শহীদ হারুন আর রশিদ কায়সার

৩০ নভেম্বর -০০০১ - ২০ মার্চ ২০১০ | ১৩৬

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

শাহাদাতের ঘটনা

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রত্যয়ে যারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাদের পথচলা নিঃসন্দেহে বর্ণনাতীত কঠিন। এই কাঠিন্যের মাপকাঠি দিয়ে মহান প্রভু তার অতি প্রিয় বান্দাদের বাছাই করে নেন। কিছু বান্দার জীবনকে কবুল করে নিয়ে একটি আদর্শ দুনিয়ার মানুষের জন্য তৈরি করেন সত্যের স্বাক্ষ্যরূপে। শহীদ ভাইদের স্মৃতি, আল্লাহপ্রিয়তা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। পথ চলতে চলতে যখন নানা মোহ, ভীতি- আশঙ্কা আমাদের মনে আশার দীপশিখা জ্বালায়। ব্যক্তিগতভাবে কোনো শহীদ ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় ছিল না কখনো। কিন্তু শহীদ ভাইদের জীবনী আমার হৃদয়কে খুব বেশি উদ্বেলিত করে। তাদের চরিত্রের সাথে নিজেকে মিলিয়ে পার্থক্য করি আর অশ্রুসিক্ত নযনে করি অনুশোচনা। শহীদ হওয়ার ব্যাকুলতা পাগল করে দেয় মনকে। ঠিক এক বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফারুক হত্যাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সারা দেশে যে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে তাতে এক অশুভ ভবিষ্যতের পদধ্বনি কানে অনুরণিত হয়। ১১ মার্চ ২০১০ তারই ধারাবাহিকতায় কিছু নরপিশাচ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী মহিউদ্দিন মাসুম ভাইকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। অল্প কিছু দিন যেতে না যেতেই ২৮ মার্চ ২০১০ মার্কেটিং বিভাগের ৩য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র শিবিরের কর্মী হারুন-অর-রশিদ কায়সারকে অপহরণ করে একই চক্র নির্মমভাবে হত্যা করে। কায়সার শহীদদের তালিকায় লিখিয়ে নেন নিজের জ্বলজ্বলে নামটিকে। ১৩৬ তম শহীদ হিসেবে। তার শাহাদাতের পর যখন জানতে পারি তিনি আমারই এলাকার ভাই, তখন বুক ভরা আবেগ আর ভালোবাসা নিয়ে ছুটে যাই তার পরিবারের কাছে। সেদিন শহীদের মায়ের গগণবিদারি কান্নায় যেন গাছের পাতা ঝরছিল। কায়সার ভাইয়ের মৃত্যুতে এলাকায় এমন লোক ছিল না যে কাঁদেনি। পরিবারের বড় সন্তানকে হারিয়ে মা-বাবা আজ স্বপ্নহারা। মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে বারবার তাদের দুয়ারে ধরনা দিই, আর অন্তরের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি কায়সার ভাইকে যিনি আকাশের তারা হয়ে পুরো পৃথিবীকে আদর্শের আলো দান করছেন।

অসাধারন চরিত্রের অধিকারি কায়সার ছিলেন এলাকার-বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বের ধন।

এক নজরে শহীদ হারুন-অর-রশিদ কায়সার
নাম : হারুন-অর-রশিদ কায়সার
পিতা : দিদারুল হক
মাতা : কামরুন্নাহার
ভাইবোন : ৩ জন (তিনি মেজো)
ঠিকানা : রাঘবপুর, মীরস্বরাই, চট্টগ্রাম
সাংগঠনিক মান : কর্মী
আহত হওয়ার স্থান ও ধরন : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন থেকে অপহৃত এবং জবাই করে হত্যা করা হয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা : মার্কেটিং ৩য় বর্ষ (সম্মান), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)
শাহাদাতের তারিখ : ২০ মার্চ ২০১০ ইং
যাদের আঘাতে শহীদ : ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীবাহিনী
যে শাখার শহীদ : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এক নজরে

পুরোনাম

শহীদ হারুন আর রশিদ কায়সার

পিতা

দিদারুল হক

মাতা

কামরুন্নাহার

জন্ম তারিখ

নভেম্বর ৩০, -০০০১

ভাই বোন

৩ জন (তিনি মেজো)

স্থায়ী ঠিকানা

রাঘবপুর, মীরস্বরাই, চট্টগ্রাম

সাংগঠনিক মান

কর্মী

সর্বশেষ পড়ালেখা

মার্কেটিং ৩য় বর্ষ (সম্মান), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)

শাহাদাতের স্থান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন থেকে অপহৃত এবং জবাই করে হত্যা করা হয়


শহীদ হারুন আর রশিদ কায়সার

ছবি অ্যালবাম: শহীদ হারুন আর রশিদ কায়সার


শহীদ হারুন আর রশিদ কায়সার

ছবি অ্যালবাম: শহীদ হারুন আর রশিদ কায়সার