শহীদ মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া

০১ জানুয়ারি ১৯৮০ - ০৯ ডিসেম্বর ২০০৩ | ১২০

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

শিক্ষাজীবন
শহীদ আলমাছ ভাই ১ম শ্রেণী থেকে ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত নিজের পার্শ্ববর্তী গ্রামের গোবর্ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণীে থেকে এসএসসি পর্যন্ত কমলগঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষায় ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। অতঃপর কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। শাহাদাতকালে তিনি মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।

সাংগঠনিক জীবন
স্কুল জীবন থেকে মিষ্টভাষী মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া ছাত্রশিবিরের আদর্শ দেখে শিবিরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মামা হাফেজ আবু সালেহ মুহাম্মদ বাকীর মাধ্যমে শিবিরে যোগদান করেন। শহীদ আলমাছ ভাইকে যখনই কোনো প্রোগামের দাওয়াত দেয়া হত, শত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তিনি না করতেন না। এইচএসসি পাশ করে যখন উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য মৌলভীবাজার জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান (অনার্স) এ ভর্তি হন, তখন থেকেই কুরআন, হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করার প্রতি তাঁর আকর্ষণ বেড়ে যায়। দেখতে দেখতে তিনি ২০০১ সালের ২১ নভেম্বর শিবিরের সাথী পদ লাভ করে। এরপর সদস্য হওয়ার তীব্র আকাড়া নিয়ে সদস্য সিলেবাসের কুরআন, হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন শুরু করেন। ২০০৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শিবিরের সদস্যপ্রার্থী হন। তিনি ২০০২ সালের সরকারি কলেজের কলা অনুষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালের ষান্মাসিক পর্যন্ত সরকারি কলজ শাখা বায়তুল মাল সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। শাহাদাতকালে তিনি মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

কী হয়েছিল সেদিন
দীর্ঘ দিন থেকেই মৌলভীবাজার শহর ও কলেজে ছিল এক ধরনের শ্বেত সন্ত্রাস। জোটের স্বার্থে, দেশের বৃহত্তর প্রয়োজনে, শিবির নেতাকর্মীরা ধৈর্য ধারণ করে। বন্ধুপ্রতিম ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের কতিপয় উগ্র ও বহিরাগত কর্মী শিবিরকর্মীদের মৌলভাবাজার কলেজ হোস্টেল থেকে বের করে রুমে তালা লাগিয়ে দেয়। অন্যান্যবারের মত ঘটনাটি স্থানীয় বিএনপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়। তারাও বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরদিন ৯ ডিসেম্বর শিবির নেতা-কর্মীরা স্বাভাবিকভাবেই কলেজ ক্যাম্পাসে যায়। সন্ত্রাসী জাকিরচক্র ক্যাম্পাসে শিবির কর্মীদের কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছিল না। বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানানোয় সন্ত্রাসীরা হয়ে ওঠে আরও হিংস্র। সকল বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, উর্ধতন নেতৃবৃন্দ ও পুলিশকে জানানো হলেও কোনো লাভ হলো না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে তরুণটি সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদী ছিল, যার নেতৃত্বে ছাত্রশিবির দিনদিন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রিয় সংগঠনের পরিণত হচ্ছিল-পুলিশ ফোর্স, প্রশাসন, বিএনপি জেলা সেক্রেটারি ও ছাত্রদল জেলা সভাপতির উপস্থিতিতিতেই কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে খুনীচক্র মসজিদে গুলি চালিয়ে প্রতিভাবান প্রিয় মুখ আলমাছ মিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তাদের নির্বিচার গুলিবর্ষণে মারাত্মকভাবে আহত হন শিবিরের জেলা সেক্রেটারি আজিজ আহমদ কিবরিয়া ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল আহমদসহ আরও ৫/৬ জন। উন্মত্ততার এখানেই শেষ নয়। হতবিহ্বল মুসল্লিরা পুলিশ বা কর্তৃপক্ষ কারও সহযোগিতা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত রিকশায় করে রক্তাক্তদের হাসপাতালে নিচ্ছিলেন, রিকশা থামিয়ে পুনরায় তাদের উপর চেঙ্গিসীয় কায়দায় গুলি চালানো হল। রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়ে আনন্দের অট্টহাসিতে মৌলভীবাজারের আলো বাতাসে ক্ষমতার পুলক ছড়িয়ে দিয়ে সন্ত্রাসীরা মিছিল নিয়ে চলে যায় শহরের দিকে।

সেদিন বেলা ১টার দিকে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ মসজিদে বন্ধুদের সাথে নিয়ে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া। ইমাম সাহেব তখন আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করলেন, আলমাছও ওজু করে নামাজে শামিল হওয়ার জন্য মসজিদে পা রাখবেন। কিন্তু মসজিদে আর ঢুকতে দিলো না সন্ত্রাসীচক্র। বুলেটের আঘাতে এফোঁড়- ওফোঁড় হয়ে গেল তাঁর ঘাড় ও বুক। ছটফট করা করবানীর পশুর মত আছড়ে পড়লেন মসজিদের মেঝেতে। তাজা খুনে প্লাবিত হল আল্লাহর প্রিয় ঘর মানুষের সেজদার জায়গা মসজিদ। চিরদিনের মতো সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন কমলগঞ্জের অসহায় কৃষক পিতা ও দুঃখীনি মায়ের ১০ সন্তানের মধ্যে একমাত্র শিক্ষিত সন্ত্রান মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া।

