্কুলের ১০ শ্রেণীর ছাত্র থাকা বস্তা তিনি শিবিরে সাথী হন। এ সময় তিনি তার স্কুলসহ এক সাথে দু’টি স্কুলে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ২০০৪ সালে তিনি জৈন্তাপুর থানা বায়তুলমাল সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন এবং সবশেষে শাহাদাতের পূর্বকালীন সময় পর্যন্ত ঐ থানার আফিস সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

আহত ও নিহত হওয়ার ও স্থান : ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ সাল, রোজ সমবার, সিলেট এমসি কলেজ মাঠে ছাত্রলীগ দুষ্কৃতিকারীরা পাশবিক কায়দায় নৃশংসভাবে দুলাল ভাইকে হত্যা করে। উল্লেখ্য ঐ দিন তার গ্রামর বাড়ির জামে মাসজিদ থেকে আসরের নামাজের পর বের হলে সন্ত্রসীরা যেখানে থেকে দুলাল ভাইকে কিডনাপ করে এনে উক্ত স্থানে হত্যা করে।

কবরস্থান : গ্রামের বাড়িতে এলাকার গোরস্থান
যে শাখার শহীদ বতমানে: সিলেট জেলা পূর্ব ২০০৫ এর নাম ছিল সিলেট জেলা উত্তর।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ শোয়েব আহমদ দুলাল

পিতা

মু. আবদুর রব

মাতা

রোকেয়া বেগম

জন্ম তারিখ

নভেম্বর ৩০, -০০০১

ভাই বোন

২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি ৩য়

স্থায়ী ঠিকানা

গ্রাম খড়িকাপুঞ্জ পো: দরবস্ত বাজার, থানা জৈন্তপুর, জেলা :সিলেট

সাংগঠনিক মান

সাথী

সর্বশেষ পড়ালেখা

জৈন্তাপুর ডিগ্রি কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী

শাহাদাতের স্থান

সিলেট এমসি কলেজ মাঠ


শহীদ শোয়েব আহমদ দুলাল

ছবি অ্যালবাম: শহীদ শোয়েব আহমদ দুলাল


শহীদ শোয়েব আহমদ দুলাল

ছবি অ্যালবাম: শহীদ শোয়েব আহমদ দুলাল