পিতার অভিমত
আলমাছ ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন আমি গতকালও (২৪/৪/১১) তারিখে তাকে স্বপ্নে দেখেছি। দেখেছি যে সে আমার বাড়ির পাশ চলাফেরা করছে আর আমার দিকে কান্না ভেজা চোখে বার বার ফিল ফিল করে তাকাচ্ছে। তিনি বলেন সে ছিল এলাকার সবার প্রিয় ছেলে। এলাকার সব ধরনের লোক তাকে ভালবাসত। এখনও তার কবর জিয়ারত করার জন্য তার বন্ধু সাথী সাথীরা দুর দুরান্ত থেকে আসে।

তিনি আরো বলেন এই এলাকায় কোনো কবরস্থান ছিল না। সেজন্য সে একদিন এলাকার যুবক ও মুরব্বীদেরকে বলল। যেখানে সিদ্ধান্ত হলো এলাকায় একটি করবস্থান করার জন্য সে এলাকার কয়েকজন লন্ডন প্রবাসী লোকের কাছে বলে এবং তারা লণ্ডন প্রবাসীরা কয়েকজন মিলে প্রায় ৩/৩/১ এর জমি কবস্থানের জন্য কিনে ছিলেন। সে কবরস্থানটির চারদিকে দেয়াল দেওয়ার জন্য সে এলাকার সম্পশালী ও প্রসাবীদের কাছে থেকে টাকা কলেকশন করে তা কবরস্থানটির চতুর্দিকে দেয়াল করে। সে কয়েকদিন পরপর গ্রামে এসে এলকার ছেলেদের নিয়ে কবরস্থানটি পরিস্কার করত। তার শাহাদাতের কারণে আজকে জামায়াত শিবির এই এলাকয় পরিচিত লাভ করেছে। এই এলাকায় এমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাবেন না যেখানে কেউ শিবিরের বিরুদ্ধে কথা বলবে। আমার ইচ্ছে আমার ছেলের নামে এই এলাকায় একটি জামে মসজিদে করার। কারণ এই এলকায় একটি মসজিদ নেই। আমার ছেলেটি মসজিদে তৈরির জন্য তার নানার কাছ থেকে জায়গা নিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর সে মারা যাওয়া তা আর হয়নি। মসজিদের জায়গা আমি দিব।
এটা তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনার সহযোগিতা করেন।

বড় ভাই এর অভিমত নাম মু. আকবর মিয়া
তিনি বলেন, সে আমাদের অন্যান্য ভাই বোনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিল তারমতো আমরা একটি ভাইও হতে পারিনি। তার কথা মনে হলেও আজও আমার মন আজান্তে কেঁদে উঠে।
সে শাহাদাতে ১৫ দিনের পূর্বে বাড়ির এসে সবাইকে বলে গেছে সে আমি অনেকদিনের মধ্যে বাড়িতে আসব না। সে এলাকার কৃষক, শ্রমিক দিনমুজুর ধনী গরীব যুবক বৃদ্ধ, ছাত্র শিক্ষক, প্রবাসী তথা সকল শ্রেণীর মানুষের প্রিয় মুখ ছিল তার উদ্যোগেই এলাকার উন্নয়নের জন্য একটি যুবসংঘ সমবায় সমিতির গড়ে উঠে এলাকার কোনো দারিদ্র ছাত্র-ছাত্রী টাকার অভাবে লেখা পড়া করতে না পারলে সে নিজের টাকা দিয়ে তাদের জন্য পাড়ালেখা করা। সে এলাকার শিক্ষার সম্প্রসারেণের জন্য আমার নানার সাড়ে সাত শতক জমির ওপর একটি ফোরকানিয়া মাদরসা প্রতিষ্ঠা করে মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিল। এলাকার যেকোনো উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সে নিজেকে সপেছি সে মারা যাওয়ার পর তার লাশ নিয়ে বাড়িতে আসলে এলাকার আমাদের বাড়িতে হৃদর বিদারক  ‍দৃশ্যের অবতারণা হয়ে। আমি এত মানুষ সেদিন আমাদের বাড়িতে আসবে এবং তার জানাযায় অংশগ্রহণ করবে।

আরেকে ভাই মু. হরি মিয়া বলেন- তার চরিত্রের অসংখ্যা দিক রয়েছে। তাবে আমি তাকে কোনো দিন নামাজ ছাড়াতে দেখিনি সবসময় বাড়িতে আসলে এলাকার ছেলেদের নিয়ে জামায়াতের সাথে নমাাজ আদায় করত। বড় ভাবী মনোয়ারা বেগম বলেন সে আমাকে বড় কোনো বার মতো শ্রদ্ধা করত। তার মত ভাল ব্যবহার আমর সাথে কেউ করেনি। সে সবসময় নামাজ পড়ত। আমাদের স্বামী স্ত্রীদের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখো দিলে সে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তা সমাধান করে দিতে।

ছোট বোন মহেবুন বেগম বলেন, সে আমাকে খুবই ভালভাবে সবসময় পড়া লেখার ব্যাপারে আমাকে উৎসাহ দিতেন।

আলমাছ ক্ষাইয়েল এলাকার বন্ধু বর্তমানে আলমাছ ভাইয়ার প্রতিষ্ঠিত ফোরকানিয়া মক্তব এর প্রধান মুস্তাকিম আহমদ বলেন এলাকায় বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিল আলমাছ। সে এলাকার শুধু গরীব ছাত্রদের জন্য আলাদা একটি কোচিং সেন্টার এর ব্যবস্থা করে। যেখানে বিনা বেতনে গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হতো। তিনি তাকেও বলেন আলমাছসহ আমরা সকল বন্ধু একদিন মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। আমরা নামাজ আদায় করে বাহির হয়ে গেলেও আলমাছ বাহির হয়নি। তখন মসজিদে গিয়ে দেখি সে কেঁদে কেঁদে আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করছে আয় বললে হে আল্লাহর তুমি আমাকে নামাজরত ও মসজিদের থাকা অবস্থায় মৃতু দাও। আল্লাহর তার দু’আ কবুল করেছেন। এবং সে তার প্রিয় কলেজের মসজিদের জোহরের নামাজরত অবস্থায় ছাত্রদলের সন্ত্রাসী জাকিররে গুলিতে শাহাদাত বরণ করবেন। ভাবতেই পারিনি সে এত তাড়াতাড়ি আমাদের কাছ থেকে চলে যাবে।  তার সময়ের এক সংগঠনের সহযোগী ভাই আব্দুল হাই বলেন সংগঠন ও দাওয়াতী কাজে জন্য খুবই পাগল পারা ছিলেন।

এলাকার আরেক বন্ধু শুয়াইব আহমদ বলেন সে আমার ছোট বোন ফাতেমাকে কুরআন তেলাওয়াত শিখিয়েছেন। শাহাদাতের ২ সপ্তাহ আগে আমার ছোট বোনকে কুরআন তেলাওয়াত করতে বললে আমার ছোট বোন সূরা এখলাছ তেলাওয়াত করে আমি তখন লক্ষ্য করছিলাম যে আলমাছ ভাইয়ের চোখ দিয়ে ঝড় ঝড় করে পানি পড়তেছে।
এলাকার লন্ডন প্রবাসী যার কাছ থেকে আলমাছ ভাই কবরস্থান ও মক্তবের জন্য টাকা কলেকশন করেছিলেন সেই ব্যক্তি হারুনুর রশিদ বলেন এরকম একটা ছেলেকে কোনো পাষণ্ডরা মারল এরকম একটি ছেলে আমি অত্র এলাকায় এখনও দেখিনি।

একনজরে শহীদ মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া
নাম : মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া
পিতা : মুহাম্মদ নাদির মিয়া
মাতা : মরহুমা আজিজা বেগম
স্থায়ী ঠিকানা : আলেপুর, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
ভাইবোন : ৫ ভাই, ৫ বোন (তিনি ৬ষ্ঠ)
জন্মতারিখ : ০১/০১/১৯৮০ ইং
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি দ্বিতীয় বিভাগ, কমলগঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, এইচএসসি দ্বিতীয় বিভাগ, কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়
সাংগঠনিক মান : সদস্যপ্রার্থী
সাংগঠনিক দায়িত্ব : সাংগঠনিক সম্পাদক : মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ
শাহাদাতকালে অধ্যয়ন : রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৩য় বর্ষ, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ
শাহাদাতের স্থান ও সময় : মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ মসজিদ (বেলা ১.৩০ মিনিট)
শাহাদাতের তারিখ : ০৯/১২/২০০৩ ইং
যাদের আঘাতে শহীদ : জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
আঘাতের ধরন : গুলি

শাহাদাতের পূর্বের কথা
কবির ভাই, আজ আমি গোসল করে কলেজ ক্যাম্পাসে এসেছি। হয়তো আর ছাত্রাবাসে ফিরে যেতে পারবো না।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া

পিতা

মুহাম্মদ নাদির মিয়া

মাতা

মরহুমা আজিজা বেগম

জন্ম তারিখ

জানুয়ারি ১, ১৯৮০

ভাই বোন

৫ ভাই, ৫ বোন (তিনি ৬ষ্ঠ)

স্থায়ী ঠিকানা

আলেপুর, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার

সাংগঠনিক মান

সদস্যপ্রার্থী

সর্বশেষ পড়ালেখা

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন

শাহাদাতের স্থান

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ মসজিদ (বেলা ১.৩০ মিনিট)


শহীদ মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া

ছবি অ্যালবাম: শহীদ মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া


শহীদ মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া

ছবি অ্যালবাম: শহীদ মুহাম্মদ আলমাছ মিয়া